আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৭ মে তথ্য যোগাযোগের সামাজিক দিবস এবং কিছু কথা....

আমি ফ্রা ঙ্কে স্টা ই ন.........
আগামী ১৭মে বিশ্ব তথ্য যোগাযোগ এর সামাজিক দিবস (World Information Society Day) আমাদের সামনে বিপুল সম্ভাবনার দ্বার খোলা। কিন্তু আমরা কি সেটা কাজে লাগাতে পারবো? মানে আমাদের সরকার কি সে রকম সঠিক ও সময়োচিত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে? আমার মনে হয় না। কারণ লক্ষ্য করুন আমাদের বিএনপি সরকার সাবমেরিন ক্যবল ফ্রি তে পেয়েও নেয়নি। তথ্য পাচার হবে এই কথার দোহাই দিয়ে। কিন্তু তারপর অনেক সংগ্রামের পর সাবমেরিন ক্যবল এলো।

কিন্তু কি লাভ হলো?একবার টেন্ডার ও ডাকা হলো আমাদের পাশের দেশ গুলোতে ব্যন্ডউইথ রপ্তানি করা হবে। তরুন প্রজন্মের আন্দোলনে সেই সিদ্ধান্ত আপাদত স্থগিত আছে। দেশে বর্তমান ব্যন্ডউইথ এর পরিমান 45M কিন্তু এটার পুরোটাও ব্যবহার হয় না। আমার জানা মতে দক্ষিণ কোরিয়ায় এই ব্যান্ডউইথের পরিমান 50000+M(শিউর করে বলতে পারছি না আসল পরিমান টা কি তবে এর আশে পাশেই). কিন্তু তারা তো এটা রপ্তানি করছে না। তারা ব্যবহার করছে।

তারা আউটসোর্সিং এর জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলেছে। আমরা আমাদের ট্যলেন্ট ছেলে মেয়ে গুলোকে ঐ সব দেশগুলোতে ব্যান্ডউইথ এর মতো রপ্তানি করছি। শুধুমাত্র আমলাতন্ত্র আর সিদ্ধান্থীনতার অভাবে। আমার প্রশ্ন আমাদের সরকারের প্রধানরা কেউ কি কোনদিন ইন্টারনেট চালিয়েছেন? আমার মনে হয় না। চালালে এই জব্বারের মতো একটা বাটপারকে এই কাজের দায়িত্ব দিতেন না।

যে লোক ওপেনসোর্স আর ক্লোজ সোর্স সফটওয়ারের মাঝে পার্থক্য জানে না। তার কাছ থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না। আচ্ছা আপনারা কি কেউ বিটিসিএল এর ওয়েবপেজ দেখেছেন? ওটা একটা বাচ্চাকে প্রোগ্রামিং শিখিয়ে দিলে সেও পারবে। র‍্যাবের ওয়েবসাইট হ্যাক হয়। সারা দেশে একযোগে জেলাগুলোর ওয়েব পেজ হ্যাক হয়।

তাহলে এর মুল্য কোথায়? কিসের ডিজিটাল হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ? এখন প্রশ্ন হলো আমাদের দেশের জেলা সাইটগুলো তে কি আছে এমন? ৫/৬ হাজার টাকা খরচ করে যে কেউ বের করতে পারবে। তার জন্য ইন্ডিয়ান হ্যাকারের দরকার হয় না। আমার ধারণা সরকার দেশকে ডিজিটাল বানিয়েছে তার প্রমান দেখো আমাদের দেশ ডিজিটাল হয়েছে। বাহ। আমাদের মাননীয় মন্ত্রী রাজু মিয়ার কাছে জানার খুব ইচ্ছা তিনি কি বিলাই গেটিস অথাবা স্টিভ জবসের নাম কোনদিন শুনেছেন কি না।

আমার ধারণা তিনি পত্রিকায় পরেছেন শুনেন নাই। যাই হোক। তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটাই খুশির খবর। কিন্তু সেই খুশিকে ধরে রাখতে হবে। আমাদের এই মাস্টার হেডদের ঐ পেন্টিয়াম শুন্য মার্কা ব্রেইন কে খালি করে আধুনিক প্রসেসর ইন্সটল দিতে হবে।

