এখানে পিঁপড়ার কামড় ফ্রি!! ধৈর্য অত্যাধিক না থাকলে পড়তে যাবেন না। আগে থেকেই বলছি- সৃষ্টি সবসময়েই সৃষ্টি,ভালবেসে হয়। এখানে প্রসব বেদনার মত অন্তর্বর্তিকালীন পর্যায় থাকে। আর থাকে চিমটি সমান আবেগ।
ভয়
এখন আর আগের মত ভয় লাগে না
গতদিনের মত চোখ রাঙ্গানি দেখে হোঁচট খাইনি আজ
বাংলা ভাষার মাটিতে কত জনেরইতো ছিন্ন্য দেহ মিলেছে -
গলিত কিংবা অর্ধ-গলিত, ড্রেনের ধারে কিংবা
উঁচু ভবনের পানির ট্যাংকিতে।
যে যুবকটা সিড়ি বেয়ে অত উঠত না কখনো
আকাশ সমান ইমারত দেখে যার শুধু কপাল কুঁচকেছে
সামান্য উচ্চতায় পা গেলেই জীবনের ভয়ে কুঁকড়ে যেত
সেই অতিসামান্য যুবককে উঠতে হল তারার পাশাপাশি
অত ভয়ের শরীর যে থামেনি মাঝে কোথাও,
সামান্য সময়ের দাবী নিয়ে মিষ্টিকে বলা হয়নি -
ভাল থেক,দেখা হবে আবার,হয়তো আরো বছর পঞ্চাশেক পর,
খেয়াল রেখ তোমার আমিতে!
যে কিশোরীর ডাস্টবিনের ময়লার ভোদকা গন্ধে
বুকের রুমালে নাক চেপে রাস্তাপার
ড্রেনের পানিতে পড়ে যাওয়া টেনিস বলের মায়া ছেড়ে
কড়া নোটের কুচকানো কুড়ি টাকায় নতুন বল কিনত
সেও পড়ে রইলো রাস্তাপারের ঠিক সেই ডাস্টবিনের পাশের
মলের স্রোতে ড্রেনের জলের সাথে সখ্যতা নিয়ে আজন্মের।
ফটোসাংবাদিকদের জন্য নতুন তাজা খবরের যোগান দিতে
রাত বিরাতে লিঙ্গের বৈষম্যতায় সেও ধর্ষনের পর
খুনের হাত থেকে রক্ষা পায় নি,এখন সেই ড্রেনের জলই
আপন থেকে আপনতর হচ্ছে।
তবে কেন আমার মৃত্যুভয় থাকবে?
অন্ধ গলির সিঁড়ির কোণে
গলিত লাশের পরিচয়ে সংবাদে আসতে ভয় কি?
মৃত্যু আসলেই কি ভয়ে আঁচড়ে পড়তে হয় নাকি?
খুনি তো খুন করেই যাবে
তাই বলে প্রতিবার মরব কেন,একবারে কি শেষ নয় সব?
জীবন একবারের হলে কেন এতবার মরন সইবো?
অথচ আজ মরনেও মরি না,
যখন শেষ বিদায়ের ক্ষণ হয়ে আসবে
হয়ত আজমিনাকে বলতে পারব না শেষবারের মত-
তোমাকেই পরাণে বেঁধেছিলাম সখি!
শেষবারের মত হয়ত আক্কাসের দোকানের ফাঁটাবেঞ্ছিতে বসে
ছেড়া স্যান্ডেলের পা আয়েসে তুলে ব্যান্সনে টান দিয়ে যাব না
তবু একবারই মরব,বারবারে না।
তাই মহামতি শাসন কর্তা -
বারেবারে শেষের কথা শোনাবেন না।
শেষ যেন একবারই হয়,
জীবন যে বড় সহজ,এটা যে রাজনীতি নয়।
।
১২/৩/২০১৩
৩.৪১ রজনি সময়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।