বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility আমার ইয়াহু আইডিটার লিস্টি অনেক বড়...
পুরান তাই । কিন্তু অত মানুষ লগইন থাকে না । ২ কি ১ জন অনলাইনে থাকে । আর সবার সাথে কথাও হয় না । হয়ত আমি নক করি না বা তারা ব্যস্ত থাকে ।
তবে মূল কথা এইটা না ।
মাঝে মাঝে এরকম হয় না. মাস ২ এক বা দীর্ঘদিন বা হঠাত হঠাত এই রকম ভাবের উদয় হয় !
তখন হয়ত বাবা মার সাথে কথা বলি, একসময় বোনের সাথে বলতাম কিন্তু আমার আর তার মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে । হুম, অনেক কিছুই আছে সৃষ্টি করার মত অর্থকড়ি, সম্পত্তি, পরিবার স্বামী-বাচ্চা-সংসার, নিজস্ব জগত, দূরত্ব ইত্যাদি ব্লা ব্লা । কিন্তু হয় কথা হয়, তবে পিচ্চি কালের মত নয় । কারন তার ভাবনা মূলত তার নিজের একান্ত পরিবারকে নিয়ে ।
.... তাকে নিয়ে আর কথা বাড়ালাম না ।
মাঝে মাঝে পুরান বন্ধুদের সাথে কথা হয়, তারাও ব্যস্ত , কেউ পড়াশুনা, কেউ ব্যবসা বা পরিবার পরিজন নিয়ে । সবাই নিজস্ব গন্ডি রচনা করেছে, হয়ত এখন আমার পালা ।
ফোনালাম এর পাশাপাশি কবিতার ব্লগ পড়া, বুঝার চেষ্টা করি, কেন জানি কবিতা পড়লেও মাথায় ঢুকে না । কবিতা বুঝার ফাংশনটা হয়ত আমার নাই ।
মন একা একা হলে চ্যাটরুমে ঘুরে বেড়াই । এইটা আরেকটা ব্যারাম । বাংলা চ্যাট রুমে চ্যাটের ইংরেজিই চলে , এইটা খুবই হাসির উদ্রেক হয় আর কি । সদূর বাংলা থেকেও প্রশ্ন আসে , ডুড হোয়াটস আপ,,, আমি বলি , আলেস গুতে এরপরেই কেটে পড়ি । ডিজুস এর সাথে হিটলারী কায়দাই ভাল ।
তবে মাঝে মাঝে চিন্তা খুবই ডিপ যায় যে, ঘুমাতে কষ্ট হয়, যদিও ক্লান্ত হলে আমি এমনিতেই ঘুম যাই । আমার তেমন বদ অভ্যাস নাই চা-কফির বা চিক-সিগার বা এ্যালকোহোলিকার বা চিকস এর অভ্যাস নাই দেখে । ঘুম এ তেমন বিশৃঙ্খলা হয় না । কিন্তু মাস কয়েক পরে হয় ।
মাঝে মাঝে আশা করি অনেক কিন্তু নিরাশার বৃষ্টিই হয় বেশী
কল্পনার কেশরাজি হানা দেয়, মুগ্ধ করে মন ।
কিন্তু বাস্তব বহুদূর । মাঝে মাঝে চিন্তা করি, আমি কি সাধারনের মত থাকতে পারতাম না, এত অসাধারন হওয়ার দরকার ছিল কি ?
এই লাইফ বা জীবনটা হওয়া দরকার ছিল যাদের দরকার তাদের, আমার অতীতের সাথীরা এই জীবনটা পেলে উপকৃত হত না বরং আরও খুশী হত, তাদের জন্যই এটা । আমি হয়ত ভুলে এই সুশৃঙ্খল জঙ্গলে এসে পড়েছি । নিয়তির ভুল বললে আরও বড় ভুলই হবে, সেটাও জানি । কারন বিধাতা চেয়েছেন তাই হয়েছে ।
কিন্তু আর সবার মত নিজেকে মোড়া ঘোরাতে পারছি না, তাদের শ্রোতে মিশতে পারছি না ।
নিজের শিক্ষাই নিজেকে বাধা দিচ্ছে ।
স্রোতের সাথে গা ভাসানী কি ঠিক কিনা জানি না, অনেকে এই ভাসানোর মধ্যেও ঠিক রেখেছে দিক ।
এক সময় প্রয়োজন ফুরিয়েছে সাধারন সংসার শুরু করেছে । কিন্তু আমার নীতিবোধই কেন জানি বার বার এই শৃঙ্খল রাজ্যের উশৃঙ্খল পটভূমি থেকে দূরে রাখছে ।
কিন্তু এর আভা পাচ্ছি যা আমাকে টানছে ।
আসলেই নফসের বিরুদ্দে লড়াই করা খুবই কঠিন কাজ ।
আর একে কাউন্টার করাও সম্ভব না, কারন আমার সাথে কারউ মিলে না । কেউ যদি বলে উত্তর আমি বলি হইছে, দক্ষিনই ভাল
কেউ এর বাহিরে না, পরিবারও নতুন কারও সাথে সম্পর্কের জের ধরলে ১০০ ভাগ বংশ পরিচয়, বাবা মা কি করে, হেন তেন, সচ্ছলতা কি রকম, সামাজিকতা বা বর্তমান স্ট্যাটাস কি , কতদূর দৌড়.. হেনতেন.. কেউ উত্তম রূহ এর পিছে ছুটে না । আমিও ছুটি না কিন্তু জিনিসটা বুঝি হয়ত আমল করতে পারি না ।
চেষ্টা করি নিজেকে নয়ট্রাল রাখতে , কিন্তু আজকালকার নয়ট্রালিঠেট আর নাই । কেউ না কেউ পক্ষপাত দুষ্ট ।
আমি ছোট থাকতে পরিবারের সবাইকে ১০০ভাগ কারেক্ট বা সঠিক মনে করতাম + শিক্ষক সবাইকেই , সহপাঠীদের ব্যতীরেখে , কারন তারা যাঊরা ছিল ।
কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝলাম মানুষ ভুলও করে, আর ভাল করেই করতে পারে, সে যে কেউ হোক । আর তার চিন্তা চেতনা এক হবে না ।
মনের মিল হবে না । কিন্তু আল্লাহ মালুম, কেমনে কেমনে যেন আমার বাবা মা দুই কলসির বেজে সারা জীবন সংসার করে যাচ্ছেন তেমনি শতকোটি মানুষ এই বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে এই অমিলকেই ধরে রেখে !
মাঝে মাঝে আজিব লাগে । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।