আজকে আমার বেশ কিছু বন্ধু ফোন করে ধানমন্ডির আড্ডায় যেতে বলল। আজ নাকি ছুটির দিন! ছুটি, ইহা আবার কী বস্তু ভাই??
ইয়ার্কি হিসেবে নেবেন না। আসলেই সাংবাদিক পেশার সঙ্গে জড়িতদের কাছে 'ছুটি' শব্দটা কেমন যেন অচেনা, ঝাপসা। সাংবাদিকেরা সরকারি ছুটিগুলোর মধ্যে হাতে গোনা দু-তিনটি ছুটি পায়।
২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ কিংবা ১৬ ডিসেম্বরের মতো জাতীয় দিবসগুলোতেও আমরা ছুটি পাই না।
যেখানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা বছরে কেবল সাপ্তাহিক ছুটিই পায় ১০৪ দিন (৫২x২)। এর সঙ্গে বৌদ্ধপূর্ণিমার মতো ছুটিগুলোও আছে। সব মিলে ১৩০-৪০ দিন ছুটি। হিসেব করলে দেখা যাবে, সরকারি চাকুরেদের তুলনায় সাংবাদিকেরা অর্ধেকেরও কম ছুটি পাচ্ছে। এ তো বিরাট বৈষম্য।
একই দেশে এ ধরনের বৈষম্য কেন থাকবে? কেউ সপ্তাহে দুদিন ছুটি পাবে, কেউ একদিন---এটা কীসের নিয়ম!
অথচ একজন সাংবাদিক দিনের ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টাতেই কাজের মধ্যে থাকে। যারা ডেস্কে কাজ করে, তাদের কর্মঘণ্টার পুরোটাই দৌড়ের ওপর থাকতে হয়। তা ছাড়া এই কাজটা রোজকার হিসেব মেলানোর কাজ নয়। প্রতিটা দিনই এখানে নতুন। প্রতিটা দিনই এখানে চ্যালেঞ্জের।
ডেড লাইনের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার।
এদিক দিয়ে দেখলে, সাংবাদিকদের রিফ্রেশ হওয়ার জন্য দুদিন ছুটি খুবই জরুরি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।