আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিস কল বিড়ম্বনা



মিস কল বিড়ম্বনা রোমানাদের বাসায় নতুন মোবাইল, “মাসিক সানুহারে” তরুণদের জন্য লিড নিউজ। আচ্ছা, মোবাইল নম্বরটা কত ? কে জানে? কিভাবে জানা যায়? অবশেষে আজিজ মোহাম্মদ মামা ফাঁস করল নম্বরটা। রোমানাদের মোবাইলে এখন মিস কলের ভিড়। ঘন্টায় তিন হাজার ছয়শটি (মাত্র) মিস্ কল্ পড়তে চায়। ইচ্ছে করলে ঘন্টায় মোবাইল কোম্পানিকে একুশ হাজার ছয়শ টাকা (মাত্র) কথা না বলে পাইয়ে দেওয়া যায়।

রোমানার বড় ভাই অনেক কষ্টে লাইন পেয়ে বলল- “ব্যাপার কি মা, মোবাইল এত বিজি থাকে কেন?” “কারো সাথেইতো কথা বলি নাই! তবে শোন, তোর মামা একবার কল করেছিল। আরে সে জন্যই আমার কল করা। ” “সন্ধ্যা সাতটা থেকে কল ঢুকানোর চেষ্টা করছি কিন্তু যতবারই কল দিচ্ছি কেবল বিজিই। ” “বলিস কি!” রোমানা তার মায়ের পাশে দাড়িয়ে। “এ কি কান্ড, এত মিস্ কল্ পড়লে মোবাইল চালাব কিভাবে?” এ কথা বলতে বলতে দু’বার মিস্ কল্।

“রোমানা, নম্বরগুলোতে কল দেতো। ” রোমানা একটা নম্বরে কল দিয়ে মায়ের কাছে দিল মোবাইলটা। “হ্যালো, কে?” ওপাশ থেকে ভেসে আসল - “খালাম¥া আমি রোমানার বন্ধু। ” “রোমানার বন্ধ। ু এরকম মিস্ কল্ দিচ্ছ কেন? আচ্ছা বলত, তোমরা কেন এরকম মিস্ কল্ দিয়ে সারাক্ষণ আমাদের বিরক্ত কর ?” “নতুন মোবাইল আসলে এ রকম দু’ আধটু মিস্ কল্ পড়েই ।

তা নিয়ে বিরক্ত হন কেন ?” “এরকম মিস্ কল্ দিয়ে বিরক্ত করবে না। ” এই বলে মোবাইলের লাইনটা কেটে দিল। আবার মিস কল। “রোমানা এই নম্বটায় কল দে। ” কল দিয়ে রোমানা মোবাইলটা তার মায়ের কাছে দিল।

“হ্যালো, কে ?” “খালাম্মা, আমি রোমানার বান্ধবী বলছি। ” “রোমানার বান্ধবী বলছ! তোমার নাম কি?” “আমার নাম শিউলি। আমরা একই সাথে পড়ি। ” “আচ্ছা, তোমার কন্ঠটা ছেলে ছেলে লাগছে কেন?” “আমার কন্ঠ এরকমই, খালাম্মা । রোমানাকে কি একটু দিবেন খালাম্মা ?” “ধর রোমানা, তোকে চাচ্ছে।

” “হ্যালো ,কে ?” “হ্যালো রোমানা, তোমাকে আমি খুব লাইক করি। ” এই কথা শুনেই রোমানা লাইনটা কেটে দিল। আবার মিস্ কল্ । রাগ হয়ে রোমানার মা মোবাইল অফ করে দিল। পুলক, সাব্বির, রায়হান প্রত্যেকের হাতেই মোবাইল।

এরা সবাই দু’টি সিম ব্যবহার করে। একটি সিম ব্যবহার হয় মিস কল খেলার জন্য। মোবাইল কোম্পানীগুলো যেভাবে মিনিট প্রতি চার্জ কাটছে তাতে বোনাস বলতে মিসকলগুলোই। মোবাইল কোম্পানীর মিনিট প্রতি উচ্চ কল চার্জ নেওয়ার বিরুদ্ধে গ্রাহকরা আন্দোলনে নেমেছে। তারা একটি কার্যকরী কমিটি করেছে।

তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৪ই ফেব্রুয়ারী সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মোবাইল কল বিরতি থাকবে। তাদের এই সিদ্ধান্ত জাতীয় দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের মোবাইল গ্রাহকদের জানিয়ে দেওয়া হল। পুলক, সাব্বির, রায়হান ভাবলো খবরটা রোমানাদের জানাতে পারলে ভাল হয়। সাব্বির সরাসরি কল দিল। ওপাশ থেকে ভেসে আসলো- “হ্যালো, কে বলছেন?” কাকা, আমি রোমানার বন্ধু বলছি।

“কি বলছ?” “কাকা, আমরা মোবাইল কোম্পানীর উচ্চ কল চার্জ কমাতে আন্দোলন করছি। আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারী সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মোবাইল কল বিরতির কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। ” “ও তাই, বেশ ভালইতো। ” “তাহলে আমাদের এখন কি করতে হবে ?” “আপনারা এই সময় মোবাইলে কোন কল করবেনও না এবং ধরবেনও না। ” “আচ্ছা, ঠিক আছে।

বেশ ভাল, বেশ ভাল। রোমানার সাথে কথা বলবে ?” “হ্যাঁ কাকা, দেন রোমার সাথে কথা বলি। ” “রোমানা এদিকে আয়, তোর বন্ধুর সাথে কথা বল। ” “হ্যাল, কে ?” “আমার নাম সাব্বির। শোন রোমানা, আমরা মোবাইল কম্পানীর উচ্চ কল চার্জের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছি।

তুমি আমাদের সাথে একাতœতা ঘোষণা কর। নিয়ম-কানুন কাকার কাছে বলে দিয়েছি, ঠিক আছে। ” “কে কল করেছিল?” “আম্মা, মোবাইল কম্পানীর বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা। ” “চুপ কর। তোমাকে জিজ্ঞাসা করি নাই।

” “ও, আমাকে জিজ্ঞাসা করেছ ? রোমানার এক বন্ধু কল করেছে। মোবাইলের উচ্চ কল চার্জের বিরুদ্ধে তারা আন্দোলনে নেমেছে। আমাদেরকে তাদের সাথে একাতœতা ঘোষণা করতে বলল। ” “আর তুমি এই কথা শুনেই মোবাইলটা ওর হাতে তুলে দিলে। ” “একটা ভাল কাজে সাড়া দিব না?” “এ ধরনের ভাল কাজে সাড়া দেওয়ার আমাদের দরকার নাই।

” “পুলক, সাব্বির, রায়হান মোবাইলে রোমানার সাথে কথা বলে খুবই আনন্দিত। কিছুটা হলেও রোমানার মনে একটা সাড়া জাগান গেল। রোমানার বাবা লোকটা বেশ ভাল। কল করাতে একটুও বিরক্ত বোধ করে নাই। এ রকম লোকই হয় না।

রোমানার মা ভাল না। ” ১৩ই ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যার পর সাব্বির রোমানাদের নম্বরে কল দিল। “হ্যালো, কে বলছেন?” “আমি রোমানার বন্ধু । রোমানা কি বাসায় আছে?” “তোমার নাম কি?” “আমার নাম শহীদ। ” “আপনি কে?” “আমি রোমানার খালাম্মা।

” “আপনি রোমানার খালাম্মা ! আসসালামু আলাইকুম খালাম্মা, শোনেন খালাম্মা, আমরা মোবাইল কম্পানীর উচ্চ কল চার্জের বিরুদ্বে আন্দলনে নেমেছি। কালকে সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মোবাইলটা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখবেন, আর অন্যদের কাছেও এ তথ্য পৌঁছে দিবেন। ” “আচ্ছা তোমরা এভাবে না জানিয়ে পত্রিকার মাধ্যমে খবরটা সারা দেশময় ছড়িয়ে দিতে পার না? এতে তোমাদের টাকাও খরচ কম হবে এবং আন্দোলনটাও সার্থক হতে পারে। ” “খালাম্মা, আমরা পত্রিকায় খবরটা প্রকাশ করেছি। ” “তাহলে এভাবে খবর না দিলেও চলে।

” আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারী । সকল প্রকার মোবাইল কল বন্ধ। দশ ঘন্টার মোবাইল কল স্টাইকে মোবাইল কোম্পানির এক কোটি টাকার কম কল হবে। এই ধারনা আজিজ মোহাম্মাদ মামার। রোমানার বাবা খেতে বসে বলল- “গত পরশু তিনশো টাকার কার্ড রিচার্য করলাম আজ একাউন্টে ব্যালেন্স নাই।

