আজ অব্দি রয়ে গেলাম আগাগোড়া গ্রাম্য মেয়ে... ... খুব অস্থিরতায় আজকে ব্লগে এলাম। তোর লিখা পড়তে এলাম। দেখতে এলাম কেমন করে তুই একজন ব্লগার হয়ে উঠলি । কথার পিছনে কথা বোনে যাচ্ছিস অবিরাম। সেলফোনের ছোটো মনিটরে তিয়াস মিটছিল না।
পড়তে পড়তে হাসিতে পেটে খিল ধরে এল । এমন করে কেউ লিখে নাকি? পাগল। তাও আমাকে নিয়ে। এত্ত বিশেষণ!! আজীব!!
তোকে চিনি বছর পাঁচেক হয়ে এল , নারে? তুই ও জানিস আমিও জানি আমার প্রিয় মানুষদের তালিকাটা। তবে তুই একটু বেশি বেশি ভুল জানিস।
সেই জন্যই আমার উপর রাগ করতে পারিস। এমন কেন তুই? ওড়নচণ্ডী আবার বড্ড ধীরস্থির। ভাবুক আবার ভাবনা ছাড়াই কথা খই ছড়িয়ে দিস। খুব আদর করতাম তোরে , করতাম বললে ভুল বলব এখন করি। খুব।
মাঝখানের ক'টি দিন কেন জানি দুরত্ব ছিল। খুব অভিমান জন্মেছিলো তোর উপর । যত্ত সব উল্টাপাল্টা কাজ করছিলি। তারপর ও যখন সামনে আসলি বেমালুম ভুলে গেলাম সব । তুই কিন্তু ভাব ছাড়লি না।
হাতে একটা চিঠি ধরিয়ে চলে গেলি হনহনিয়ে। বিশাল চিঠি। চার পাতা। পড়তে পড়তে কান্না আসল। অগনিত স্বপ্নময় খোলা চিঠি হাতে নিয়েও মনে হচ্ছিল না আমাকে ঘিরে কারো এত্ত স্বপ্ন আছে।
বিশ্বাস হয় না এত্ত বড় শ্রদ্ধার আসনে আমি!! এত বেশি প্রত্যাশা কেন করিস ভাই?
আমার বিয়ের খবরটায় খুশি হলি না বেজার বুঝলাম না। স্বপ্ন ভাঙ্গার ভয় পেয়ে বসলো তোরে। আমি কিন্ত ভয় পাই নি। সোনাই বড্ড ভালোবাসে আমার স্বপ্নগুলো। এইবার খুশি হইছিস?
সাস্টএ আসলি এই তো সেদিন।
পিচ্ছি বলেই ডাকতাম । পলক ফেলার আগেই বড় হয়ে গেলি । আমাকে বসিয়ে দিলি রক্ত করবীর নন্দিনি'র আসরে!! কেমন মুখের উপর বলে দিলি " গল্পের নন্দিনীর সাথে কোন কিছুতেই তাকে খাটো করা যাবে না। সেও মায়াবতী, স্নেহশীলা, ভালবাসায় পূর্ণ কিন্তু প্রয়োজনে তার চেয়েও বেশী প্রতিবাদী আর দৃঢ়। " ।
চোখে জল আসে, ভাল লাগার জল। এত্ত ভাল কেন বাসিস? খুব তো বললি আমার সাথে দেখা করতে নাকি " বিশেষ কিছু দিনের অপেক্ষায় থাকতে হয়। " বিশ্বাস কর কথাটা সত্যি না। যদি মন কাঁদে চলে আসিস ........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।