যদি মানুষ না হই তবে যেন আবার জন্ম নিই মানুষ হয়ে. . . কথায় কথায় ডাকা হয় হরতাল। বন্ধ করে দেয়া হয় সচল রাষ্ট্রের চাকা। অর্থনৈতিক মানদন্ডে বেত্রাঘাত করে করে ভেঙ্গে দেয়া হয় মেরুদন্ড। নির্বচিারে আহত ও নিহত করা হয় মানুষ। দৈনিক শ্রোমজিবীদের মুখের আহার কেড়ে নেয়া হয়।
দরিদ্রদের ছুড়ে দেয়া হয় আরো দারিদ্রতার অগ্নিআলয়ে । কিন্তু কেন? কি অপরাদ আমাদের? কি করেছি আমরা? কি অপরাধে দারিদ্রতা, অশিক্ষা, অনৈতিকতা, হেয় মানসিকতার আস্তাকুড় তৈরি করা হচ্ছে আমাদের ও আমাদের আগামি প্রজন্মের জন্য ? এ দেশ স্বাধিন হয়ে কি ভুল করেছে? ভুল হয়েছে কি ত্যাগী সেই লাখো শহিদের রক্ত দান? এই দেশটি দেখার জন্য কি আমাদের ঘরের কর্তা মানুষ আর আপন জনটি যুব্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন? জানি কেউ তার উত্তর দিবেনা, দিতে পারবে না। আজ সে প্রধান মন্ত্রি দেশ দেশ বলে মুখে ফেনিল সলিল তুলছেন, যে বিরোধি নেত্রি ঘোষক ঘোষক বলে জীবন অবসান করেছেন তাদের পিছন কি বলে? আমাদের সোনার দেশের প্রধান মিন্ত্রি সুযোগ্য সোনার ছেলে থাকেন সোনার দেশে(আমেরিকা)। সংসার পেতেছেন হীরা আর জহরতের মাঝে। কন্যা থাকেন সেই সোনার দেশেই।
বলা যায় ওনার পরিবারটাই থাকেন সেই জহরতের মাঝে। তিনি প্রধান মন্ত্রি না হলে তিনিও থাকতেন কিনা আমি জানি না। তবে মুখ পোড়া হলেও এ কথা বলতে পারি, যার সব চেয়ে আপনজন পুত্র কন্যা আর পরিবারটিই থাকেন পরদেশে সোনার মখমলে আবৃত অট্রালিকায় তিনিই কিনা বলছেন এদেশ সোনার দেশ! লোভ দেখাচ্ছেন এদেশের অগনিত বলদকে। হায় ভগবান তুমি বড় লিলা জানো! না হলে কেন এ সুদক্ষ প্রতারণা? আরেক জন মহামানি এই কাজটি না করলেও ওনার পুত্রদ্বয়কে স্বপ্ন দেখতে হয় মালশিয়া অষ্টেলিয়া আমেরিকা সুইজারল্যান্ড নিয়ে। এদেশের মানুষ তো অপয়া পচা নষ্ট তাদের নিয়ে বানিজ্য করা যায় না।
টাকা লগ্নি করতে হয় মাহাথির দেশে। করতে হয় যা ইচ্ছে তাই। হে ইশ্বর তুমি অন্ধ না হয় তোমর সৃষ্টি বাঙলি নির্বোধ। তবু আমরা সর্বস্ব বিক্রি করে নিজের ভোটটি ঢালি তাদেরই পাত্রে বারবার। আজকে আমার নিজেকেই একজন ভোটার দাবি করতে ঘৃণা হয়।
ভোট দিই নি গত ভোটে। দিবও না যদি না সূর্য উঠে। হে মানুষ ফিরে দেখ তোমার দিকে । নিজের দিকে একবার তাকাও। ভেবে দেখ কি করছ তুমি।
তুমিই যখন দুধ কলায় পোষছ সর্পের ছানা তখন কিন্তু সে সর্পে ধংসিলে তা হবে তোমারই পাপ। চেয়ে দেখ কাকে পাঠাচ্ছ ওই ভাগ্য লেখার ঘরে! যারা নিজের ঘরের হাড়ি নিয়ে প্রতিদিন টানাটানি করে আচঁল বেঁধে, যারা ভুলে যায় তারা রাষ্ট্রপ্রধান তাদের কেন মিছে সম্মান দেয়া? এদেশে যাদের আগমনি সিগনালে পরে একজন নাগরিক মারা যায় হাসপাতালে না পৌ্ছাতে পেরে, যাদের আগমনি সিগনালে পরে চাকরি হারাতে হয় কোন মেধাবিকে, যাদের স্বার্থ নষ্ট হয়ে তোমাকে পচে পচে মরতে হয় কারাগারে, যাদের অর্থ ভান্ডার ভাড়ি হয় তোমারই রক্তের ফোটায় তাদরে কেন তোমার প্রিতি রসে সিক্ত করা? ঘুড়ে দাঁড়াও বোলা বাঙ্গালি। নিজেকে চিন। এ দেশ তোমার, এ মাটি তোমার, এ আলো বাতাস তোমার, তোমাকেই ভাবতে হবে। না বুঝে ভেবো না।
অবুঝের সঙ্গে যেও না। তোমার হাতে কাজ করো তোমার দেয়াল শক্ত করো। আমরা আজ অসহায় তাদের কাছে। ভোটের সময় হলে তারা কেউ কাঁদে, কেউ মোনাজাত ধরে, কেউ বাবা বলে, কেউ ভাই বলে, কেউ পাজরে টেনে নেয়, কেউ বলে আমি তোমার কন্যা। ভোট গেলে ঘাড়ে লাথি মারে কষিয়ে।
দেখোতো, যারা কেঁদেছে তারা গত বছর গুলোতে কোন একদিন কেঁদেছে কিনা! যারা ভাই বলেছে তারা কেউ তোমাকে একবার জড়িয়ে ধরেছে কিনা! অথচ দেখো তারা ফুলে ফেপে হয়েছে অনেক মোটা। এ হলো তোমার আমার দেশ। প্রতারকের কথিত সোনার দেশ। সাবধান ভাই। সাবধান বোন।
. . . বন্ধু তোমার পথের সাথিকে চিনে নিও, চির দিন তারে মনের মাঝেতে ডেকে নিও. . . ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।