হে জননী
হে জননী,
আমি জানিনা কে আমার ঈশ্বর।
আমি জানিনা কে আমার সৃষ্টিকর্তা,
সে কি কোনো নারী কিংবা পুরুষ?
আমি জানিনা তিনি কে, আমি শুধু চিনি তোমাকে।
যে তুমি আমায় সৃষ্টি করেছো অতি ক্ষুদ্র রক্ত কণিকায়,
যে তুমি আমায় ঠাঁই দিয়েছো জঠর গভীরে, নিবিড় লজ্জায়,
যে তুমি আমায় করেছো প্রতিপালন পরম মমতায়,
দিয়েছো মানুষ পরিচয়। আমি জেনেছি-
কেমন করে এক মা তার কষ্টের প্রহর কাটায়,
আমি জেনেছি আমার সৃষ্টির উৎস।
যে তুমি আমায় গ্রথিত করেছিলে জরায়ূপৃষ্ঠে,
যে তুমি আমায় বেঁধে রেখেছিল দশটি মাস আষ্টেপৃষ্ঠে,
যে তুমি আমায় গর্ভে দিয়েছিলে নিরাপদ আশ্রয়,
যে তুমি সয়েছিল প্রসব বেদনার ভয়াবহ কালরাত্রি,
এক মা ছাড়া কে বাইতে পারে অমন কষ্টের কান্ডারী?
হে জননী, তবে বলো কেন তুমি আমার ঈশ্বর নও ?
যাঁরে আমি ঈশ্বর বলে জানি, সেই কি তবে লুকিয়ে আছে তোমার ভেতর?
হে জননী, হে প্রতিভূ আমার, তুমি বলো-
কে আমার প্রাণদাতা? কে আমার সৃষ্টিকর্তা?
যাঁরে আমি চোখে দেখিনি, যাঁরে আমি স্পর্শ করিনি,
তিনিই কি আমার বিধাতা?
জন্মেই যার মুখ দেখেছি, সস্নেহে যে আমায় বুকে টেনে নিয়েছে,
যে আমায় বুকের স্তন থেকে প্রাণশক্তি যুগিয়েছে,
যাকে আমি মা বলে ডেকেছি, সে কি তবে ঈশ্বর নন?
সেকি আমার বিধাতা নন?
হে ঈশ্বর, ক্ষমা করো আমায়। মার্জনা করো আমার ধৃষ্টতা।
আমি সন্তান এক মায়ের অহংকারী,
মা ছাড়া আর কেহ পূজনীয় ভাবতে নাহি পারি।
(পূর্ব প্রকাশিত, সংশোধিত)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।