আমার ছেলের স্কুল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে। আমার দায়িত্ব স্কুল ছুটির পর ছেলেকে বাসায় নিয়ে আসা। প্রত্যেকদিনই ভাবি লেকের কিছু ছবি তুলব। কিন্তু ছেলে সংগে থাকায় কাজটা করা হয় না। তাছাড়া আমার ক্যামেরা বিকেলের পড়ন্ত আলোতে খুব একটা ভালো আচরণ করে না।
সেদিন আমার বউ কি এক জরুরী কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় ছেলেকে স্কুলে পৌঁছানের দায়িত্বটা আমার উপরে পড়ল। তাই ক্যামেরাটা পকেটে নিয়ে নিলাম। ছেলের স্কুল থেকে লেকের ধার দিয়ে হাটতে হাঁটতে ২৭ পর্যন্ত গিয়ে আবার ফিরে ছেলের স্কুলের পিছন দিয়ে ৩২এর ব্রীজ পার হয়ে হাঁটতে হাঁটতে লোহার ব্রীজ দুটো পেরিয়ে মেইন রোডে উঠতেই আকাশে মেঘ জমল। বৃষ্টিও ধরল কয়েক ফোঁটা। তাই আর যাদু ঘরের বিপরীতের লেকের ছবি আর তোলা হল না।
বাকি বিশাল লেক তো আছেই। ছেলের সামার ভেকেশন চলছে। ৪ তারিখ থেকে আবার স্কুল শুরু হবে। তখন বাকি লেকের ছবি তুলবার ইচ্ছে থাকল।
উপরের ৩টা ছবি ৩২ থেকে ২৭ এর দিকে যাওয়ার পথে।
'সাম্পান' চাইনিজ রেস্টুরেন্ট।
লেকের বুকে একাকী নৌকা। এটা ৩২ এ তোলা।
উপরের ৩টা ছবি ছেলের স্কুলের ঠিক পিছনের।
ধানমন্ডি ৩২ এর ব্রীজ।
ব্রীজের ঠিক নিচে...
ব্রীজে পর্দপন...
ব্রীজের ওপর থেকে...
খেয়ালী বৃক্ষ ...
আরেকটি জটিল বৃক্ষ পেয়েছিলাম। কিন্তু তার নিচে বসে এক মা তার কোলের শিশুকে খাওয়াচ্ছিল তাই তোলা হল না।
লেকের ধারের মসজিদ...
উপরের ছবি ৪টি আমাকে একটি গানের দুটি লাইন মনে করিয়ে দেয়, 'লালন মরল জল পিপাসায় থাকতে নদী মেঘনা/ হাতের কাছে ভরা কলস তৃষ্ণা মেটে না। '
নাগরিক সুবিধা...
কোন এক উৎসব শেষে...
সবুজ পানি...
লেকের ধারে দু দন্ড বসবার জন্যে...
লোহার ব্রীজ ..
ক্যামেরাঃ সনি সাইবার শট DSC-W370 ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।