প্রবাসী
হযরত মোহাম্মদের (সাঃ)স্ত্রীরাঃ- হযরত মোহাম্মদের (সাঃ)১১জন মতান্তরে ১৩ জন স্ত্রী ছিলো। তাদের কে সম্মান দেখানোর জন্য নামের আগে বা পরে বলা হয় উম্মত-আল-মুমিনিন(কোরান ৩৩:৬)বা বিশ্বাসীদের মা ।
খাদিজা বিনতে খুওয়ালিদঃ-(৫৫৫-৬১৯)( উম্-আল-মুমিনিন)কুরাইশদের বানু হাশিম গোত্রের খুওয়ালিদ ইবন এ আসাদের মেয়ে ছিলেন খাদিজা। বনিক পিতার মৃত্যুর পর খাদিজা বিপুল ধন সম্পত্তির মালিক হন। বিশ্বাসী(আল আমিন) এবং সত্যবাদী(আল সাদেক) দুর সম্পর্কের আত্মীয় হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)কে ব্যাবসা দেখা শোনার জন্য নিয়োগ করেন।
২৫ বছর বয়সে যখন হযরত মোহাম্মদ(সাঃ) খাদিজা কে বিয়ে করেন তখন তার বয়স ৪০ তাদের দুই ছেলে কাসিম এবং আব্দাল্লাহ, এবং ৪ মেয়ে কুলসুম, রুকাইয়া, ফাতিমা ও জয়নব। শিয়া অংশ মে্যেদের মধ্যে শুধুমাত্র ফাতিমাই তাদের একমাত্র মেয়ে এবং অনান্যদের খাদিজার আগের স্বামীর মেয়ে হিসেবে বলে থাকেন। ছেলেরা অল্প বয়সে (কাসিম ৬০৫ সালে এবং আব্দাল্লাহ ৬১৫ সালে) মারা যায় । হযরত মোহাম্মদের (সাঃ)কাজিন ৪র্থ খলিফা আলী ফাতিমাহ কে বিয়ে করেন। ইসলামের ৩য় খলিফা উসমান বিয়ে করেন রুকাইয়াকে।
নবুয়ত প্রাপ্তির পর খাদিজা সর্ব প্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন। বিয়ের সময় খাদিজা ক্রীতদাস যায়েদ ইবনে হারিঠা কে ক্রয় করেন। পরে হযরত মোহাম্মদের (সাঃ)নির্দেশে যায়েদ হন পালিত পুত্র। খাদিজা ৬১৯ খৃষ্টাব্দে পরলোক গমন করেন। মৃত্যু পর্যন্ত খাদিজাই ছিলেন হযরত মোহাম্মদের (সাঃ)একমাত্র স্ত্রী।
তাকে মক্কার “জান্নাতুল মাঊল্লা”তে সমাহিত করা হয়
সাওদা বিনতে জামাঃ-(উম্-আল-মুমিনিন) ১ম স্ত্রী খাদিজার মৃত্যূর অল্প কিছুদিন পর হযরত মোহাম্মদ সাওদাকে বিয়ে করেন। তখন হযরত মোহাম্মদের নবুয়তের ১০ম বছর এবং সাওদার বয়স ৫৫, সাওদা ছিলেন বিধবা । তার আগের স্বামী্র নাম ছিল সাকরান। সাওদাকে হযরত মোহাম্মদ বিয়ে করেন ৬২০ খৃষ্টাব্দে। তিনি ছিলেন কুরাইশ বংশের।
প্রথম স্বামীর সাথে গেছিলেন আবিসিনিয়াতে। মক্কায় ফেরার পর বা পথে সাওদার স্বামীর মৃত্যু ঘটে। প্রায় একই সময়ে হযরত মোহাম্মদ বিয়ে করেন আয়েশাকে। সাওদার আগের স্বামীর ৬ ছেলেমেয়ে ছিলো। সাওদার সাথে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে অনান্য বিয়ে করেন এবং শেষ জীবনে সাওদার একমাত্র ইচ্ছে ছিলো তিনি যেন শেষ বিচারের দিনে হযরত মোহাম্মদের স্ত্রীর মর্য্যাদা পান।
৬৭৪ খৃষ্টাব্দে সাওদা মদিনাতে মারা যান।
