রহস্যময় গ্যালাক্সি ঘুরে, অসীম আকাশে উড়ে আর সাগরের অতল গভীরে ডুবে আমৃত্যু পান করতে চাই ভালোবাসার অমৃত সুধা... আমি তখন নটরডেম কলেজে পড়ি। আরামবাগে থাকতাম। প্রায়ই কমলাপুরে যেতাম পত্রিকা, ম্যাগাজিন বা ট্রেনের টিকেট কাটার জন্য। দুইবার আরামবাগ থেকে কমলাপুরের দিকে যেতে ডান পাশের ফুটপাত দিয়ে মোটামুটি বেগে হেঁটে যেতে দেখেছি পপগরুকে। আমার সাথে এক দু'জন বন্ধু থাকতো।
তাদের একজনকে বললাম- আজম খান না? কথা বলার সাহস তখন আমাদের ছিল না। আমরা পাশের চায়ের দোকানীকে জিজ্ঞেস করতাম- সংগীত শিল্পী আজম খান না? চা দোকানী জবাব দিত- চেনেন না? উনিই তো আজম খান। উনার বাড়ীতো ওই সামনেই। আমরা আশ্চর্য হয়ে বলতাম- তাই নাকি? এতো কাছে থাকে অথচ আমরা জানিই না! পরে কয়েকজন বন্ধু মিলে খুব ভোরে আজম খান যখন হাঁটতে বের হতেন তখন সময় করে ওই ফুটপাতের পাশে দাঁড়িয়ে থাকলাম। মজার ব্যাপার হচ্ছে খুব সহজেই গুরুকে পাওয়া যাবে একইভাবে এই পথে তা যেন আনন্দের বিষয়ই হলো আমাদের কাছে।
আজম খান স্বাভাব সুলভ ভাবেই হেঁটে যাচ্ছেন। ধরে বসলাম। ভাইয়া বলে ডেকে তাঁকে থামালাম। পরিচয় দিলাম- আমরা নটরডেম কলেজের ছাত্র। উনি খুশি হলেন, বললেন- তোমরা জানো এই নটরডেম কলেজেই আমার প্রথম স্টেইজে গান করা।
আশ্চর্য ও খুশি হলাম। গর্ব বোধ হলো আমাদের। তারপর আর চেষ্টাও করা হয়নি। দেখাও হয়নি। তবে তাঁর অনেক জনপ্রিয় গানের ভক্ত আমরাও ছিলাম।
ক্যাসেট সংগ্রহে রেখেছি প্রায় সবগুলোই। এই মানুষটি এই ভাবে চলে যাবে ভাবতেই বড্ড কষ্ট হচ্ছে। কষ্ট বোঝানো মুশকিল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।