আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'নকল' লাদেনকে হত্যা করেছে মার্কিনীরা: মার্কিন পত্রিকার সম্পাদক

স্ববিরোধিতা আমার পছন্দ নয়। সর্বদা স্রোতর পক্ষে চলা আমার স্বভাব নয়। সব পুরাতন বাতিল নয়। চলার পথে সহযাত্র্রীরা সম্পদ। পরামর্শের মত সাহায্য নেই।

সব চাইতে অসহায় সেই ব্যক্তি যার কোন ভ্রাতৃ-প্রতিম বন্ধু নেই। কিন্তু আরো অসহায় সেই ব্যক্তি যে এহেন বন্ধু পেয়ে হারায় নীচের খবরটির সাথে এ লিংকটি দেখুন। ১৯ মে (রেডিও তেহরান): মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 'নকল' বিন লাদেনকে হত্যা করেছে বলে দেশটির সামরিক ও পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক সাময়িকী 'ভেটেরান্স টুডে'র সিনিয়র সম্পাদক গর্ডন ডাফ জানিয়েছেন। তিনি আমাদের সংবাদদাতাকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, 'আসল' বিন লাদেন বহু বছর আগেই রোগাক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মার্কিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাদেন মারা যান বলে তিনি দাবি করেন।

মি: গর্ডন ডাফ আরো বলেছেন, মার্কিন সরকার ভবিষ্যত পরিকল্পনা অনুযায়ী বিন লাদেনের মৃতদেহটি হিমাগারে রেখে দিয়েছিল। মার্কিন সরকার বিন লাদেনের অনুরূপ চেহারার এক ব্যক্তিকে এতদিন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে এখন তাকে হত্যা করেছে বলে তিনি জানান। কয়েক মাস আগে পাকিস্তানে রেমন্ড ডেভিস নামের যে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা, বেসামরিক মানুষ হত্যার দায়ে আটক হয়েছিল সেই রেমন্ড ডেভিস 'নকল' বিন লাদেনকে দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করতেন বলে মার্কিন সম্পাদক জানিয়েছেন। গর্ডন ডাফ বলেছেন,গত কয়েক বছরে বিন লাদেনের নামে যেসব বক্তৃতা-বিবৃতি প্রচারিত হয়েছে তার সবগুলোই ছিল মার্কিন নিয়ন্ত্রিত 'নকল' বিন লাদেনের। এ কারণেই তার সাম্প্রতিক বিবৃতিগুলোতে ইসরাইল বিরোধী কোন কথা থাকতো না বলে তিনি জানিয়েছেন।

ডাফ আরও বলেছেন, 'আসল 'বিন লাদেন সব সময় যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইসরাইলের বিরুদ্ধেও বক্তব্য দিতেন। গর্ডন ডাফ আরো বলেন, পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের যে ভবনে 'নকল'লাদেনকে হত্যা করা হয়েছে তার পাশেই একটি বাড়ীতে সিআইএ'র সশস্ত্র গোয়েন্দারা থাকতো এবং তারাই সম্ভবত 'নকল' বিন লাদেনের দেখাশোনা করত। মি:ডাফ আরও বলেছেন, দশ বছর আগে ২০০১ সালের ১১ ই সেপ্টেম্বরের হামলার সাথে বিন লাদেনের সম্পৃক্ততার বিষয়েও কোন দলিল-প্রমাণ মার্কিন অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই দেখাতে পারেনি। মার্কিন সরকার বিন লাদেনকে হত্যার দাবি করলেও এখন পর্যন্ত তার মৃতদেহের কোন ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করেনি। এছাড়া ডিএনএ পরীক্ষার বিষয়েও কোন সুস্পষ্ট তথ্য দেয়া হয়নি।

ওহিও ভিত্তিক সামরিক ও পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক সাময়িকী 'ভেটেরান্স টুডে'র সিনিয়র সম্পাদক গর্ডন ডাফ একজন সাবেক মার্কিন মেরিন সেনা এবং তিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। # ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।