আয়েশা বিনতে আবু বক্করঃ-উম্-আল-মুমিনিন (৬১২- ৬৭৮ খৃষ্টাব্দ) আয়েশার পিতা আবুবক্কর ছিলেন কুরাইশদের বানু তায়িম গোত্রের। হযরত মোহাম্মদের সবচে’ প্রিয় স্ত্রী। আয়েশাই একমাত্র মহিলা যার উপস্থিতিতেও মোহাম্মদ আল্লাহর কাছে থেকে বানী পেতেন। হযরত মোহাম্মদের স্ত্রীদের মধ্যে বিয়ের সময় আয়েশাই একমাত্র কুমারী ছিলেন।
ঐ সময় গোত্রে বিভক্ত আরবদের মধ্যে বিয়ের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তোলার রেওয়াজ ছিলো। আয়েশার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল জুয়াবায়ের ইবনে মুতিমের সংগে যা পরে বাতিল হয়ে যায়। ১০ বৎসর বয়সে স্বামী মোহাম্মদের ঘরে আসেন এবং ১৮-২০ বছর বয়সে হযরত মোহাম্মদ মারা গেলে(৮ই জুন,৬৩২ সাল) বিধবা হন। হযরত মোহাম্মদকে মদীনাতে তার ঘরেই সমাহিত করা হয় যা এখন “আল মসজিদ –আল-নবুয়ী”
৬২৭ খৃষ্টাব্দে বানু মুত্তাকিলদের সাথে যুদ্ধ শেষে ফেরার পথে আয়েশা গলার হার হারিয়ে ফেলেন। আয়েশা খুজতে থাকেন একা একা।
ততক্ষনে কাফেলা চলে গেছে। আয়েশা হারিয়ে গেলেও অবশেষে সাফওয়ান বিন মুত্তালের সাথে বাসায় ফিরে আসেন। আয়েশার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা হয়। প্রথমে দ্বিধা দ্বন্দে ভুগলেও পরে মোহাম্মদ আল্লাহর কাছ থেকে আয়েশার সম্পর্কে বানী পান যে আয়েশা নিরপরাধ। হযরত মোহাম্মদ ৪ জন চাক্ষুস সাক্ষীর দাবী জানান যা পাওয়া যায় নি।
হযরত মোহাম্মদ কুৎসা রটনাকারীদের ৪০ টা করে বেত্রাঘাত শাস্তি দেন। হযরত মোহাম্মদের মৃত্যুর পর আয়েশা বিয়ে করেন নি। কোরানে হযরত মোহাম্মদের স্ত্রীদের জন্য বিয়ে নিষিদ্ধ(কোরান ৫৩:৩৩)
আয়েশা ছিলেন সুন্দরী ও বুদ্ধিমতি। হাদিস রচনা তে তার উল্ল্যেখযোগ্য ভুমিকা ছিল। হযরত মোহাম্মদের কোন উত্তরাধীকারী না থাকায় মৃত্যুর পর আয়েশার পিতা আবু বক্কর প্রথম খলিফা হন।
আবু বক্কর দু বছর খলিফা থাকার পর মারা যান। ওমর ছিলেন দ্বিতিয় খলিফা(৬৩৪-৬৪৪-১০বছর)। ওসমান ৩য় খলিফা হন ৬৪৪ সালে, ৬৫০/৫১ সালের দিকে বিদ্রোহ দানা বান্ধতে থাকে। আয়েশা ওসমানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ৬৫৫খৃষ্টাব্দ ওসমান খুন হন।
মারা যাওয়ার পর গৃহযুদ্ধ শুরু হয়(প্রথম ফিৎনা)। আলী হন ৪র্থ খলিফা। আয়েশার অনুগত বাহিনী এবং ৪র্থ খলিফা আলীর মধ্যে ‘বসরার যুদ্ধ” হয়। । আয়েশার বাহিনী পরাজিত হয়।
৬৭৮ খৃষ্টাব্দে ৬৬ বছর বয়সে আয়েশা মারা যান। তাকে “আল মসজিদ –আল-নবুয়ী”র পাশে জান্নাত-আল বাকীতে সমাহিত করা হয়।
