মানুষ কিছু জানত না বলে সে জানার আগ্রহে ছিল ভরপুর,এখন মানুষ কিছু জানে বলেই সে অজানাকে পাঠিয়েছে বহুদূর
সবাই বলে আমি ধর্ষিতা,আমিও জানি
আমাকে ধর্ষন করা হয়েছে আমারি সামনে
কিছুই বলিনি আমি,দশের কথা ভেবে
দেশের কথা নয়,আমার দেশ-ই তো সেই দশ
বিকৃতো মস্তিষ্কের কিছু মানুষের সম্পদ
যারা জানে না মা ও বোনের পার্থক্য
যারা জানে না নারীর অস্তিত্তকে বাচাতে
তারা শুধু জানে ধর্ষন,নিজের জন্য হোক
পরের কথাতেই হোক আবার অন্যের স্বার্থেই হোক
আমার স্বামী এ দেশের হাজারো মেয়ের স্বামী
যারা ডাকাতি করে বেরায় দুয়ারে দুয়ারে,অস্তিত্তের ডাকাতি
নারীর অস্তিত্ত
দেখনি তোমরা আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে
ঘটে যাওয়া ছেলেমানুষি খেলা,রাস্তায় পানির দরে
বিকচ্ছিলো নারীর চরিত্র,কোলের শিশুর অবুঝ দৃস্টি
দেখছিল তার মায়ের লুটোপুটি নিজেকে বাচাতে...
তা দেখবে কেন...তোমরা হয়তো তাদেরি কাতারে শামিল
বলতে পারো কত বোনের স্বামী তোমরা?
আমি জানি না কে আমার ছেলের বাবা
হবে হয়ত কোন মেরুদন্ডহীন বিবেক
আমি দেখেছিলাম সেদিন অনেককেই
একজনের পর একজন এগচ্ছিলো আমারি দিকে
আমাকে ধর্ষনের আশায়...
পানিতে পরা ইদুর বাচতে চায় হাবুডুবু খেয়ে
বেচেও যায়,যদি না সে পড়ে অথই সাগরে
আমার সন্তান আমাকে শুধায় কে তার বাবা
আমি বলি ডাক কোন একজনকে তোর বাবা বলে
আদর করে হয়তো কোলে তুলবে,স্বীকার হয়ত করবে না
আমি জানি আমি একজন ধর্ষিতা,আমি একজন মা
যার মাতৃত্তের দাবিদার যে কেউ,বাজারে বিকানো
জন্মের সার্টিফিকেটের মত,তারা যেমন বেওয়ারিশ
আমার চরিত্র ঠিক তেমনটা...
আমি মুখ ফুটে দাবি করি না কোন অধিকার
দুহাত পেতে চাই না আমার সন্তানের অধিকার
আমি চাই না সে বেচে থাকুক ধর্ষিতার সন্তান হয়ে
সে তো আমার গর্ব নয়,আমার কলঙ্কের উদাহরন
আমার গর্ব আমি এক ধর্ষিতা..
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।