আমার জানা মতে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এ দেশে ২০০ এর বেশি সফটোয়্যার ফার্ম বন্ধ হয়ে গেছে শুধু মাত্র লোকবলের অভাবে। কারণ যারা ভালো এবং ট্যলেন্টেড তারা বিদেশে চলে যাচ্ছে নয়তো আউটসোর্সিং করে দিন চালাচ্ছে। কারণ আইটি এমন একটা সেক্টর যেখানে ট্যলেন্ট থাকলে পয়সার অভাব হয় না। আর আমাদের কোম্পানিগুলো সস্তার খোঁজে জব্বর মার্কা লোকগুলোকেই ধরে আনছে। এভাবে তো পরিবর্তন সম্ভব নয়।

আর যাদের দেশের প্রতি কর্তব্য বোধ আছে তারাও কিছু করতে পারছে না। কারণ আমাদের ওই বি সি এস এ আইটি নামে কোন সেক্টর ই নেই। হায় সেলুকাস। এভাবে ডিজিটাল হবে দেশ। আমাদের দেশের দুই তৃতীয়াংশ লোকের সামর্থ্য নেই একটা আসল উইন্ডোজ এর সিডি কিনবে।

তাই তারা পাইরেসির সাহায্য নিচ্ছে। কিন্তু এর পরিবর্তন দরকার। সরকারের উচিৎ লিনাক্স এর দিকে মনোযোগ দেয়া। আমাদের দেশের ভার্সিটিগুলোর দিকে দেখলে দেখা যায় আইটির সাথে জুড়ে দিয়েছে পদার্থ,রসায়ন , বিজনেস কমিউনিকেশন এধরণের সাবজেক্ট। কিন্তু এগুলো কি কাজে লাগে আইটি খাতে? আমাদের দেশের মাথার উপর বসে থাকা শিক্ষাবিদেরা মশা-মাছি মারা ছাড়া আর কিছু করে কি? দেশ ডিজিটাল করতে হবে আমাদের নতুনদিনের সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।

আমার প্রস্তাবনা 1. আইটি খাত কে উন্মুক্ত করে দেয়া হোক 2. মুক্ত সফটোয়ারের দিকে মনোযোগ দেয়া 3. ব্যন্ডউইথ বৃদ্ধি করা এবং পুর্নাংগ ব্যবহারের ব্যবস্থা করা 4. আইটি শিক্ষায় মনিটরিং করা 5. দেশের আইটিখাতের মানুষদের (জব্বার মার্কা) শিক্ষিত করা সরকার যদি এই গুলোও বাস্তবায়ন করতে পারে তা হলে এই ইনফরমেশন কমিউনিটি দেশকে কোথায় নিয়ে যাবে তা স্বপ্নেও ভাবা যায় না। ফিলিপাইন , ভারত , ইন্দোনেশিয়া এর উপর ভিত্তি করেই এগিয়ে গেছে। চীনের কথা না হয় বাদ-ই দিলাম। আমাদের বাংলা ব্লগ গুলোকেও এই আইটি খাতে সচেতনা বৃধি করতে পারবে। তাহলে এই নাস্তিক আস্তিক ক্যাচাল বাদে দেশের জন্য কিছু করা হবে।

দেশে মাত্র ০.৪% লোক ইন্টারনেট চালায়। এর মাঝে ৯০ ভাগ ই ফেসবুক ছাড়া আর কিছুই চিনে না। ইটারনেট যে সোনার খনি তা তাদের বোঝাতে হবে তবে এমএলেম(ডেস্টিনি) করে নয়। তা হলে আশা করি আমাদের দেশ আর এই অবস্থায় থাকবে না। আগামীতে আমরা এই ১৭ মে একট উদ্দেশ্য নিয়ে পালন করতে পারবো এই প্রত্যাশায় রাখি।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।