নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই মোটরসাইকেল অনেকেরই প্রিয়। অনেকে আবার একে মরনসাইকেলও বলে । আমিও এক্সিডেন্ট করে ক্লাভিকল ভেঙ্গেছি, তবুও বাইকের নেশা যায়নি
বাহন হিসেবে মোটর সাইকেলের নিরাপত্তা কম, রোদে পুড়তে হয়, বৃষ্টিতে ভিজতে হয়, শীতে কাপতে হয়, তবুও মোটরসাইকেল প্রিয়। অন্যের কেন হয় জানিনা আমার কাছে দুটি কারন আছে।
১. গতি
২. স্বাধিনতা
আপনি যে বাহনেই চড়েন, মোটরসাইকেলের মতো গতির অনুভবটা আর কোথাও পাবেন না।
ফেরারীতে ৩০০কিমি স্পীডে চালানো যা মোটরসাইকেলে ৩০কিমি স্পীডে চালালেও তার থেকে বেশি মজা । অন্যের ক্ষতি না করে, সামর্থের মধ্যে থেকে গতি । উপভোগ করার জন্য চমতকার বাহন হলো মোটরসাইকেল।
হাইওয়ে, শহরতলী, গ্রামের মেঠোপথ অথবা রিক্সার পাশে চলতে মোটরসাইকেলের জুড়ি নেই। নিজের স্বাধিনমতো চলতে এ বাহন সত্যিই ঈর্ষনীয়।
যারা এখনও তরুন বয়সে আসেন নাই, অথবা কিছুটা বৃদ্ধ বয়সে চলে গেছেন, অথবা যারা নিয়ন্ত্রনের মধ্যে থেকে মোটরসাইকেল চালাতে চান তাদের জন্য ইলেকট্রিক বাইক হতে পারে চমৎকার সমাধান।
ইলেক্ট্রিক বাইক মুলত ব্যাটারি দিয়ে চালিত বাহন। আকৃতি মোটর বাইকের মতো। চমৎকার সব ডিজাইনে পাওয়া যায়। আসুন এর সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করি-
ইলেক্ট্রিক বাইকের সুবিধা:
১. তেল লাগেনা, তাই অনেকটাই পরিবেশ বান্ধব
২. গাড়ির দাম কম
৩. চার্জ খরচ কম
৪. রক্ষনাবেক্ষন খরচ কম
৫. মোটরবাইকের মতোই সুবিধা পাওয়া যায়
৬. (জানামতে) লাইসেন্স করতে হয়না
ইলেক্ট্রিক বাইকের অসুবিধা:
১. প্রায় পুরো বডি প্লাস্টিক দিয়ে তৈরী
২. ২ বছর পর পর ব্যাটারী বদলানোর একটা খরচ রয়েছে(১২০০০-১৬০০০)
৩. এক চার্জে সর্বোচ্চ ৮০ কিমি পথ পাড়ি দিতে পারে ।
দূরে কোথাও যাওয়া নিরাপদ নয়।
৪. রাস্তায় চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদ
৫. ফুল চার্জ হতে ৫-৬ ঘন্টা সময় লাগে
৬. সর্বোচ্চ গতি সীমা ৪০-৬০কিমি/ঘন্টা
এটি শতভাগ নিশ্চিত যে একটি মোটর সাইকেল সর্বনিম্ন ১০ বছর নিশ্চিন্তে চালানো যায় সেখানে ইলেক্ট্রিক বাইক ৩-৪ বছরের বেশি টেকার কথা নয়। তবে যত্ন করলে সব জিনিসই অনেকদিন টেকে।
বাংলাদেশে অনেকই ইলেক্ট্রিক বাইক আমদানি করছে। তাদের মধ্যে গ্রীন টাইগার অন্যতম ব্রান্ড।
আরো যারা রয়েছে তাদের ইনফো আমি এখনও জানতে পারিনি, পেলে জানাবো।
আগ্রহীরা ইলক্টিক বাইক সম্পর্কে জানতে ঢু মারতে পারেন -http://www.motorcyclevalley.com/?s=3&brand=22 ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।