আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০১১' ..তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আরো কঠোর করে খুব শিগগির তা কার্যকর করা হবে

------ গত ৩১ শে মে ছিল 'বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০১১' ......তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আরো কঠোর করে খুব শিগগির তা কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আফম রুহুল হক। সফলভাবে দিনটি উদযাপন করে বাংলাদেশ !!! সফলভাবে দিনটি উদযাপন করে বাংলাদেশ !!! সফলভাবে দিনটি উদযাপন করে বাংলাদেশ !!! শোভাযাত্রার একাংশের ছবি দেখুন-------!! মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে 'বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০১১' এর উদ্বোধন করে তিনি এ কথা বলেন। রুহুল হক বলেন, "তামাক নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে, কারণ বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রোগে ভুগে মৃত্যুর দ্বিতীয়তম কারণ এই তামাক সেবন। " ২০০৫ সালের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অসম্পূর্ণতা বা ফাঁকফোকরগুলো এরই মধ্যে সংশোধন করে খসড়া তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবসে তামাক ব্যবহারের ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং এর ব্যবহার কমানোর কৌশল গ্রহণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

তামাক নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সনদের বিষয়বস্তুকে সামনে রেখে এ বছর তামাক নিয়ন্ত্রণ দিবস পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রথম দেশ হিসেবে ২০০৩ সালে ওই সনদে স্বাক্ষর করে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সঠিক বাস্তবায়ন ছাড়া কাগজে-কলমে কঠোর আইন থাকলে কোনো লাভ হবে না। আইন ভঙ্গকারীকে শাস্তি দেওয়ার বিধান সম্বলিত ওই আইনটি বাস্তবায়নে সহযোাগিতা চেয়ে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। খসড়ায় ব্যক্তি পর্যায়ে আইনভঙ্গের জরিমানা ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে।

কোম্পানি পর্যায়ে এই জরিমানার হার হবে ১০ লাখ টাকা। এছাড়া জর্দা, সাদা পাতা ও গুলকে তামাকজাত পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া সিগারেটের প্যাকেটের ৫০ ভাগ জুড়ে তামাক সেবনে স্বাস্থ্য ঝুঁকির উপদেশমূলক কথা ছাপানো বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে ওই খসড়ায়। আইনটি কার্যকর হলে রেস্টুরেন্টে তামাক সেবনে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি শুল্কমুক্ত দোকানো 'শুল্কমুক্ত' সিগারেট বিক্রি করা আইনত অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এর বাইরে ১৮ বছরের কম বয়সীদের কাছে সিগারেট কেনাবেচা করা যাবে না।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে ধূমপায়ীদের দুই-তৃতীয়াংশই ১৭ বছরে পা রাখার আগেই ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়ে। তামাক উৎপাদনকারীদের নিরুৎসাহিত করার জন্যও কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী রুহুল হক। এর আগে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় ভূমি মন্ত্রী মুজিবুর রহমান ফকিরের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা করে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিউিট এবং হাসপাতাল। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।