মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, ধর্মান্ধতা ও দলান্ধতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। এন্টি জামাত মানেই আওয়ামী লীগ না, ঠিক তেমনি এন্টি আওয়ামী লীগ মানে রাজাকার না। এই ছোট্ট বিষয়টি একটি ক্লাস ফাইভের বাচ্চাও বুঝে শুধু বুঝেনা ফেসবুক ও ব্লগে বিচরকারী কিছু মানুষ। মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র “সোল এজেন্ট” আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যায় এমন কোন কথা কেউ বলেল সে ব্যক্তি যদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ১৯৬২ সাল থেকে কাজ করা “গোপন সংগঠন নিউক্লিয়াসের” কোন মুক্তিযুদ্ধাও হয়ে থাকেন তবুও সে রাজাকারের দোসর হিসেবেই চিহৃত হবেন। শুনতে তিতা লাগলেও এটাই হলো মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র “সোল এজেন্ট” আওয়ামী লীগের নীতি।
কথায় আছে, “যখন কোন জনপদে আগুন লাগে দেবালয়ও বাদ পড়ে না”।
এমপি রনির সাংবাদিক পেটানো থেকে শুরু করে তার গ্রেফতার নিয়ে ব্লগ,ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষে বিস্তর লেখা-লেখি হচ্ছে।
এমপি রনি শাসক দলের একজন সাংসদ, তার সাংবাদিক পেটানো থেকে শুরু করে গ্রেফতার পর্যন্ত সবটাই হলো দু’ই ক্ষমতাবানের লড়াই। দরবেশ বাবা ওরফে সালমান এফ রহমান প্রানমন্ত্রীর উপদেষ্ঠা অর্থাৎ চাটুকার। রনি সাহেব তার বিভিন্ন টক-শো, পত্রিকার কলামে, সংসদে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে এবং প্রধানমন্ত্রীর পা চাটা বক্তব্য দিতেও সমান পারদর্শী ছিলেন।
এখন দরবেশ ও রনী সাহেবের মাঝে যে বেশী পরিমানে প্রধানমন্ত্রীর পদলোহন করবে সে এই লড়াইয়ে জিতবে। এতে করে আমার আপনার মত ম্যাংগো পিপলের চার পয়সার উপকার হবে না।
ছোট্ট একটা ঘটনা দিয়ে লেখাটা শেষ করছি। অনেক অনেক দিন আগের কথা যদ্দুর মনে পড়ে তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি। এলাকার এক বাড়িওয়া আঙ্কেল বাসায় কথায় কথায় বলেল তার বাড়ির একটা ইউনিট তিনি ভাড়া দিবেন মনমত ভাড়াটে না পেলে প্রয়োজনে ব্যাচেলর ভাড়া দিবেন তারপরেও কোন সাংবাদিক বা পুলিশের কাউকে ভাড়া দিবেন না।
বিষয়টা তখন বুঝি নাই, কিন্তু সাগর-রনির হত্যার পর সাংবাদিকদের কর্মকান্ড দেখে আজ বুঝতে পারছি কেন এসই বাড়িওয়া আঙ্কেল এই শ্রেনীর মানুষকে বাড়ি ভাড়া না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।