জীবনটা যেন এক বর্ণীল প্রজাপতি ইংরেজীতে Portrait শব্দটির অভিধানগত অর্থ হলো প্রতিকৃতি, প্রতিমূর্তি। অথবা কোনকিছুর জীবন্ত বর্ণনাকেও পোর্ট্রেট বলা হয়ে থাকে। অর্থগত শব্দের মাধ্যমেই এর সম্বন্ধে সম্যক ধারনা পাওয়া যায়।
আমি কোথাও আমার ছবি অংকন বিষয়ে প্রাকটিস ওয়ার্ক, বিভিন্ন প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করা পেইন্টিং, অথবা আমার একজিবিশনের ক্যাটালগ দেখানোর সময়েও, এমনকি ব্লগে আমার পেইন্টিং নিয়ে কোন পোস্ট দিলেও অনেক বেশিবার যে অনুরোধের সম্মুখীন হই তা হলো, “আমার একটা পোট্রেইট করে দেবেন?”
অনেকে শিখতেও চেয়েছেন কিভাবে পোর্ট্রেইট আঁকতে হয়!
কিভাবে আঁকতে হয় সেটাই বলি এখন মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। খুব কঠিন কিছু না! যে ছবিটা বা যাকে আঁকতে চান তাকে মডেল বানিয়ে বসিয়ে রাখুন।
মানুষ হলে অনুরোধ করুন সে যেন সামান্যতম নড়াচড়া না করে। কারণ- নড়ে বসলেই আপনার ছবির দিক পরিবর্তন করতে হবে। দক্ষ হাত না হলে প্রতিটা মুভমেন্ট বারে বারে ঠিক করা সম্ভব না। তারপরে অন্য যেকোন কিছু যেভাবে আঁকেন সেভাবেই পেন্সিল চালিয়ে যান। পেন্সিলে আঁকা শেষ হলে কালো জেল পেন দিয়ে অথবা মোটা পেনসিল দিয়ে ডিপ লাইন(গাঢ় দাগ) বসিয়ে নিন।
আর, আলো ছায়ার ব্যাপারটা আজ শেখালাম না। কারণ- এইটুকুই করতে শিখুন আগে। পরেরটা পরে।
আমার করা কিছু পোর্ট্রেইট দেখাতেই আজকের পোস্ট। আগের বলে নিচ্ছি- এই ব্লগে অনেক তুখোড় আঁকিয়ে আছেন তাদের কাছে আমার আঁকাআঁকি কিচ্ছুনা; সুতরাং এই পোস্টটাকে খসড়া বলেই মূল্যায়ন করবেন।
১। আমাদের বাসার কাজ করতো (২০০৪ সালে)
২। স্কুলের ভেতরের মার্কেটের রিসিপশনিষ্ট আপু (২০০৯ সালে)
৩। আর্টক্লাস চলাকালীন স্কুলে বেড়াতে এসেছিলো (২০০৯ সালে)
৪। আমার ছাত্রী নিচু হয়ে বসে পড়া করছিলো (২০০৯ সালে)
৫।
একটি ভারতীয় ম্যাগাজিন থেকে দেখে দেখে এক সেলিব্রেটির মুখ (কার ছবি বলবোনা, পিট্টি খেতে হতে পারে!)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।