আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তবু জেনে রাখিস ফেলানী, বন্ধুত্ব করেছিলাম ভালোবাসায়। একাত্তরের অভিধান আমি এখনো বেঁচেনি...

বুকে জমা ---- দীর্ঘশ্বাস কারাগারের গরাদে মাথা কুটে মরা আমার বাক স্বাধীনতা । শোষকের ভয়ে বিনীত- কাপুরুষের মতো -- জীবন যুদ্ধে পরাজিত আমরা। একটা রাইফেল, একটা সীমান্ত। একটা ভিনদেশী বুলেটের আততায়ী অনুপ্রবেশ। কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে কিশোরীর লাশ! ধর্ষিত পতাকায় আমার অক্ষম বর্ধিত দীর্ঘশ্বাস ফেলানী - আমার ভৌগলিক সীমান্তে লুণ্ঠিত জাতীয়তা।

কাঁটাতারে গেঁথে রাখা ভণ্ডামির মানবতা। ফেলানী - আমার কুৎসিত মৈত্রী সমৃদ্ধির বেশ্যা প্রবৃত্তি। ভাড়ামির বন্ধুতার দায় দণ্ডিত জাতির পতাকা। তবু জেনে রাখিস ফেলানী, বন্ধুত্ব করেছিলাম ভালোবাসায়। একাত্তরের অভিধান আমি এখনো বেঁচেনি।

"আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই, আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ননৃত্য দেখি, ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতর- এ দেশ কি ভুলে গেছে সেই দু:স্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময়? রক্তের কাফনে মোড়া কুকুরে খেয়েছে যারে, শকুনে খেয়েছে যারে; সে আমার ভাই, সে আমার মা, সে আমার প্রিয়তম পিতা। স্বাধীনতা - এ কি তবে নষ্ট জন্ম? এ কি তবে পিতাহীন জননীর লজ্জার ফসল? জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন! বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে ......................................" ফেলানী আমার - তোর জীবনের দামে চুপ মেরে থাকে দেশের সম্ভ্রম! আমিও ওদের মতো নির্লজ্জ জনগণ। আমায় ক্ষমা করিস ফেলানী! ১৪ কোটি জনগণ তোকে বাঁচাতে পারেনি! _____ শহরতলী'র "ফেলানী'২০১১" কথা: গালিব সুর: মিশু আবৃত্তি: সোহাগ মূল কবিতা: রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ [link|http://doridro.net/download/!Recently released album/Hatiar - Band Mix By Durey/Hatiar - Band Mix [CD1]/12. Felani [Doridro.com].mp3.html|ডাউনলোড লিঙ্ক - ] আমার ক্ষুদ্র বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছিলো এই গান। ফেলানীর ঘটনার পরে , ভারতের নাম শুনলেই আমার কেমন জানি মেজাজ বিগড়ে যায়। ভারত নিয়ে যে কি পরিমাণ তীব্র বিদ্বেষ এ দেশের মানুষের মনে আছে - তা ভারতও জানে।

একদিন ভারতকে জবাব দিতে হবে - এর জন্যে। সেই দিন আর বেশী দূরে না , যেদিন ভারত হবে সবচেয়ে ঘৃণার শব্দ। কারণ, একটা কথা আছে - প্রত্যেককেই তার মুদ্রায় হিসেব দিতে হয়। অপরাধ কখন চিরদিন টিকে থাকে না। মাইন্ড ইট।

এককালের দোর্দণ্ড প্রতাপশীল সোভিয়েত ইউনিয়ন , যে কিনা আমেরিকার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল - তারা আজ সামান্য স্নোডেনকে আশ্রয় দিতে ভয় পায়। পাছে, আমেরিকা খেপে যায়। ভারত - সময় সব সময় এক থাকে না। ব্রিটিশরা একদিন সারা দুনিয়া শাসন করেছে , আজ তার ছিটেফোঁটাও নেই। আজকে আছে আমেরিকা।

সেও যে বেশি দিন থাকবে না - সে বিষয়ে নিশ্চিত থাকা যায়। তাই আবার বলছি - ভারত - সময় সব সময় এক থাকে না। সময় উল্টালে আমরাও একদিন এর প্রতিশোধ নিবো-মাইন্ড ইট। আজকে বিএসএফ একটা পাকি সীমান্ত রক্ষী মারলে , সাথে সাথে আর একটা বিএসএফ এর লাশ পড়ে যায়। ওদের সে ক্ষমতা নাই।

ভারতীয় নাগরিকদের সে শৌর্য-বীর্য নেই - যে সম্মুখ সমরে অবিচল থাকবে। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নেটিভ ইন্ডিয়ানদের চেয়ে শিখদের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। হিন্দু প্রধান দেশ হয়েও শত শত বছর থেকেছে - মুসলমানদের অধীনে। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর , খন্দকার মুশতাক সরকারকে যে প্রথম দশটা দেশ স্বীকৃতি দেয় - ভারত তার একটি। ইতিহাস কথা বলে।

আর কি জানতে চান - এরই নাম বন্ধুত্ব! বিডিআর আর বিএসএফ সম্মুখ সংঘর্ষে - যে বিডিআরের কম সংখ্যক জওয়ান মারা গিয়েছিল সেটা সবাই জানে। সেই জেরে , দেশে ওরা ঘটাল পিলখানা। মুছে দিলো বিডিআর। আমরা সবাই সব জানি। তবুও চুপ করে থাকি।

না জানি দলের স্বার্থে লেগে যায় , না জানি ব্যবসার স্বার্থে লেগে যায় - এ ভয়ে আমরা তটস্থ। আমাদের মনে রাখতে হবে , আমাদের পূর্ব প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো দেখে আমরা তাদের নাম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি , কিন্তু আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের নাম কিভাবে স্মরণ করবে - ঘৃণার সাথে না শ্রদ্ধার সাথে?? বিষয়টা আমাদেরই বেছে নিতে হবে! কাঁটাতারে ফেলানি যুলছে না , যুলছে বাংলাদেশ!! এই কথাটির অর্থ যখন আমার পরবর্তী বংশধর জিজ্ঞেস করবে - তখন আমি জবাব দেবো , সেটা আমি এখনো বের করতে পারিনি। আপনারা কেউ কি পেরেছেন? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।