আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৭ দিন পরও ধ্বংসস্তূপে ‘জীবিত’ এক নারী

রানা প্লাজায় ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া এক সেনা সদস্য জানান, কংক্রিটের স্তূপের নিচে যাকে জীবিত পাওয়া গেছে, তার নাম রেশমা। তারা তার কথা শুনতে পেয়েছেন। তাকে উদ্ধারের সব রকম চেষ্টা চলছে।
“তার জন্য খাবার ও পানি দেয়া হয়েছে। অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তাকে জীবিত উদ্ধার করে আনার ওপরই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ”
গত ২৪ এপ্রিল সকালে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন নয় তলা রানা প্লাজা ধসে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনী, ফায়ার ব্রিগেড, রেড ক্রিসেন্টসহ  আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।
উদ্ধার কার্যক্রম শুরুর ১১০ ঘণ্টা পর গত ২৮ এপ্রিল জীবিত কাউকে উদ্ধারের আশা ছেড়ে দিয়ে ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরুর ঘোষণা দেন অভিযানের নেতৃত্বে থাকা সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক মেজর জেনারেল চৌধুরী হাসান সোহরাওয়ার্দী।
সেদিন পর্যন্ত ৩৩৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হলেও ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে অভিযান শুরুর পর শুক্রবার সকালে নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায়।

 
উদ্ধারকর্মীরা জানান, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে যন্ত্রপাতি দিয়ে কংক্রিটের স্তূপ সরানোর সময় বেইজমেন্টে গোঙানির শব্দ পান তারা। সঙ্গে সঙ্গে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার বন্ধ করে দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন তারা। জানতে পারেন, ১৭ দিন ধরে ভেতরে আটকা পড়ে থাকা মেয়েটির নাম রেশমা।     
এ খবর পেয়েই সাভারের জিওসিসহ উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপে ছুটে যান।   রেশমার জন্য খাবার, পানি ও অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়।


এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় স্যামপোং ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ধসের ১৭ দিন পর পার্ক সেউং হায়ুন নামে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। ১৯৯৫ সালের ওই ঘটনায় মারা যায় ৫০২ জন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।