হাফসা বিনতে ওমর-(উম্-আল-মুমিনিন) দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমরের মেয়ে হাফসার স্বামী খুনাইস ইবনে হুদাইফা বদরের যুদ্ধে নিহত হন। তখন হাফসার বয়স মাত্র ১৮ বছর। ওমর পরবর্তী কালের ১ম খলিফা আবু বক্কর এবং ৩য় খলিফা ওসমানকে হাফসাকে বিয়ে করতে অনুরোধ করেন, কিন্তু তারা দুজনেই আস্বিকৃতি জানান কারন হযরত মোহাম্মদ হাফসাকে বিয়ে করতে আগ্রহী ছিলেন।
ওমর যখন হযরত মহাম্মদের কাছে ব্যাপারটা জানতে চান মোহাম্মদ হাফসা কে বিয়ে করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ৬২৫ খৃষ্টাব্দে মোহাম্মদ (সাঃ)হাফসা কে বিয়ে করেন। তখন হাফসার বয়শ ২০ এর মত এবং মোহাম্মদের (সাঃ)বয়স ৫৬ হাফসা ছিলেন দানশীল মহিলা। কোরান মুখস্ত ছিল তার । হযরত ওসমানের সময় যখন কোরান কে একক গ্রন্থ আকারে প্রকাশ করা হয় হাফসা সেখানে উল্ল্যেখযোগ্য ভুমিকা রাখেন।
জয়নব বিনতে খুজাইয়মাঃ-(উম্মত-আল-মুমিনিন)হযরত মোহাম্মদের ৫ম স্ত্রী। বিয়ের অল্প কিছুদিন পর প্রথম স্বামী মারা গেলে দেবরকে বিয়ে করেন, দেবর উবাইদা ইবনে আল হারিথ বদরের যুদ্ধে মারা গেলে বিধবা হন। হাফসাকে বিয়ে করার পরের বছর ৪০০ দিরহাম অথবা ১২ আউন্স সোনার দেন মোহরে হযরত মোহাম্মদ(সাঃ) জয়নবকে বিয়ে করেন। জয়নব ছিলেন দয়ালু মহিলা । তার খাবার টুকু গরীবকে দিয়ে না খেয়ে উপোস করছেন।
বিয়ের দুই বছ্র পর মারা যান জয়নব। একমাত্র স্ত্রী যিনি কুরাইশ ছিলেন না। খাদিজা এবং জয়নব ছিলেন মোহাম্মদের স্ত্রী যারা মোহাম্মদের(সাঃ) আগে মৃত্যুবরন করেন। হযরত মোহাম্মদ(সাঃ) নিজে তাকে মৃত্যুর পর জান্নাত-আল বাকিতে সমাহিত করেন।
হিন্দ বিনত আবি উমাইয়া- (উম্-আল-মুমিনিন)উম্মে সালামা হিসেবে সমধিক পরিচিত।
উম্মে সালামা এবং স্বামী আব্দাল্লাহ –ইবন-আব্দ-আল-আসাদ ছিলেন যে অল্প কয়েকজন প্রথম ইসলাম গ্রহন করেন তাদের মধ্যে অন্যতম। স্বামী অহুদের যুদ্ধে(৬২৫খৃঃ) মারা গেলে বিধবা হন ৩ ছেলে মেয়ে নিয়ে। ইদ্দাহ শেষ হওয়ার পর ওমর এবং ওসমান দুজনেই উম্মে সালামা কে বিয়ে করতে চান কিন্ত সালামা রাজী হন নি। হযরত মোহাম্মদ তাকে তখন বিয়ে করতে চাইলে রাজী হন। সালামার বয়স তখন ২৯ বছর।
বিয়ের পর পরই চুতুর্থ সন্তান জন্ম নেয়। মোহাম্মদের(সাঃ) স্ত্রীদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা দীর্ঘজীবী সালামা ৮৪ বছর বয়সে ৬২ হিজরী সালে মৃত্যু বরন করেন। জান্নাতুল বাকিতে তাকে সমাহিত করা হয়। কোরানের সুরা আল আঝাবের ৩৩তম আয়াত হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)সালামার গৃহে থাকা কালীন সময়ে নাজিল হয়। (কোরান ৩৩ঃ৩৩)
