আমরা সবাই প্রায় ভুলতে বসেছি যে আমাদের দেশে এক সময় তিন হরিণের ছবি সংকলিত এক টাকার নোট ছিল। নোটগুলি এখন আর দেখাই যায়না, অথচ এই নোটগুলিই ১৯৭৯-১৯৯৩ পর্যন্ত মোট ১০ বার বাজারে ছাড়া হয়েছিলো।
আমরা অনেকেই জানি এক টাকা দুই টাকার নোটে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর দেওয়া থাকে; যেখানে অন্যান্য নোটে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরের স্বাক্ষর থাকে।
তিন হরিণের এক টাকার নোটের স্বাক্ষর বৈচিত্র ও বাজারে ছাড়ার সময়কাল তুলে ধরছি
১। প্রথম এই এক টাকার নোট বাজারে আসে সেপ্টেম্বর ১৯৭৯, আর স্বাক্ষর ছিল সে সময়ের অর্থ সচিব আবুল খায়ের
২।
এই নোট আবার মার্চ ১৯৮২ সালে বাজারে আসে সে সময়ের অর্থ সচিব গোলাম কিবরিয়ার স্বাক্ষরে
৩। তৃতীয়বার এই নোট বাজারে আসে জুন ১৯৮৩ সালে আর এতে স্বাক্ষর ছিল সে সময়ের অর্থ সচিব সাইদুজ্জামান এর
৪। চতুর্থ বারের মতো তিন হরিণের এক টাকার নোটা বাজারে ছাড়া হয় জানুয়ারি ১৯৮৫ সালে সে সময়ের অর্থ সচিব মুস্তাফিজুর রহমান এর স্বাক্ষরে
৫। ১৯৮৮ সালের জুন মাসে এই নোটটি আবার বাজারে আসে গোলাম কিবরিয়া আবার অর্থ সচিব নিয়োজিত হলে
৬। ১৯৮৯ সালের মে মাসে আবার নোটটি বাজারে আসে তখন অর্থ সচিব ছিলেন এম কে আনোয়ার
৭।
১৯৯১ এর মার্চে তখনকার অর্থ সচিব খোরশেদ আলম এর স্বাক্ষরে আবার আসে, খোরশেদ আলম পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভণরও হন তাই তিনিই একমাত্র ব্যাক্তি যার স্বাক্ষর বাংলাদেশের সব মূল্যমানের কাগজের নোটেই (তাঁর সময়ের) পাওয়া যায়।
৮। জানুয়ারি ১৯৯২ এ খোরশেদ আলম মূখ্য অর্থ সচিব নিয়োচজত হলে খোরশেদ আলম মূখ্য অর্থ সচিব এই স্বাক্ষরে আবার বাজারে নোটটি ছাড়া হয়।
৯। মে ০৮, ১৯৯৩ নাসিমউদ্দিন আহমেদ অর্থ সচিব নিয়োজিত হলে নাসিমউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত নোটটি বাজারে আসে।
এরপর মে ৩০, ১৯৯৩ শেষ বারের মতো নাসিমউদ্দিন আহমদেরই স্বাক্ষরে আবার বাজারে ছাড়া হয় 'নিরাপত্তা সুতা' পরিবর্তন করে।
তথ্যসূত্র: পেপার মানি অব বাংলাদেশ, ছবি: লেখক। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।