আমার সোনার দেশ, বাংলাদেশ
হাইস্কুলে পড়াকালীন সময়ে আমার এলাকার এক সুন্দরী আপু পড়তো আমার তিন ক্লাস উপরে। তো আপু সুন্দরী হওয়ার সুবাদে এবং আমারে ছোট ভাইর মত সব সময় স্কুলে খোজ খবর করার কারনে স্কুলের স্কুলের বাহিরের যারা আপুর জন্য মজনু হইয়া রইছে আমি তাদের কাছে মোটা মুটি হিট। কারনে অকারনে তারাও আমার খোজ নেয়া শুরু করল । বিভিন্ন জন বিভিন্ন জিনিস খাওয়াচ্ছে। আমিও মোটামুটি ভাব নিয়া চলতেছি ।
অবস্থা এমন আপুর চাইতে আমারই ভাব বেশী। এক একজন একটা করে গিপ্ট দিচ্ছে আমিও তা আপুর কাছে নিয়া জমা দিচ্ছি। কিছু গিপ্ট আবার আপু আমারেও দিয়া দিচ্ছে যাক ভাল ভাবেই দিন কাটছে। এর মধ্যে এক পোলারে আপু পছন্দ করলো যথারীতি আমার উপর দ্বায়িত্ব পড়লো ডাক হরকরার কাজ করার জন্য। পোলায় চিঠি আর সাথে ৫০ টাকার একখান নোট দেয় আমি বিয়াপক আনন্দ চিত্তে চিঠি নিয়া আপুর কাছে জমা দেই।
আবার আপু যেইটা দেয়া সেটা নিয়া মজনুর কাছে দেই।
একদিন আপু চিঠি দিল আমি সুন্দর মত আমার বইর ভিতরে নিয়া স্কুলে আসলাম। দেরী করে আসার কারনে আর সময় পাই নাই মজনুরে দেয়ার। স্কুল শুরু হয়ে গেল ভাবলাম টিপিন ফ্রিয়ডে দিব। দ্বিতীয় ক্লাসে ইংরেজী স্যার আসলেন তিনি আমাদের কাছে তখন মুর্তিমান আতঙ্ক।
পড়া না পারলে টেবিলের নিচে মাথা দিয়া তার পর পাছায় মাইর। স্যাররে দেইখা ভয়ে ভুইল্যা গেলাম লাইলি-মজনুর প্রেম পত্র ইংরেজী বইর ভিতর। স্যার আইসাই আমার কাছ থেকে বই নিয়া পড়া নেয়া শুরু করলেন। হঠাৎ মনে হইল খাইছে আমারে চিঠিতো বইর ভিতরে। সাথে সাথে দু চোখে অন্ধকার দেখা শুরু।
পড়া যা শিখা আসলাম ভয়ে তাও ভূলে গেলাম। যেইনা স্যার বই হাতে নিয়া পাতা উল্টাতে লাগলেন অমনি লাইলি-মজনুর প্রেম পত্র বাহির হইয়া আসল। স্যার প্রেম পত্র হাতে নিয়া কিছু দূর পড়লেন তার পর আমারে কোন কথা না জিজ্ঞাসা কইরা শুধু বললেন এখনই প্রেম করা শুরু করছ? টেবিলের নিচে মাথা ঢুকাও। তারপর শুরু হল স্যারের বিখ্যাত মাইর। আমি কিছু বলতে চাইয়াও পারলাম না।
শুধু মনে হইল প্রেম না করিয়াও আজ প্রেমিক। একটি সুষ্ঠ ও আন্তজার্তিক মানের বিচার হইতে আমি বঞ্চিত হইলাম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।