বাংলাদেশের আবিস্কৃত অনাবিস্কৃতগ্যাস,তেল এবং বিশাল সুপেয় পানির আধার,বিপুল সস্তা শ্রমশক্তি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা। রবার্ট বক্করিয়া হন্ততন্ত করে বলল, কামান দিয়ে হাতি মারা যায়,ইরাকের লোক মারা যায়,আফগানিস্তানের মোল্লাদের মারা যায় কিন্তু মশা মারব কেমনে?
অ্যাডাম ফস্টিনষ্টি মুচকি হেসে বলল, মিঃ বক্করিয়া ডোন্ট ওয়ারী সেই ব্যবস্তা আমি করব। আপনি তো জানেন আমাদের বুশ প্রশাসন কত সুচারুভাবে টুইন টাওয়ার ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয়েছে। আপনি তো জানেন, ধ্বংসযজ্ঞের এই ইনভেস্ট-এর কয়েকশ গুন বেশি লাভ আমরা ইতোমধ্যে আমরা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি শুধু ইরাক আর আফগানিস্থান থেকে। ইরাকের অফুরন্ত তেল আর আফগানিস্থানের আফিম ব্যবসা এখন আমাদের করতলে।
হেঃ হেঃ হেঃ । আমাদের ভয় ছিল সেখানকার কর্মরত সাড়ে তিন হাজার ইহুদী বেজন্মাদের নিয়ে।
“ছিঃ ছিঃ আপনি ওদের বেজন্মা বলছেন কেন? আপনি কি জানেন এই শব্দটা একপেশে হারামজাদা বলার মতোই। ”
শুনুন বক্করিয়া, আপনি ,আমি,আমাদের মহামান্য প্রেসিডেন্ট ওবামা এমনকি সারা আমেরিকানরাও জানে যে,শুধু জানে বললে ভুল হবে বিশ্বাসও করে ইহুদীরা বেজন্মা। অন্যর জমি দখল করে তারা শুধু টিকেই আছে না ,বংশবৃদ্ধিও করছে।
“কিন্তু ফস্টিনষ্টি সাহেব,একথা অস্বীকার করবেন কিকরে যে তাদের টাকায় আমরা গনতন্ত্র গনতন্ত্র খেলার ভেতর দিয়ে রাষ্ট্র শাসক হিসেবে অবতীর্ণ হই। আর বাংলাদেশ টাইপের দেশগুলোতে গনতন্ত্র গনতন্ত্র খেলার আয়োজন করি। ”
মিঃ ফস্টিনষ্টি দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল, দুঃখ করবেন না বক্করিয়া সাহেব। আমরা যা পেয়েছি,তাও পাওয়ার কথা না। সুতরাং গডের কাছে শোকর করুন।
এই যে আমেরিকা ইউরোপ মহাদেশ এখানে কী আছে বলুন। না কোন প্রাকৃতিক ধন সম্পদ না অন্যকিছু না সস্তাশ্রম না মায়া মমতা। তবু আমরা আর ইহুদীরা মিলে কি চমৎকার বিশ্ব শাসন করি।
“ মাহাথির মোহাম্মদ কিন্তু এ কথাটা বলেছিল। ”
“বলুক।
সমস্যা কী?”
“তবে মিঃ আপনি যে আমাদের এতসব নাই বললেন,এর ভেতর কিন্তু একটা জিনিস আছে। ”
মিঃ ফস্টিনষ্টি একটু অবাক হয়ে বলল, “ সেটা আবার কী”
“যৌনতা। অশ্লীলতা। আমাদের এ অন্ঞলে দিন রাত অশ্লীলতা চলে। ”
“আপনি সেটাকে অশ্লীলতা বলছেন কেন? আপনি কি জানেন আমরা প্রতিবছন শুধু ব্লু ফিল্ম রপ্তানি করে কোটি কোটি ডলার আয় করছি।
অবশ্য ইদানিং ইন্ডিয়া আমাদের কিছু মার্কেট নষ্ট করছে। বাংলাদেশসহ দক্ষিন এশিয়ায় তারা তাদের নষ্টামি ছেড়ে দিয়েছে। ”
“দিতে দাও। ওটা আলটিমেটলি আমাদের ফেবারেই আসবে। সিনেমা,বিজ্ঞাপন,সাহিত্য,পোশাক,গান ,নাচ তথা সর্বোপরি সাংস্কৃতির ভেতর দিয়ে আমরা ভিনদেশে বিশেষকরে মুসলিম দেশ গুলোর বাজার দখল করতে পারি।
আর ওদের ইমানতো যাবেই। আপনি অবাক হবেন,বাংলাদেশের মতো একটা ধর্মভীরু মুসলিম দেশে আমরা সাদা আলকাতরা বিক্রয় করি ভেরি ভেরি সেক্সি বিজ্ঞাপন দিয়ে। আপনি আরো অবাক হবেন,ঐ দেশে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯৬ এর গনতন্ত্র গনতন্ত্র খেলার পূর্বে মাথায় হিজাব বেধেছিল। অথচ তিনি ই কিনা কিছুদিন পূর্বে আমার সাথে হ্যান্ডসেক করে গেলেন। ”
“কেমন ?”
“পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতটা বেশি নরম”
“আমাকে শেষ করতে দিন।
ঐ দেশে আমাদের অশ্লীলতা এতটাই কাজ করেছে যে, ওরা বর্তমানে তাদের সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ,আল্লাহর উপর পূর্ন আস্থা উঠিয়ে দিল। শুধু তাই নয়,ইসলামী ফাউন্ডেশনে আমরা একটা লোককে বসানোর তদবির করেছিলাম ডিজি হিসেবে। উনি তো সারাদেশের মসজিদের ইমামদের ডেকে এনে আমেরিকান নৃত্য দেখালো। ”
“ ঐ সবই আমার জানা আছে। এটাও জানা আছে যে ,হালিম নামক ইফার এক কর্মকর্তা শেখ মুজিবের মাজার জিয়ারত করতে গিয়ে গোপন এক ঘরে বেশ্যা নিয়ে রাতভর মেতে উঠেন এবং গনধোলাইয়ের শিকার হয়ে চাকরিচ্যুত হন ।
অবশ্য জিজি সামীম আফজাল উনাকে রেখে দেয়ার আপ্রান চেষ্টা করেন। তবে মিঃ একটা জিনিস আমার মাথায় ঢুকছেনা,হুজুররা তখন ( ডিচে নাচ দেখার সময়) তেমন কথা না বলে পরে কেন প্রতিবাদে ফেটে পড়ল? আমি অবাক হই এরাই নাকি একটা সময় ইসলাম বিরোধী লেখালেখির জন্য তসলিমা নাসরিন নামক এক রমনীকে দেশ ছাড়া করেছে। ”
“দেশ ছাড়া করল কই। ওরা তো শাস্তিই দিতে চেয়েছিল। আমরা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে ধমক দিয়ে বললাম,খবরদার কান ফাটায়া ফেলব,ভাল চাসতো বিদেশে পাঠায়া দে।
”
“আচ্চা আমি তখনো হোয়াইট হাউসে আসিনি। একটা ব্যাপার আমি বুঝলাম না । আমরা সালমান রুশদি কে আশ্রয় দিলাম কিন্তু তসলিমাকে দিলামনা কেন?”
“ দেখুন প্রথমত রুশদি আর তসলিমা দুজনেই কোয়ালিফাই ইসলাম অবমাননায়। বাট তসলিমার বই অনেকটা চটি স্টাইলের। আপনারও ভাল লাগবেনা।
তাছাড়া সে ইংলিশ তেমন পারেনা। তাই আমরা ইন্ডিয়ার কমিউনিস্টদের বললাম দাদ্দু,তোমরা তসলিমাকে পালো। আমরা রুশদিকে পালি। আর জানেনইতো ইন্ডিয়ানদের কিছু নারীলোভ আছে”
“শুধু ইন্ডিয়ানদের দোষ দিয়ে লাভ নেই । সেটা আমাদের ও আছে।
কিন্ত আই এম এফ এর কান বেচারা কেমন ফেসে গেলেন। তার কি শখ আহলাদ করতে নেই? বাংলাদেশের মতো একটা ফকির রাষ্ট্রেও ধর্ষনের সেন্চুরি করা ছেলেরা সরকারের আনুকুল্য পায়, আর আমরা...........”
“ বাংলাদেশে তো মাজারের পীরদের আগে হযরত শব্দটা ইউজ হয়। কিন্তু আপনি যে শেখ মুজিবের মাজারের কথা বললেন.........”
“ থামুন থামুন আমি বলছি। শেখ মুজিব কিংবা জিয়াউর রহমান কেউই পীর আউলিয়ার ধারে কাছেও নাই কিন্তু উনাদের অনুগতদের শখ তারা উনাদের কবরকে মাজার বলে ডাকবে। অবশ্য বাংলাদেশে কদিন পর যদি হযরত হুজুরে কেবলা শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগন্জী বলা হয় তাতে অবাক হবার কিছু নেই ।
ওদের পেটে খানা না থাকলেও শরীরে তেজ আছে। ” ৩/৬/১১ (চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।