জীবনকে মূল্যায়ন করতে শিখতে হবে। আমার হোস্টেল লাইফটা খুব ভালই কাটত, কিন্তু এখন মাঝে মাঝে খুব দুঃখ হয়। কারণ এখানে আমার বাবা মা আর আত্মীয় স্বজনদের ছেড়ে অনেকিদিন দুরে থাকছি আর খাবার দাবার এর কথা নাহয় বাদই দিলাম। প্রতিদিন আমি আমার মাকে ফোন দিয়ে আমার প্রতিদিনের আপেডেট দেই। আর মা আমাকে স্বান্ত্বনা দিয়ে বলে আর একটু কষ্ট করে থাক।

যাই হোক আমাকে অনেক দিন এখানে থাকতে হবে না। আমার গ্রাজুয়েশন শেষ হতে আর খুব বড়জোড় ১ থেকে দেড় বছর আছে। থাকি আমি বি এম কলেজ হোস্টেলে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর যাতাকলে পড়ে আমার জীবনটা বড়বাদ হয়ে যাবার পালা। কিন্তু আমি আর হতাশ নই কারণ আমাকে নিজের পায়ে দাড়াতে হবে।

আর ভাল একটা অবস্থানে আমাকে যেতে হবে। ইনশাআল্লাহ আমি সফল হব। আর এর জন্য আমাকে শুধু আর কয়েকটা মুহুর্ত শুধু অপেক্ষা করতে হবে আরকি। আর তো কিছু নয়। এখানে আমাদের রাজনৈতিক নেতারা আমাদের দিয়ে অনেকটা জোর করেই আমাদের নিয়ে যান মিছিল মিটিং এ।

আমরা বাধা দিতে কোনো সাহস পাই না। আমাদের সাহস থাকতে হয় না। কারণ আমরা তাদের বিরুদ্ধে কিছু করলে আমাদের ওপর নেমে আসতে পাড়ে অশনী সংকেত। আমরা কি করে তা করব? আমরা ছোটে ঘরের ছেলে। আমাদের বাবা মা আমাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে।

আমরা বড় হয়ে। অনেক কিছু করব তাদের জন্য। তাই এভাবে আমরা যদি সময়টা কাজে না লাগাই তাহলে কিভাবে হবে? আমরা তো বুঝি। ।