আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফ্রী ডিজুস,যৌবনময়ী তরুনী, অগ্নীশর্মা ডিসকো বান্দরনী ও অসহায় ডিসকো বান্দর!

Speak no evil, hear no evil, see no evil.

ভাইরে, আজ ব্লগে ডিজুস সম্পর্কিত একখানি পোস্ট দেখিয়া আমার অনেকদিন আগের এক করুন কাহিনী মনে পড়িয়া গেলো। ব্যাপার আর কিছুই নহে--ফ্রী ডিজুস এবং আমার লক্ষী বান্দরনীর অগ্নীশর্মা রুপ! আমার স্ত্রী অনেক লক্ষী এবং আদুরে হইলেও মাঝে মাঝে ডিসকো বান্দরের বান্দরামী বাগে আনিতে অত্যন্ত কঠিন হইতেও পিছুপা হননা। বিশেষ করিয়া ইদানিং কালের তন্বী যুবতীদের ব্যাপারে আমার কিন্চিত আগ্রহ (যেমন মিলার গান, লাস্যময়ী মডেলদের ঢং, হিন্দী লুল প্রজাতির নাচ!!) তাহার মধ্যে ভয়ানক আক্রোশ সৃস্টি করে তাহাতে কোনো সন্দেহ নাই। তবে উনি যে আমাকে ঘোড়ার লাগামের মতো আটকাইয়া রাখেন আমার ভালোর জন্যই ইহা বুঝিলেও যৌবনের মৌবনের যে আদিরসাত্মক টান তাহা অগ্রাহ্য করিতে কস্ট হয় বৈকি! ভাইরে, আমার এই করুন পরিনতির শুরু ডিজুস........ প্রথম প্রথম যখন ডিজুস আসিলো তখন রাত্রী ১২ টার পরে ডিজুস থেকে ডিজুস ফ্রী কল করা যাইতো। যাহা হউক....কোনো সময় কাজে লাগিতে পারে বলিয়া আমি নিজের জন্য একখানি ও স্ত্রীর জন্য একখানি কিনিলাম।

শুরুর কয়েকদিন টোনাটুনির মতো ভালোই গেলো। রাত ১২টার পরে আমি পাশের রুম হইতে স্ত্রীকে কল করিতাম এবং উনি পাশের রুম হইতে ফোন ধরিয়া বেশ ঢং করিয়া প্রেম প্রেম খেলিতাম। বেশ ভালোই কাটিতে লাগিলো.... কিন্তু সেই সুখ বেশীদিন কপালে সহিলো না........ একদিন রাত ১ টার সময়.... বান্দরনীর সহিত প্রেম প্রেম খেলিয়া (ফোনে ফোনে...অন্য কিছু নহে!) দুইজন ঘুমাইয়া আছি। হটাৎ আমার ডিজুস এ ফোন! আমি- সালাম! কে? অপর দিক হইতে অতীব মিস্টি এক কন্ঠ!! ইতিমধ্যে আমার স্ত্রীও জাগিয়া গেছেন ও কথা শুনিতেছেন! আমি- কে? তরুনী কন্ঠ- এই শোনো, তুমি কি ডিজুস!?? (আমার অবস্হা তখন তথৈবচ! যৌবন সুখ লাভ হইবে কি, মুখ ভয়ে চিমসাইয়া গেলো!) আমি- জ্বি, আমি ডিজুস! আপনি কে বলছেন? তরুনী কন্ঠ - এই চলনা, আমরা একটু ফ্রী কথা বলি! আমিও ডিজুস!!! কি করছো গো এত রাতে?!!! আমি শেষ!!!! ইহার পর নিশ্বাস ফেলিতে পারিলাম না! বান্দরনী আমার হাত হইতে ফোন লইয়া কানে লাগাইলো ও অপর পাড়ের সদ্য যৌবনপ্রাপ্ত তরুনীর কথা শুনিতে লাগিলো। উনার সুন্দর মুখ মন্ডল খানী দেখিয়া ভয় পাইয়া গেলাম! আমার ফোনের স্পিকার খানী উনি অন করিয়া দিলেন....ইতি মধ্যে অপর প্রান্ত হইতে শিৎকারের শব্দ আমার জান তখন ছেড়াবেড়া!! আমি আমার পৌরুযের সমস্ত সাহস একত্র করিয়া বলিলাম.... আমি - আপু আপনি কেনো ফোন করেছেন? তরুনী কন্ঠ- আমার সময় যে কাটছেনা গো! আমি - এক কাজ করেন আপু।

আপনি একটা বই পড়েন। সময় কেটে যাবে! ইহা বলিয়া আমি ফোন কাটিয়া দিলাম। আমার বান্দরনী যেনো সিংহীর ন্যায় আমার দিকে তাকাইয়া থাকিলো ১০/১৫ মিনিট। আমি তখন ঘামিতেছি আর উনি ফুঁসিতেছেন। হায়রে ডিজুস! ১০/১৫ মিনিট পরে আবার সেই তরুনির ফোন!!! আদেশ প্রাপ্ত হইয়া আমি কম্পিত হস্তে ফোন ধরিলাম।

আমি - হ্যালো! আবার কি? তরুনী কন্ঠ - এই শোনো, আমার বই পড়া শেষ! বান্দরনী টের পাইয়া হঠাৎ ফোন কাড়িয়া লইয়া ডিজুস সীম খুলিয়া ফেলিলেন এবং কটমট করিয়া বলিলেন: বান্দরনী - ডিজুস পেয়ে তোমার জুস বেশী হয়ে গ্যাছে, না??? বান্দর - মানে....ইয়ে...আমি চিনিনা উনাকে.... বান্দরনী - দেখাচ্ছি কতো ডিজুসে কতো জুস.... ইহার পর যাহা হইলো তাহা আমার ঘরের চারি দেয়ালের মধ্যে সারাজীবন আটকাইয়া থাকিবে। আমার পৌরুষের জন্য উহা প্রকাশ করা আত্নহত্যার সামিল হইবে তাহা হলফ করিয়া বলিতে পারি!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.