বিজিবি কর্মকর্তারা বলছেন, মিয়ানমার সরকার নাসাকা বাহিনীকে বিলুপ্ত করে আপাতত নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্য নৌবাহিনীর ওই জাহাজ পাঠিয়েছে। বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার ও নৌবাহিনীকে তারা আগেই জানিয়েছে।
এ নিয়ে সীমান্তে দুই পক্ষের মধ্যে কোনো ধরনের উত্তেজনা নেই বলেও জানিয়েছেন বিজিবি ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল জাহিদ হাসান।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও মুসলমানদের ওপর ওপর নাসাকা বাহিনীর বর্বর নির্যাতনের ঘটনায় জাতিসংঘের চাপের মুখে গত ১৬ জুলাই সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা নাসাকা বাহিনীকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে দেশটির সরকার। এর পরপরই নাসাকা বাহিনীর সদস্যদের টেকনাফ সীমান্ত থেকে সরিয়ে নেয়া শুরু হয়।
লেফটেনেন্ট কর্নেল জাহিদ হাসান জানান, নতুন বাহিনী সীমান্তের দায়িত্ব নেয়ার আগে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্য নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ৫৫৪ কে নাফ নদীতে পাঠায় মিয়ানমার সরকার।
বিজিবি কর্মকর্তারা জানান, ওই সময় থেকেই জাহাজটি নাফ নদীর মংদু খালে অবস্থান করছে।
দীর্ঘ সময় একটি যুদ্ধজাহাজ সেখানে অবস্থান করায় সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা এবং গুঞ্জন তৈরি হয় বলেও আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধি জানান।
এ বিষয়ে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর কারণ জানতে চেয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে আমরা একটি নোট পাঠিয়েছিলাম। তারা আমাদের বলেছে, আমাদের নৌবাহিনীকে জানিয়েই তারা কাজটি করেছে।
“অরক্ষিত সীমান্তে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, সেজন্যই তারা জাহাজ পাঠিয়েছে। এতে বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না বলেও তারা আশ্বস্ত করেছে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।