এক অসাম্প্রদায়িক উজ্জল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি প্রথমেই বলি,আমি নই মুসলীম,নই হিন্দু,নই বৌদ্ধ,নই খৃস্টান,নই নাস্তিক কিংবা উগ্র আস্তিক। আমি মানব ধর্মের অনুসারী। আমি বাংগালী কিংবা বাংলাদেশী,আমি মানুষ। কোন ধর্মীয় পরিচয়ের চেয়ে জাতিগত পরিচয় এবং মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি ভালবাসি। সব ধর্মের প্রতি রয়েছে সমান শ্রদ্ধা।
সংবিধানে রাস্ট্র ধর্ম হিসেবে ইসলাম থাকবে নাকি "ধর্মনিরপেক্ষ"শব্দটি থাকবে সেটা নিয়ে বিতর্ক চলছে ও চলবে।
প্রথমেই বলি,পৃথিবীতে যত প্রগতিশীল,উন্নত এবং ধনী(সৌদি আরবের মত ধনী দেশগুলোর কথা বাদ। কারণ তারা ধনী হলেও অসভ্য) দেশ আছে,তাদের সংবিধানে "রাস্ট্র ধর্ম" বলতে কোন শব্দ নেই। তারা ধর্মনিরপেক্ষ। সেখানে অভিবাসিত জনগনের নিরাপত্তা এজন্যই এত শক্ত এবং ভারসাম্যপূর্ন।
আর ধর্ম রাস্ট্র যে কতখানি ব্যর্থ তার প্রকৃস্ট উদাহরণ পাকিস্তান। আমরা কী সেই পথে হাটতে চলেছি তাহলে অবশেষে?
তাই আমাদের রাষ্ট্র ধর্ম নামক শব্দটির সাথে থাকা উচিত নয়।
ধর্ম ব্যক্তিগত বিষয়। এটা নিয়ে টানাটানি যত কম হয় ততই ভাল।
আসলে আমরা ক্ষয়ীষ্ঞু এক জাতি।
পিছনের দিকে হাটছি। নিরপেক্ষ থাকতে হলে গুনগতভাবে শিক্ষিত হতে হয় এবং মানষিক মানে জাতিগতভাবেও যথেস্ঠ পরিপক্ক হতে হয়। আমরা এখনো সেটা হয়ে পারিনি। ৭১ প্রজন্ম বর্তমান প্রজন্মের চেয়ে বেশি অসাম্প্রদায়িক ছিল বলে তারা সংবিধানে ধর্মনিরপক্ষতা শব্দটিকে জায়গা দিতে পেরেছিল। আর আজকের বেশিরভাগ মানুষ মনে করে ইসলাম না দিয়ে এই শব্দটি দিলে বুঝি ইসলামের জাত যাবে।
চিলে কান নিয়ে গেছে বা যাবে এমন অবস্থা।
অথচ প্রগতিশীল মানুষ মাত্রেই ধর্মনিরপেক্ষ,মানবিক এবং অসাম্প্রদায়িক। অসাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়,বা মেজরিটি জনসংখ্যা বাদ দিয়ে মাইনরিটি জনসংখ্যার ধর্মকে প্রাধান্য দেয়া নয়। আমরা যুদ্ধ করেছিলাম জাতি ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সবাই। অতএব সংবিধান ও হতে হবে জাতি ধর্ম বর্নের সকল জনসাধারণের।
দেশটা সবার,তাই সংবিধানকেও বলতে হবে সেকথা। সংবিধানে থাকতে হবে সমমর্যাদা,সুচেতনা ও প্রগতিশীল ধারার কথা। সেখানে নির্দিস্ট কোন ধর্মের নাম উল্লেখ করে জাতীয় সংকীর্নতার পরিচয় দেওয়া জাতীয় পশ্চাদপদতার পরিচয়।
অতএব ,অন্তত সুশিক্ষিত জনগন এগিয়ে আসুন ৭১ এর চেতনায় গড়ে ওঠা সংবিধানকে সমর্থন দিতে। জন লেননের সেই গানটা কানে বাজছে.....
"Imagine,there is no heaven....."
http://www.youtube.com/watch?v=2xB4dbdNSXY ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।