আমরা হেরে যাইনি। এশিয়া কাপ না জিতলেও তোমরা আমাদের হৃদয় জয় করেছ। আমরা গর্বিত
আজ ১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ৩৫ বছর আগে ১৯৭৬ সালের এইদিনে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চে নেতৃত্ব দিযে়ছিলেন। আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে সারা দেশের লাখো মানুষ গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা আদাযে়র সংগ্রামে ফারাক্কা অভিমুখে মিছিলে অংশ নেয়।
দেশের প্রাকৃতিক বিপর্যযে় জনদুর্ভোগের আশঙ্কায় মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী জনগণকে সঙ্গে নিযে় ফারাক্কা অভিমুখে মিছিল করে ভারত সরকারের কাছে প্রতিবাদ জানান। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।
প্রতিবেশী ভারত কলকাতা বন্দরের নাব্যতা বৃদ্ধির অজুহাতে ফারাক্কায় বাঁধ নির্মাণ করে ভাগীরথী নদীতে গঙ্গার পানি প্রবাহ ঘুরিযে় দেযা়র উদ্যোগ নেয়। ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পদ্মা নদী (যা গঙ্গারই মূল প্রবাহ) মৃত নদীতে পরিণত হওযা়র শঙ্কা দেখা দেয়। বাংলাদেশের উত্তর এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি, শিল্প, মৎস্য সম্পদ, বনজ সম্পদ এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের উপক্রম হয়।
ভারত ১৯৫১ সালে ফারাক্কায় বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর গঙার পানি বন্টন নিযে় আলোচনা শুরু করে। ১৬ মে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীরা এক যৌথ ঘোষণায় বলেন যে, গঙ্গায় কম পানি প্রবাহের কালে (পিরিয়ড) সঠিক পানি বন্টন নিযে় তারা একটা চুক্তি করবেন। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের এক সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত নেযা় হয় যে, উভয় দেশ একটি চুক্তিতে আসার আগে ভারত ফারাক্কা বাঁধ চালু করবে না। যদিও বাঁধের একটি অংশ পরীক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৫ সালে দশ (২১ এপ্রিল ১৯৭৫ থেকে ২১ মে ১৯৭৫) দিনের জন্য ভারতকে পরীক্ষামূলকভাবে গঙ্গা হতে ৩১০ থেকে ৪৫০ কিউসেক পানি অপসারণ করার অনুমতি দেয়। কিন্তু ভারত ১৯৭৬ সালের শুষ্ক মৌসুম পর্যন্ত গঙ্গা হতে ১১৩০ কিউসেক পানি অপসারণ করে পশ্চিমবঙ্গের ভাগিরথী - হুগলি নদীতে প্রবাহিত করে।
এর প্রতিবাদে মাওলানা ভাসানী ফারাক্কা অভিমুখে ১৯৭৬ সালের ১৬ মে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করেন। এরপর থেকে এ দিনটি ফারাক্কা দিবস হিসেবে পালিত হযে় আসছে।
ফারাক্কা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাণী দিযে়ছেন প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাণীতে তিনি বলেন, ফারাক্কা দিবসের তাৎপর্য প্রাসঙ্গিক। ১৯৭৬ সালে রাজশাহী থেকে ফারাক্কা অভিমুখে মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর লংমার্চ আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ন্যায্য পাওনা আদাযে়র সংগ্রাম আজও দেশবাসীর মনে অনুপ্রেরণা যোগায়।
তিনি আরো বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত ৫৪টি অভিন্ন নদীতে ভারত আর্ন্তজাতিক আইন-কানুন ও কনভেনশনের তোযা়ক্কা না করে একতরফাভাবে বাঁধ, গ্রোযে়ন, স্পার নির্মাণ করছে। ফলে নদীর ধারা ব্যাহত হচ্ছে। ভারতের সর্বশেষ টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগে বাংলাদেশ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পডে়ছে।
এদিকে দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করবে। জাতীয়তাবাদী কৃষকদল সোমবার ভাসানী মিলনায়তনে আলোচনা সভার আযো়জন করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।