বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী জড়িত রয়েছেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দীর্ঘ তদন্তে এ বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে। হারিছ চৌধুরীর জড়িত থাকার বিষয়টি প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার এবং ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল কাহ্হার আকন্দ। তিনি গতকাল বলেছেন, গ্রেনেড হামলাকারীদের সঙ্গে হারিছ চৌধুরীর যোগাযোগ ছিল।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তে আরও এক মাস সময় চাওয়ার আবেদন করতে এসে সকালে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফজিলা বেগমের আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করা হলে বিচারক শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করেন।
এ সময় কারাগারে আটক মামলার আসামি সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর পক্ষে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তিন লাখ টাকা উত্তোলনের আবেদন করা হলে বিচারক তাও মঞ্জুর করেন।
আবেদনে বলা হয়, গত ৭ এপ্রিল জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি ঘটনার ষড়যন্ত্র, গ্রেনেড সরবরাহ প্রভৃতি বিষয়ে জড়িতদের নাম প্রকাশ করেন। আসামিদের কাউকে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
তবে এরই মধ্যে তৎকালীন গোয়েন্দা প্রধান ব্রিগেডিয়ার রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও ব্রিগেডিয়ার আবদুর রহিম, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মাওলানা সাবি্বর ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি তদন্ত সমাপ্ত করার জন্য আরও ৩০ দিন সময় প্রয়োজন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আকন্দ এ নিয়ে হত্যা মামলায় ১০ বার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আবেদন করলেন।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। হামলায় সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৩ জন নির্মমভাবে নিহত হন।
আহত হন শতাধিত নেতা-কর্মী।
সিআইডির তথ্য
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।