মোবাইল কোম্পানি কল চার্জ না কমালে মোবাইল চালানোই কঠিন হয়ে যাবে। আসলে এ নিয়ে আরো জোড়াল আন্দোলনে নামা দরকার। রোমানা, তোর বন্ধুদের সাথে কথা বলতো। আমাদের আরো জোড়ালো আন্দোলনে নামতে হবে। ” “না রোমানা, আমাদের আন্দলন-ফান্দোলনের দরকার নাই।

তুমি কারো সাথে কথা বলবে না। যতসব বাজে জামেলা। ” “তুমি কি বলছো! ছেলেগুলো ভাল কাজই করছে। এসব কোম্পানী জনসাধারনের হাজার হাজার টাকা নিয়ে যাবে আর আমরা বসে থাকবো ! আরে ব্যাটা, তোরা কল চার্জ কমিয়ে দে। আমরা বেশী কথা বলি, তোদের আয় কমবে না।

এই সাধারন জিনিসটা ওরা বোঝে না কেন ? ওদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতেই হবে। ” “ঠিকই বলেছ বাবা , আমিও তোমার সাথে আছি। ” “তোমার লিডারীগিরি করতে হবে না। তুমি কার সাথে মোবাইলে কথা বলবে, যে কল চার্জ কমাতে হবে ? “এটা শুধু আমার জন্য না মা, এতে সকলেই উপকার হবে। তুমি একটু চিন্তা করে দেখ, ভারতে মোবাইল কলচার্জ কত কম আর এখানে এত বেশী হওয়ার কারণ কি ? আমাদের দেশের এক মোবাইল কোম্পানীর মাসে এক হাজার কোটি টাকা নিট আয়।

ব্যাপরটা একটু ভেবে দেখ। তারা ইচ্ছা করলে গ্রাহকদের আরো সুবিধা দিয়ে আয়টা একটু কম করে পারে। কিন্তু না, তা তারা করবে না। জনসাধারন যখন ব্যাপারটা বুঝবে তখন কোম্পানীর বারটা বাজিয়ে ছাড়বে। ” “রোমানা, তোমার মা মোবাইল কোম্পানী থেকে ঘুষ খেয়েছে।

তাই এসব কথা সে বুঝবে না। ” পুলক, সাব্বির , রায়হান একদিন রোমাদের বাসায় গেল। রোমানার বাবার সাথে তারা গল্পে মেতে উঠল। তাদেরকে সে যুক্তি দিল, “তোমরা সমাজ সংস্কারমূলক কাজ কর । তোমাদের পাড়ায় একটি পাঠাগার গড়ে তোল ।

সেখানে দৈনিক পত্রিকা রাখার ব্যবস্থা কর। তোমার বয়সীদের সাথে জ্ঞানের বিষয় নিয়ে আড্ডা দাও। সাথে ঠিকমত লেখা-পড়া চালিয়ে যাও। ” হঠাৎ রোমানার মা পুলকদের বাসা থেকে চলে যেতে বলল এবং রোমানার বাবাকে এক দমক দিল। আজিজ মোহাম্মদ মামা বলল-“এবার রোমানার সাথে যোগাযোগ করব অন্যভাবে।

” “কিভাবে ?” “এস.এম.এস এর মাধ্যমে। ” “পুলক এখনই একটা এস.এম.এস কর। ” Romana, How are you ? You are very sweet girl. I’m your friend. পাঠিয়ে দিল ম্যাসেজ। ম্যাসেজ রিসিভ হলো রোমানার মার হাতে। সে ম্যাসেজ পড়ে অগ্নি শর্মা।

রোমানাকে ডেকে ম্যাসেজটি পড়তে দিল। রোমানা বলল- “আমিতো এই নম্বর চিনি না। ” “তাহলে এই ম্যাজেস এল কি করে ?” “তা আমি কিভাবে বলবো ?” “এই নম্বরে কল দে। ” হঠাৎ রোমানার নম্বর থেকে কল এসেছে দেখে পুলক রিসিভ করেই প্রথমে সালাম দিল। “হ্যালো কে?” “আমি পুলক, রোমানা।

” “আমি রোমানা না, রোমানার মা। ” “খালাম্মা, আমি রোমানার বন্ধু। ” “তুমি রোমানার বন্ধু অথচ রোমানা তোমার মোবাইল নম্বর জানে না। সত্যি করে বলতো, তুমি কে ? আমাদের এভাবে ডিস্টার্ব করার কারণ কি?” “খালাম্মা এস.এম.এস পাঠানো ডিস্টার্ব ? কিন্তু রোমানাইতো আমাকে বলেছে এস.এম.এস পাঠাতে। ” “কি, রোমানা বলেছে ! মিথ্যা কথা বলার জায়গা পাও না।

