রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. হাবিবুর রহমান জানান, ওই পাঁচজনকে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং এলাকায় মুক্তি দেয়া হয়।
“খবর পেয়ে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তাদের উদ্ধার করে। আপাতত তাদের নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। ”
মুক্তিপ্রাপ্ত পাঁচজন সুস্থ আছেন এবং তাদের খাগড়াছড়ি থেকে রাঙামাটি নিয়ে আসা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এই পাঁচজন হলেন- বি-টেকনোলজির সহকারী প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান, সুপারভাইজার সুজাউদ্দিন ও মুজিবুর রহমান এবং টেকনিশিয়ান ইমরুল হোসেন ও হেমায়েত হোসেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “আইন-শৃংখলা বাহিনীদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় অপহৃতদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ”
গত ৮ জুলাই রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যায় টেলিটকের টাওয়ার নির্মাণ কাজ দেখতে গিয়ে অপহৃত হন বি-টেকনোলজির ছয় জন। তাদের মধ্যে টেলিটকের স্থানীয় প্রতিনিধি মন্টু চাকমাকে (৩৮) ওইদিনই ছেড়ে দেয়া হয়।
অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসাবে প্রথমে ৪০ লাখ টাকা চাইলেও পরে তিন কোটি টাকা দাবি করে।
এই অপহরণের ঘটনায় শান্তিচুক্তিবিরোধী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করে পাহাড়ে অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে কয়েকটি সংগঠন।
তবে ইউপিডিএফ অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।