জয়নব বিনতে জাহাশঃ-(উম্-আল-মুমিনিন) (৫৯৩- ) জয়নব ছিলেন হযরত মোহাম্মদের (সাঃ)ফুফাত বোন।
মোহাম্মদের (সাঃ)পালিত পুত্র জায়েদ ইবনে হারিঠার স্ত্রী ছিলেন স্বল্পকালের জন্য। ৬২৫ খৃষ্টাব্দে হারিঠার সাথে জয়নবের বিয়ে হয়। এক বৎসরের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর অপেক্ষাকাল শেষ হলে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)জয়নবকে বিয়ে করেন। বিবাহের ব্যাপারে প্রথম দিকে হযরত মোহাম্মদ অনিচ্ছুক ছিলেন।
এই সময় সুরা”আল আঝাব” নাজিল হয় এবং মুনাফিকদের সমস্ত অপপ্রচার অগ্রাহ্য করেন হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) (কোরান ৩৩ঃ৩৭),হযরত মোহাম্মদের(সাঃ) মৃত্যুর পর স্ত্রীদের মধ্যেপ্রথম মারা যান জয়নব হিজরী ২৩ সালে ২য় খলিফা ওমর বিন খাত্তাবের সময়।
জুরাইয়া বিনতে আল হারিতঃ-(উম্-আল-মুমিনিন)বানু মুস্তালিক গোত্রের প্রধান আল হারিত ইবনে আল দিরারের মেয়ে ছিলেন জুরাইয়া। মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে বাবা ও গোত্রের অনান্যদের বন্দী হন। তার স্বামী যুদ্ধে নিহত হন। জুরাইয়া হযরত মোহাম্মদের(সাঃ) কাছে বন্দি অবস্থা থেকে উদ্ধারের আবেদন জানান।
হযরত মোহাম্মদ জুরাইয়া কে বিয়ের প্রস্তাব দেন যা জুরাইয়া গ্রহন করেন। মুসাতলিক গোত্রের সবাই মুক্তি পায় ও ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে। ৬২৮ সালে তখন হযরত মোহাম্মদের(সাঃ) বয়স ৫৮ এবং জুরাইয়ার বয়স ২০, জুরাইয়া অপুর্ব সুন্দরী ছিলেন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহনের পর ইবাদত বন্দেগীতে অধিকাংশ সময় কাটাতেন। ৬৫ বছর বয়সে মৃত্যুর পর তাকে হযরত মোহাম্মদের (সাঃ)অনান্য স্ত্রীর সঙ্গে জান্নাতুল বাকীতে সমাহিত করা হয়।
রামলাহ বিনতে আবু সুফিয়ানঃ-(উম্-আল-মুমিনিন) আবু সুফিয়ানের কন্যা রামলাহ।
কুরাইশ নেতা আবু সুফিয়ান ইবনে হার্ব ছিলেন হযরত মোহাম্মদের প্রবল শত্রু। রামলাহ ছিলেন ৩য় খলিফা উসমানের আত্মীয় এবং প্রথম উম্মাইয়া খলিফা মুয়াবিয়া-১ ছি্লেন রামালাহর ভাই। স্বামী উবাইদাল্লাহ ইবনে জাহশের সাথে আবিসিনিয়াতে পালিয়ে যান। স্বামী খৃষ্টান ধর্ম গ্রহন করলে ও তিনি ইসলাম ছাড়েন নি। স্বামী আবিসিনিয়াতে মারা গেলে ৪০০ দিরহাম দেন মোহরে হযরত মোহাম্মদের (সাঃ)অনুপস্থিতিতে বিয়ে হয়।
