আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কে এই গোলাম আযম!

বাংলা আমার দেশ প্রথম যখন একটু একটু বুযতে শিথি তখন দীদা কে যুদ্ধের দিনের গল্প বলতে বললে দীদা গল্প(তখন কার দিনের তার বাস্তব অবিগতা) বলতে বলতে একটা পর্যায়ে দীদা খুব আবেগপ্রবন ভাবে বলতেন দাদু ভাই ঐ পাকিস্তানি দুসর রা তর ভরচাচো ও দাদু কে খুনকরেছে। তখন কিছু বুযতাম না মনে মনে ভাবতাম দীদা এত রাগকরছেন কেন । ১৯৯৮ এর এক বিকালে দীদা কে নিয়ে টিভি(খবর) দখেছি হঠাং দেখি দীদা অঙ্গান । পরে আম্মু আমাকে অনেক বকলেন এবং যা বললেন দীদা গোলাম আযম কে দখলেই অঙ্গান হয়ে যান । এই সই গোলাম আযম যাকে দেখলে একজন শহীদের স্তী অঙ্গান হয়ে যান ।

এই সই গোলাম আযম যাকে দেখলে একজন শহীদের মা অঙ্গান হয়ে যান। এই সই গোলাম আযম যাকে দেখলে একজন মুক্তিযুদ্ধার মা অঙ্গান হয়ে যান। ২০০৮ সালে তখন আমি BUET এর ছাএ দীদা আমাকে বলেছিলেন এই পশুদের বিছার হবেকিনা আমি বলেছিলাম দীদা তুমি দেখ অদের শাস্তি হবে । আজ আমার দীদা নেই যদি তাকতেন আমি তাকে কি জবাব দিতাম বিচারের নামে যে প্রহসন করল সরকার । মাননিয় প্রধান মন্তী আপনি জাতীর পিতার সন্তান হয়ে কিবাবে আমার দীদার মতন অসহায় এক মায়ের সাথে প্রহসন করথে।

"ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আজম" তাই বলে ৩০লক্ক হত্যা এবং ৪লক্ক দর্শন বৈধ । তাইলেত প্রত্যেক মুক্তিযুদ্ধার ৩০লক্ক হত্যা এবং ৪লক্ক দর্শন বৈধ । তাইলেত সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধা দের আইনের উর্দে রাখা হলনা কেন? গোলাম আযমের এর কিছো কৃতী: গোলাম আযম ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল রবিবার বিকেল বেলা ঢাকায় গবর্নর হাউস (বর্তমান গণভবন) পিডিবি প্রধান নুরুল আমিন, মৌলভী ফরিদ আহম্মেদ, খাজা খয়ের উদ্দিন, একেএম শফিকুল ইসলাম, মাওলানা নুরুজ্জামান, হামিদুল হক চৌধুরী, জমিয়ত ওলামায়ে ইসলাম সভাপতি মোহসিন উদ্দিন আহমেদ, এ্যাডভোকেট এটি সাদীসহ ১২ সদস্যবিশিষ্ট এক প্রতিনিধি দল দখলকৃত বাংলাদেশের ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক লে. জে. টিক্কা খানের সঙ্গে এক ষড়যন্ত্র বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। এই বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা পাকিস্তান দখলদার সেনাবাহিনীর নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্য আলোচনা, পরিকল্পনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যাপক আকারে বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হয়।

এ ছাড়া গোলাম আযম প্রথম দফা সাক্ষাতের পর আবার ১৯৭১ সালের ৬ এপ্রিল বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে গর্বনর হাউসে (বর্তমান বঙ্গভবন) এ লে. জেনারেল টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করেন। যা ১৯৭১ সালের ৭ এপ্রিল দৈনিক আজাদ, দৈনিক পাকিস্তান এবং দৈনিক পূর্বদেশে ছাপা হয়। সূএ The Daily Janakantha মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের জামায়াতের আমির ছিলেন গোলাম আযম। একাত্তরে গোলাম আযম বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও প্রকাশ্যে তদবির চালিয়েছিলেন । একাত্তরের ২২ নভেম্বর তিনি পাকিস্তানে চলে যান।

১৮ এপ্রিল তাঁর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। ১৯৭১ সালে পর থেকে তিনি ৭ বছর লন্ডনে অবস্থান করেন। ১৯৭৮ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে আবার বাংলাদেশে আসেন এই জামায়াত নেতা। ১৯৯৯ সালে তিনি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমিরের পদ থেকে অবসরে যান। 'সূএ The Daily Ittefaq ৮ এপ্রিল ১৯৭১ সালে জামাতে ইসলামীর প্রচার সম্পাদক মওলানা নুরুজ্জামান ও জামাতের অপর নেতা গোলাম সারওয়ারের সাথে এক যুক্ত বিবৃতিতে গোলাম আজম মুক্তিযোদ্ধাদের ‘ এজেন্ট ও পাকিস্তান বিরোধী’ বলে আখ্যা দেন।

