নিঃস্বার্থ মন্তব্যকে ধন্যবাদ, সাময়িক ভাবে আমি মন্তব্যে নেই
ভাল থেক বহুদিন আগে দেখা ভোর চারটার কালিতলার মোড়, ঘুমন্ত যাত্রী নিয়ে ক্যাচ করে থেমে যাওয়া
নাবিল এক্সপ্রেস। দুজন আগন্তুকের পথ না চিনে উল্টো দিকে হাটা।
দিনাজপুর শহরে পাগুটানো রিকশাওয়ালা,
ট্রেন স্টেশনের প্লাটফর্মে ফেরার টিকেট । প্লাটফর্মের পাশে ফেলে রাখা চাপালিশ স্লিপার, মৃত মেরুন মালগাড়ি,
অশত্থ গাছ আর বাবড়ি ঘাসে মুখ ডোবানো ছাগল ছানা। ভাল থেক পহেলা মে ৫.৩০, স্টেশনের গেটে অপেক্ষমান
জোড়া চায়ের দোকান।
কেউ একজন তার বাড়িতে থাকতে দেবে। মুদি দোকানে বাবার নাম জিজ্ঞেস করতেই চিনিয়ে দেবে পথ।
চুনায় লেখা বিডিআর এবং ফায়ার ব্রিগেড । ত্রিচক্রযান দু তিন টাকা ভাড়া বেশি দিতেই চলে যাবে সহাস্য মুখে।
৬.৪০ এ দরজা খুলবে
সদ্য গর্ভবতী বন্ধুপত্নী ।
বাতাসে পোড়ানো খড়ের গন্ধ। কাটা ঘাসের বুনো গন্ধ। আর কিছুক্ষণ পরই আপ্যায়িত হব ধূমায়িত নাস্তায়।
ভাল থেক রামসাগরে ভেসে ওঠা ইংলা মাছ, ইলশে গুঁড়ি
গাছে মানুষের বীজগণিত লেখা, স্থানীয় প্রেমিকযুগলের বৃষ্টিতে শেডে জড়াজড়ি আশ্রয়। শিমুল পাকুড়ের গাছের পাতায় শিশিরের মতো চেনা বৃষ্টির ফোটা।
ভাল থেক মে দিবসে গামছা মাথায় শ্রমিক সমাবেশ । ছাউনিতে বিশ্রামরত পরিবহন। দশ মাইল মোড় পর্যন্ত ইঞ্জিনের ভ্যান। লাল ঘোড়ার চর পেরিয়ে মন্দিরের চূড়া । পায়ে হাটা আড়াই মাইল।
ভাল থেক দুপুর ১ টায়
কান্তজীউতে হাঁপানো কুকুর,অলঙ্কৃত দেয়ালে রাধিকার পালকি, রামায়নের কুশীলব,
তৈলাক্ত আকবর নামা, টেরাকোটায় নিবিষ্ট কবি বন্ধু মীর জাকির হোসেন। ভাল থেক পুরোহিত, মন্দিরে দুপুরে খেয়ে নেয়া সপ্তডালের প্রসাদ।
ভাল থেক সন্ধ্যার আকাশ। মুড়ির টিনে দিনাজপুর শহরে ফেরা । সিমেন্টে ব্রিজে দর্জির দোকান, দোতলায় ডায়মণ্ড হোটেল।
--
ড্রাফট ১.০/ ভ্রমণ স্মৃতি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।