৬ বছর পর মদীনাতে আসেন। তখন হযরত মোহাম্মদের বয়স ৬০ এবং রামলাহর বয়স ৩৫ বছর। ভাই মুয়াবিয়ার খিলাফতের সময় মদিনাতে মারা যান খৃঃ৬৬৬ সালে এবং তাকে অপর স্ত্রীদের সঙ্গে জ়ান্নাতুল বাকীতে সমাহিত করা হয়।
রাইহানা বিন্তে জায়েদ ইবনে আমরঃ- বানু নাদির গোত্রের ইহুদি মেয়ে। হযরত মোহাম্মদের গৃহপরিচারিকে হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
হযরত মোহাম্মদ(সাঃ) তাকে বিয়ে করেছিলেন কিনা তা নিয়ে দ্বিমত আছে। রায়হানা সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। হযরত মোহাম্মদের (সাঃ)মৃত্যুর এক বছর আগে রাইহানা মারা যান।
সাফিয়া বিনতে হুইয়ায়িঃ- (উম্-আল-মুমিনিন)ইহুদি বানু নাদির গোত্রের মেয়ে শাফিয়া ১৭ বছর বয়সে মুসলিমদের হাতে যুদ্ধবন্দী হন । তার স্বামী কিনানা ইবনে আল রাবি এবং পিতা হুয়ায়ি গোত্রের অনান্য ইহুদীদের সাথে যুদ্ধে নিহত হন।
৬২৯ খৃঃ মে মাসের এই খাইবারের যুদ্ধে পরজয়ের পর ইহুদি মেয়েদের মুসলিম যোদ্ধাদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে দেওয়া হয়। শাফিয়া পড়েন দিহিয়া ইবনে খলিফা’র ভাগে। হযরত মোহাম্মদ(সাঃ) দিহিয়ার থেকে শাফিয়া কে নিয়ে নেন। শাফিয়া ইসলাম গ্রহন করেন এবং খাইবার যুদ্ধ থেকে ফেরার পথে হযরত মোহাম্মদের(সাঃ) সাথে তার বিয়ে উদযাপিত হয়।
শাফিয়া ৬৭০/৬৭২ সালে মারা যান এবং তাকে জান্নাতুল বাকিতে অনান্য স্ত্রীদের সাথে সমাহিত করা হয়।
মায়মুনা বিনতে আল হারিথঃ-(উম্-আল-মুমিনিন)৬৩০ খৃষ্টাব্দে হযরত মোহাম্মদের(সাঃ) বয়স যখন ৬০ এবং মাইমুনার ৩৬ তখন তাদের বিয়ে হয়। হযরত মোহাম্মদের (সাঃ)অন্য স্ত্রী খুয়ামিয়া ছিলেন মাইমুনার সৎ বোন। মায়মুনা ৮০ বছর বয়সে মুয়াবিয়ার খিলাফতের সময় মারা যান।
মারিয়া আল কিবতিয়াঃ-মিশরীয় খৃষ্টান মহিলা কে উপহার হিসেবে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের কর্মকর্তা মুকাকিস ৬২৮ সালে পাঠান হযরত মোহাম্মদের(সাঃ) কাছে। মারিয়া কে হযরত মোহাম্মদ বিয়ে করেছহিলেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।
Umm-al-Momineen
Wives of Muhammad
Khadijah bint Khuwaylid
Sawda bint Zamʿa
Aisha bint Abi Bakr
Hafsa bint Umar
Zaynab bint Khuzayma
Hind bint Abi Umayya
Zaynab bint Jahsh
Juwayriya bint al-Harith
Ramlah bint Abi Sufyan
Rayhana bint Zayd
Safiyya bint Huyayy
Maymuna bint al-Harith
Maria al-Qibtiyya
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।