তিনি বলেন, ‘ভারতীয় বা পাকিস্তান বিরোধী এজেন্টদের বা অনুপ্রবেশকারীদের যেখানেই দেখা যাবে, সেখানেই পূর্ব পাকিস্তানের দেশপ্রেমিকরা তাদের নির্মূল করবে। ’সূএ Prothom Alo ৯ এপ্রিল ১৯৭১ রেডিও পাকিস্তান ঢাকা কেন্দ্র থেকে দেওয়া বেতার ভাষণে গোলাম আজম সবাইকে ‘স্বীয় প্রচেষ্টায় নিজেদের ভাগ্য প্রণয়নের আহ্বান’ জানান। ‘একাত্তরের ঘাতক দালালরা কে কোথায়’ শীর্ষক বইয়ে বলা হয়েছে, ‘ভাগ্য প্রণয়ন’ বলতে তিনি বাঙালিদের সম্পত্তি লুট করাকে বুঝিয়েছেন। এর কয়েকদিন পর শান্তি কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ইতিপূর্বেকার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রত্যেক দিন সকাল আটটা থেকে ১২টা এবং বিকাল তিনটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ে অফিস থেকে দোকান ও গৃহ বরাদ্দের জন্য ফরম বিলি ও দরখাস্ত গ্রহণ চলবে। ’সূএ Prothom Alo ১৮ জুন লাহোর বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গোলাম আজম বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থার আরও উন্নতির জন্য তিনি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে পরামর্শ দিয়েছেন।

ঠিক কী পরামর্শ ভেঙে না বললেও তিনি বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীরা এখনও ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত রয়েছে। ত্রাস সৃষ্টি এবং বিশৃংখলা অব্যাহত রাখাই তাদের উদ্দেশ্য। দুষ্কৃতকারীরা নকশালপন্থী ও বামপন্থী শক্তি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। জনগণ পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীকে পূর্ণ সাহায্য সহযোগিতা দানে ইচ্ছুক, কিন্তু জীবন নাশের জন্য দুষ্কৃতকারী হুমকি দেয়ায় তারা এ ব্যাপারে পূর্ণ সাহায্য দান করতে পারছে না। ’সূএ Prothom Alo ১৯৭১ সালের ১৪ আগস্ট আজাদী দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি আয়োজিত কার্জন হলের সভায় গোলাম আজম ‘পাকিস্তানের দুশমনদের মহল্লায় মহল্লায় তন্নতন্ন করে খুঁজে তাদের অস্তিত্ব বিলোপ করার জন্য দেশপ্রেমিকদের শান্তি কমিটির সাথে সহায়তা করার উদাত্ত আহ্বান’ জানান।

সবশেষে তিনি ‘শান্তি কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ ক্রমেই সরকারকে দেশের সংহতির খাতিরে পদক্ষপ গ্রহণ করা উচিত’ বলে বক্তৃতা শেষ করেন। সূএ Prothom Alo ২৩ আগস্ট লাহোরে জামাতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় গোলাম আজম বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীকে যারা অদেশপ্রেমিক দল হিসেবে আখ্যায়িত করেন, তারা হয় এ সত্য জানেন না বা স্বীকার করার মত সত্ সাহস নেই যে, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিষদাঁত ও নখ’ ভেঙে দেওয়ার জন্য পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের বহু সংখ্যক কর্মী দুষ্কৃতকারীদের হাতে প্রাণ দিয়েছেন। ’সূএ Prothom Alo ২৬ আগস্ট পেশোয়ারের সাংবাদিক সম্মেলনে গোলাম আযম বলেন, ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের মীরজাফরী ও ভারতের দুরভিসন্ধি হতে সশস্ত্র বাহিনী দেশকে রক্ষা করেছে। ’ এ সফরের সময় লাহোরের সাপ্তাহিক জিন্দেগীকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘২৫ মার্চের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী যে পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা ছিল এদেশের মাটিকে রক্ষা করার জন্য। এর আগেই অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল না কি’?সূএ Prothom Alo ১৭ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুরে ফিজিক্যাল ট্রেইনিং কলেজে আলবদর হেড কোয়ার্টারে এবং রাজাকার বাহিনীর প্রশিক্ষণ শিবির পরিদর্শন করেন গোলাম আযম।

