আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-)
মেয়েদের কানে, নাকে ফুটো থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এতে মনে হয় সোন্দর্যটা বেশী করে ফুটে উঠে।
নাকে সাধারনত সবাই বাম দিকে ফুটো করলেও এখন ডান দিকে করার স্টাইলটা বেশ চলছে। একে নাকি ববিতা স্টাইল বলে ববিতা স্টাইল হোক আর যাইহোক দেখতে খারাপ লাগে না। কোন কোন মেয়েকে দেখলে মনে হয় নাক ফুটো করলে এত্ত সুন্দর লাগে, তাহলে করেই ফেলবো। আবার সাহস পাইনা। মনে হয় আমার ভোতা নাক।
দেখতে ভাল লাগবেনা। বান্ধবী নাক ফুটো করার সময় খুব করে ধরেছিল ওর সাথে একসাথে যাতে করি। অনেকভাবে চেষ্টা করলেও পারেনি আমাকে রাজী করাতে। ঢাকায় কেউ কিছু না বললেও গ্রামে গেলে হয় সমস্যা। সবার কমন প্রশ্ন থাকে "নাকে দি ছিদ্র নাই, জামাই বাড়ী থিকা নাকফুল দিলে পড়বো কেমনে?" আমি বলি একটা নাকফুলে আর কতটুকু স্বর্ণ থাকে নাকফুলের বদলে আংটি নিবো গ্রামে কত রীতি-নীতি।
সবাই ভয় দেখায় এখন ফুটা কর নাই বিয়ের দিন করতে হবে, কষ্ট পাবা ইত্যাদি ইত্যাদি।
এতো গেল নাক ফুটোর কাহিনী। এবার আসি কানের।
কানে সাধারনত একটি করে দুই কানে দুটি ফুটো অধিকাংশ মেয়েরই থাকে। তবে প্রতি কানে দুই/তিনটি করে ফুটো কেউ কেউ করলেও খুব একটা প্রচলন নেই।
এই জিনিসটি আছে আমার বলছি সেই কাহিনী
প্রথম ফুটোটা করে দিয়েছিলেন অনেক ছোট থাকতে পাশের বাসায় এক কাকী। আমি তো করবোই না, কত্ত গল্প-টল্প বলে আদর করে বিয়েতে নিয়ে যাওয়ার লোভ দেখিয়ে করেদিলেন সেই ফুটো। ব্যাথা পেয়েছিলাম কিনা মনে নেই।
তার পরে একবার গ্রামে যেয়ে দেখি চাচাত বোনেরা দুটো করে ফুটো করেছে। ওদের দেখে আমারও শখ জাগলো।
বড় কাকীকে দিয়ে করালাম দ্বিতীয় ফুটো। তখন ব্যথা তেমন না পেলেও পরে বুঝেছিলাম।
এর পরে আবার শখ জাগলো আরেকটা মানে তিন নম্বরটা করার। এটা করার একটা কারনও ছিল। সবার দুটো ফুটোর মাঝে বেশ ফাকা ছিল কিন্তু আমার দুটো ছিল একেবারে কাছাকাছি।
আম্মা বললেন আরেকটা করলে ভাল লাগবে। তাই এবারও বাড়ীতে যেয়ে বড় কাকীকে দিয়েই করালাম। কিন্তু বিধিবাম! এবারে ফুটোতে ইনফেকশন করল। কোন মতেই ঘা ভা না হওয়াতে ডাক্তআরের কাছে গেলে বললেন রগের উপর পড়েছে, ফুটো বন্ধ না করলে ভাল হবেনা। কি আর করার, দিলাম বন্ধ করে।
কিন্তু শখটা গেল না। এবার ধরলাম ছোট কাকীকে। ভুলবো না সেই স্মৃতি! আব্বা বাড়ীতে ছিলেন। ব্যথা পেলে কাদলে বকা দিবে এই ভয়ে ছোট দাদার ঘরে গেলাম। এমনিতেই ছিল গরমের দিন।
ঘামে হাত ভেজা। বামকানে সুঁই অর্ধেক ঢোকালে হাত পিছলা হয়ে যায়। না পারছে সুই ঢোকাতে না পারছে বের করতে, মাঝখানে যেয়ে থেমে গেছে। আমি তো চিৎকার করছি। দাদা দেখে প্রথমে বকা দিলে শখ কত্ত ইত্যাদি ইত্যাদি বলে।
পরে কাকীকে বললেন দাত দিয়ে কামড় দিয়ে সুই বের করতে। কাকী সেভাবেই বের করলেন সুই। এভাবেই শেষ হল আমার কান ফুটানোর অধ্যায়।
আমার সব চাচাত বোন এবং ফুপাতবোন সবার কানেই দুটো করে ফুটো ছিল যদিও এখন কেউ কেউ বন্ধ করে ফেলেছে। তবে আমার তিনটা বহাল তবিয়তে আছে।
কেউ কেউ তিন ফুটো দেখলে বেশ অবাক হতো। মাঝে মাঝে আমিও ভাবতআম আমার মতন পাগল বুঝি আর নাই। কিন্তু আজকে নিউমার্কেট থেকে আসার সময় দেখলাম এম বয়স্ক মহিলার কানে চার ফুটো এবং দুই কানে আটটি রিং পড়া। ভাবলাম আমার চেয়েও পাগল আছে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।