আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মা ! তুমি চিরদিন বেচে থেকো ।

ইসলাম যুগের ঘটনা । ইয়েমেনের কাছাকাছি কোন এক জনপদে বাস করত কয়েকটি গোত্র । প্রতিটি গোত্রেরই ছিল আলাদা আলাদা দূর্গ । গোত্রের প্রতিটি মানুষ ছিল একে অপরের সহমর্মী । বাইরের কোন শত্রু আক্রমন করলে সকল গোত্র এক সাথে মিলে তা প্রতিহিত করত ।

ছোট গোত্রগুলো নিজ দূর্গ ছেড়ে বড় গোত্রের আশ্রয়ে চলে যেত । একদিন হঠাত সংবাদ এলো রাতের আঁধারে কোন এক শত্রু দলের ঝটিকা আক্রমণের শিকার হতে যাচ্ছে একটি গোত্র । তখন গোত্রের মানুষেরা তাড়াহুড়ো করে সবাই বেড়িয়ে গেলো বড় গোত্রের দিকে । সেই গোত্রে ছিল এক বৃদ্ধা নারী । একটি মাত্র মেয়ে ছাড়া জগতে তার আর কেউ ছিলো না ।

মেয়েটি সবসময় মায়ের পাশে থাকত । মায়ের সেবা শুশ্রুষা করত । তারা ছিল নিতান্তই গরীব । চলার মত কোন বাহন তাদের ছিলো না । তাই মেয়েটি তার মাকে নিজ পিঠে চড়িয়ে রওয়ানা হল ।

তখন ছিল গ্রীষ্মকাল , পথের মরুবালি তখন দিবসের সূর্যতাপে আগুন-অঙ্গারতুল্য হয়ে থাকত (মধ্যপ্রাচ্যে যারা থাকেন তাদের কাছে বিষয়টি দিবালোকের মত স্পষ্ট ) । মরুর এই উত্তপ্ত বালি মাড়িয়েই মেয়েটি তার মাকে পিঠে নিয়ে ছুটে চলল নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে । পথ চলতে চলতে এক সময় মেয়েটি ক্লান্ত হয়ে পড়ল । কিন্তু হায় ! জন-মানবহীন নির্জন এই মরুভূমিতে কোথায় পাবে একটু আশ্রয় ? এখানেতো কোন মানুষ নেই , কোন বাড়িঘর নেই । নেই কোন বৃক্ষ বা বৃক্ষ-ছায়া ।

কোথায় বসাবে তার মাকে ? এখানেতো একটুকরো শীতল ভূমি নেই । অবশেষে মেয়েটি নিজে মরুবালিতে শুয়ে পড়ল । নিজ দেহকে বানিয়ে দিল মায়ের শয়নস্থল । মায়ের শান্তির জন্য নিজে সয়ে নিল মরুর উষ্ণতা আর দগ্ধতা । অবশেষে এক সময় তারা নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়ে পৌঁছল ।

( ঘটনাটি হাদিস থেকে নেওয়া । নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মেয়ের সমস্ত গুনাহ ক্ষমার ঘোষণা দিয়েছেন । ) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।