” “রোমানাকে জিজ্ঞাসা করেন। ” “শোন রোমানা ছেলেটা কি বলছে। ” “হ্যালো কে?” “আমার নাম পুলক, রোমানা । আমি তোমার সাথে একটু কথা বলতে চাই। ” “আপনি কে? আমার সাথে কেন কথা বলতে চাচ্ছেন?” “আমি তোমাকে ভালবাসি ।

” “রাখেন এসব কথা। ” পুলক, সাব্বির , রায়হান তিনজনেই সিদ্ধান্ত নিল আর এভাবে কাউকে ডিস্টার্ব করবে না। মামা আজিজ মোহাম্মদের যুক্তি আমাদের দরকার নাই। অনেকদিন হলো রোমানাদের মোবাইলে মিস কল বা এস.এম.এস যায় না। হঠাৎ একদিন রোমানা তার বাবা-মার সাথে পুলকদের বাসায়।

পুলক তাদের দেখে হতভম্ব। তারা তাকে দেখে নাই। সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল। এদিকে রোমানার বাবা-মা পুলককে দেখতে চায়। কিন্তু তাকে খুঁজে পাওয়া গেল না।

পুলক ব্যাপরটা বন্ধুদের জনালো। বন্ধুরা বলল- “ভালই হয়েছে, রোমানা তোর আরো কাছে এসেছে। ভাগ্যে থাকলে ঠেকায় কে?” পুলকঃ “আরে আমি আছি ভয়ে। আমাকে দেখলে রোমানার বাবা-মা আমার বাবার কাছে নালিশ করে কি না তা নিয়ে। আর তুমি আছো তামাশাতে।

” “তারা, তোদের বাসায় কেন?” “তাতো আমিও বুঝতে পারছি না। ” পরে জানা গেল পুলক, রোমানার বাবা একই অফিসে চাকুরী করে। একদিন পুলকের বাবা তাকে সাথে নিয়ে এক অনুষ্ঠানে যাচ্ছে। রিকশা গিয়ে থামলো রোমানাদের বাসার সামনে। হ্যায়, হ্যায় এখন কি করা! বাবার সাথে রোমানাদের বাসার ভিতরে ঢুকে গেল।

সামনে পড়লো রোমানার মা। সে তার বাবাকে কেমন আছেন বলে, পিছনে পুলককে দেখে বলল- “কি চাই এখানে ? মোবাইল কোম্পানির বিরুদ্বে আবার আন্দোলনে নেমেছো নাকি ? তোমার কাকার সাথে আজ কথা বলতে পারবে না। আমাদের বাসার এখন অনেক মেহমান। তাছাড়া এসব আন্দোলন-ফান্দোলনে আমরা নাই। তোমার সাথে কথা বলার এখন সময় নাই।

” “কাকে বলছেন এসব কথা?” “আরে ভাই, এই ছেলেটাকে বলছি। তারা মোবাইল কোম্পানির বিরুদ্বে আন্দোলন করছে। আপনার ভাই আছে তাদের সাথে । আমার এসব একদম পছন্দের না। আমাদের মোবাইলের কল চার্জ কমানোর জন্য আন্দোলনের দরকার নাই।

” “আরে এতো আমার ছেলে। কিসের আন্দোলন, কিসের কি ? আমিতো কিছুই বুঝচ্ছি না। ” “ও-- এ আপনার ছেলে। আস, আস ভিতরে আস। ওরাতো ভালর জন্যই আন্দোলন করছে।

” রোমানার বাবাও এসে দাড়ালো সামনে। তাদের কথা শুনে কিছুই বুঝতে পারলো না। রোমানার মা বলল- “দেখ দেখ এই ছেলে নাকি তার ছেলে। আপনার ছেলেতো বেশ ভাল ছেলে। ” পুলক লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে।

তারা পুলকের বাবাকে নিয়ে ভেতরে চলে গেল। পুলক একা চেয়ারে বসে। একটু পরেই সেখানে রোমানা। পুলককে দেখে রোমানা আশ্চর্য। তার বাবাকে চায় কিনা জানতে চাইলো।

“এখনে আমার বাবার সাথে এসেছি, তোমাদের অনুষ্ঠানে। ” “তোমার বাবা কে?” “গত পরশু যার বাড়িতে গিয়েছিলে সে। ” “তাই নাকি!” আজ রোমানার এনগেইজম্যান্ট অনুষ্ঠান।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।