রাজাকার ও আলবদরদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা অভ্যন্তরীণ দুশমনদের দমন করার কাজে যত তাড়াতাড়ি এগিয়ে আসতে পারবে, ততই তাড়াতাড়ি সেনাবাহিনী দেশকে শত্রুমুক্ত করার কাজে ফিরে যেতে পারবে। ’সূএ Prothom Alo ১৬ অক্টোবর বায়তুল মোকাররমে জামাতে ইসলামীর জনসভায় গোলাম আযম বলেন, ‘জামাতে ইসলামী গোটা দেশে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার জন্য নিরলসভাবে শান্তি কমিটির মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। ’সূএ Prothom Alo ২৭ নভেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে এক সমাবেশে গোলাম আযম বলেন, ‘আক্রমণই সর্বোত্তম পন্থা। ’ ৩ ডিসেম্বর করাচিতে পৌঁছে তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্র দপ্তরের ভার কোনো পূর্ব পাকিস্তানিকে দিতে হবে। কারণ এ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পূর্বপাকিস্তানিই তথাকথিত ‘বাংলাদেশ তামাশা’ ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারবেন।

’ মুক্তিযোদ্ধারা যখন ঢাকার কাছে এসে পৌঁছান, তখন গোলাম আযম জামাতের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহক কমিটির বৈঠকে যোগদানের নামে জামায়াতের সহকারী প্রধান মওলানা আব্দুর রহিম এবং প্রাদেশিক রাজস্ব মন্ত্রী একেএম ইউসুফকে নিয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে যান। পাকিস্তানে যাওয়ার পর সেখান থেকে গোলাম আযম মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী তত্পরতা চালিয়ে যেতে থাকেন। সূএ Prothom Alo ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানে বসে উর্দু ডাইজেস্টের এডিটর আলতাফ হোসাইন কুরাইশীকে গোলাম আযম বলেন, ‘উপমহাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম হিন্দু ও শিখ বাহিনীর নিকট প্রায় এক লাখ সশস্ত্র বাহিনী আত্মসমর্পণ করল। হাজার বছরের ইতিহাসে এতো বড় ঘটনা কখনো ঘটেনি। ইংরেজ আমলেও (১৮৩১) মুজাহিদ বাহিনী শিখদের নিকট আত্মসমর্পণ করেনি।

’সূএ Prothom Alo ১৬ ডিসেম্বরের পর জামাতের অন্যান্য যেসব নেতা ও কর্মী বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন, তাঁদের বেশিরভাগ মিলিত হন লন্ডনে। ১৯৭৬ সালের ১৮ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেসনোটে নাগরিকত্ব ফেরত পাওয়ার জন্য ইচ্ছুক ব্যক্তিদের আবেদন জানাতে বলা হয়। সঙ্গে সঙ্গে গোলাম আযম লন্ডন থেকে নাগরিকত্ব ফিরে পাবার দরখাস্ত করেন। ১৯৭৭ ও ৭৮ সালে তিনি আবার দরখাস্ত করেন। ২০ মার্চ ১৯৭৮ সরকার তাঁকে নাগরিকত্ব দানে অস্বীকার করে।

১১ জুলাই ১৯৭৮ তিনি পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে ঢাকায় ফেরেন। অসুস্থ মাকে দেখার জন্য মানবিক কারণে তাঁকে তিন মাসের ভিসা দেওয়া হয়। এরপর তিনি আর ফেরত যাননি। 'সূএ Prothom Alo এর পর ও আপনারা কী বলবেন?আমার খুব কষ্ট হয় যখন দেখি এক ঝাক মেধাবি তরুণ সব কিছু জানার পরও এই মানুষ রুপি পশু গুলোর মুক্তির জন্য আন্দুলন করে হতাল ডাকে । আমার কোন কষ্ট ছিলনা যদি তারা শুধু নীরভুধ মাদরাসার ছাএ হত ।

কিন্তু এখানে আনেক আছে BUET ,DUTE ,মেডিকেল বা পাবলিক ইউনিভারসিটির ছাএ । আমার পরিচিত অনেক মেদাবী ছাএ আছনে যারা জামাত বা ছাএসিবির সমর্থন করনে । আমার একটাই প্রশ্ন তাদের কাছে আমি যদি আপনার সামনে আপনার মা বা বোন কে দর্শন করি , আমি আপনার সামনে আপনার বাবা ভাই কে হত্যা করি । আপনি কি আমার মৃত্যুদণ্ড দাবি করবেন না । নাকি আমার মুক্তির জন্য আন্দুলন করবেন ?আমার তো মনেহয় নাকি আমার মুক্তির জন্য আন্দুলন করবেন আপনারা কারণ আপনারা মুসলিম নাম দারি জারজ সন্তান ।

যাদের নিজের মা , বোন , বাবা , ভাই , এর চেয়ে তাদের খুনি ,দর্শন কারির প্রতি দরদ বেশি । আপনারা জামাত-সিবির সমর্থনের পক্কে একটা গ্রহণ যোগ্য যুক্তি দেখান আমি কথা দিচ্ছি আমি আর কখনও তাদের বিরোধে কথা বলবনা । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।