আজ ঠিক এক মাস হল আমার প্রবাস জীবনের। নিজের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুদের তো ভীষণ মিস্ করিই, এর পাশাপাশি যেসব জিনিশ খুব মিস করি, তার মধ্যে একটা হল রিক্সা।
কাছেই কোথাও যেতে হবে, ডাকো রিক্সা। এখানে এই সুযোগ নেই। মাঝে মাঝে কী যে বিরক্ত লাগে সে আর বলার না।
রিক্সা তো দূরের কথা সি এন জি থাকলে কী দোষ ছিল? এমন কী রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্যাক্সি থাকলেও বোধহয় একটু শান্তি পেতাম। ট্যাক্সিও ডাকতে হয় ফোন করে। বিপদ কাকে বলে, আমার ও বিপদ এলো একদিন - নতুন এসেছি, ফোন কিনিনি, অফিস থেকে থাকার জন্য দুই মাসের জন্য একটা অ্যাপার্টমেন্ট দিয়েছে, সেখানেই থাকি। অফিসের সাটলে অফিসে যাই আবার অফিসের সাটলেই ফেরত আসি। এর মধ্যে একদিন ভীষণ ক্লান্ত হ্্য়ে বাসায় ফেরার পথে গেলাম ঘুমিয়ে।
ঘুম ভাঙল আমার স্টপেজ ছাড়ানোর পাঁচ মিনিট পর। সেখানেই নেমে গেলাম। ভাবলাম পাঁচ মিনিট, এ আর এমন কী উলটো দিকে হাটা দিই। পথে কয়েকজন লোকের কাছেও পথ বাতলে নিলাম। আধা ঘন্টা হাটার পরে হঠাৎ মনে হল পথে কোথও ভুল হ্য়েছে, কাউকে জিগ্গেস করা দরকার।
কিন্তু ততক্ষণে অন্ধকার নেমে এসেছে, পথে একজন মানুষও নাই, সাই সাই করে গাড়ি যাচ্ছে কারো সাথে কথা বলার উপায় নাই। অনেক ঘোরাঘুরির পরে অনেক দূরে একটা লোক দেখতে পেয়ে তার কাছে আগাতেই লোকটা দৌড়ে আমার থেকে নিরাপদ দূরত্বে চলে গেল। বুঝলাম রাতের বেলা এখানকার পথও নিরাপদ না। লোকটার মত আমিও ভয় পেতে শুরু করলাম, এ কই এসে পরলাম আমি। পাঠকেরা বুঝেছেন কিনা, দেশটার নাম আমেরিকা।
কপাল গুণে সেদিন অনেক ঘুরে ঘুরে ঠিকি বাসায় পৌছেছিলাম। প্রসংগত বলে রাখা ভাল যে এখানে কপালের পাশাপাশি আমার ডি.এফ.এস. আর বি.এফ.এস. এরও কিছুটা ভূমিকা আছে।
শিক্ষা: এর পর থেকে ভূলেও সাটলে ঘুমাই না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।