আমার অফিসের নিচেই কেএফসি'র রেস্টুরেন্ট। প্রতিদিন বন্ধু বান্ধব থেকে শুরু করে আত্মীয় স্বজন অনেকেই অফিসে আসেন দেখা করতে। বাঙ্গালীর ভদ্রতা বলে কথা। চা-পানি খাওয়াতে হয়। নইলে মান থাকে না।
কিন্তু কেএফসি মান রাখাকে সুমহান পর্যায়ে নিয়ে গেছে। কিছু কিছু অতিথিকে (পড়ুন শ্বশুর পক্ষের কেউ, বহুদিন পর দেখা বন্ধু বান্ধব, ছোট বেলার বন্ধু) কেএফসি মাড়িয়ে ফুটপাতের চায়ের দোকানে নিতে মনে বাঁধে। বাধ্য হয়ে ........কি আর করা।
কেএফসির খানার মান যেমনই হোক, পকেটের মান ভাল না হলে কপালে খারাপি আছে। সপ্তাহে যদি একবারও কেএফসিতে প্রবেশে বাধ্য হই..বেতনে কুলাবে না।
মেয়েটি বউ হবে হবে করছে। তাকে মজা করে বলি, অফিস টাইমে কেএফসিতে না যেতে অফিস আদেশ আছে।
বিশ্বাস করেনা। বলি, অফিসের নামে যুক্তি চালাই, মাসে যে বেতন পাই তাতে কেএফসিতে যেতে থাকলে.....বেতন কুলাবে না। তখন স্টাফরা বাড়তি টাকার জন্য দুর্নীতির আশ্রয় নেবে।
সততা নষ্ট হবে। অফিসের বদনাম হবে। তাই অফিস আদেশ জারি করেছে....অফিস টাইমে নো কেএফসি।
তাও বিশ্বাস করে না। তবে আমার সমস্যাটা সে বুঝতে পেরেছে।
কেএফসির বায়না ধরেনা। কিন্তু অন্য মহান অতিথিদেরতো অফিসের নামে এমন ঢাহা মিথ্যা বলা যায়না। তারা তা বুঝেওনা।
মনে মনে ভাবি..অফিস যদি সত্যিই এমন আদেশ জারি করতো! তাহলে দুই টাকার এই কেরানিদের জীবন রক্ষা হতো। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।