২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার বিভৎস দৃশ্য দেখে মুষড়ে পড়েছিলেন ওয়াশিংটনের গ্যারি ওয়েডল। মুষড়ে পড়েছিল অনেকেই, তবে তিনি একটু বেশি পরিমাণেই মুষড়ে পড়েন। হামলার দায় যখন চাপলো সৌদি ধনকুবের ওসামা বিন লাদেন প্রতিষ্ঠিত আল-কায়েদার ওপর তখন লাদেনের প্রতি প্রচণ্ড ঘৃণার জন্ম হয় ওয়েডলের মনে। ঘৃণায় ও ক্ষোভে ওয়েডল তখন করে বসেন অদ্ভুত এক প্রতিজ্ঞা। যতদিন না লাদেন ধরা পড়বে অথবা নিহত হবে ততদিনে তিনি দাড়ি কাটা তো দূরের কথা ছাঁটবেনও না।
তখন হয়তো অনেকেই বাঁকা চোখে তাকিয়েছে, যাক না কিছু দিন। দেখা যাবে তার প্রতিজ্ঞা কতদূর এগোয়। কিন্তু গ্যারি ওয়েডল কারো মন্তব্যে কর্ণপাত করেননি। শুরু হলো তার প্রতিজ্ঞা পালন। দিন যায় মাস যায় বছর যায়।
লাদেন ধরা পড়ে না। ধরা পড়ার লক্ষণও দেখা যায় না। এক দিন দু'দিন করে হাজারো দিন পার হয়ে যায় কিন্তু লাদেন না ধরা পড়ে না নিহত হয়। ওয়েডল পড়েছেন আচ্ছা মুশকিলে। তার দাড়ির বৃদ্ধি তো আর থেমে নেই।
কাঁচা-পাকা দাড়িতে বয়স বেড়ে গেছে অনেকটাই। সে নিয়ে স্ত্রীর অভিযোগ তো রয়েছেই। লোকে নাকি তার স্বামীকে নিয়ে হাসাহাসি করে। কিন্তু তারপরও ওয়েডল তার প্রতিজ্ঞায় অটল। এভাবে পার হলো ৩ হাজার ৪৫৪ দিন।
অবশেষে তার সেই প্রতীক্ষিত দিনটিতে তাকে ধরা দিল।
ওইদিন বিকেলে তিনি তার বাগানের গাছে পানি দিচ্ছিলেন। এমন সময় তার এক শিক্ষক বন্ধু ফোন করে লাদেনের নিহত হওয়ার খবর দেয়। প্রথমে তিনি খবরটিকে নিছক কৌতুক ভেবে উড়িয়ে দেন। কিন্তু পরে সংবাদ মাধ্যম তথা টেলিভিশনে এ নিউজ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
লাদেনের মৃত্যুতেই তার এ কান্না। কারণ, এ মৃত্যু যে তার দীর্ঘ প্রতিক্ষিত ছিল। এরপর আর ওয়েডল দেরি করেননি। কাঁচি দিয়ে প্রথমে দাড়ি ছোট করে পরে শেভ করে ফেলেন তার ১৫ ইঞ্চি লম্বা দাড়ি। এখন তার স্ত্রী একজন অল্পবয়স্ক সুদর্শন স্বামী পেয়ে মহাখুশি।
গ্যারি ওয়েডল তার প্রতিজ্ঞা পূরণ করতে পারায় তাকে তার স্কুল থেকে সম্মাননা দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ওই স্কুলের অধ্যক্ষ। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার বিভৎস দৃশ্য দেখে মুষড়ে পড়েছিলেন ওয়াশিংটনের গ্যারি ওয়েডল। মুষড়ে পড়েছিল অনেকেই, তবে তিনি একটু বেশি পরিমাণেই মুষড়ে পড়েন। হামলার দায় যখন চাপলো সৌদি ধনকুবের ওসামা বিন লাদেন প্রতিষ্ঠিত আল-কায়েদার ওপর তখন লাদেনের প্রতি প্রচণ্ড ঘৃণার জন্ম হয় ওয়েডলের মনে। ঘৃণায় ও ক্ষোভে ওয়েডল তখন করে বসেন অদ্ভুত এক প্রতিজ্ঞা।
যতদিন না লাদেন ধরা পড়বে অথবা নিহত হবে ততদিনে তিনি দাড়ি কাটা তো দূরের কথা ছাঁটবেনও না। তখন হয়তো অনেকেই বাঁকা চোখে তাকিয়েছে, যাক না কিছু দিন। দেখা যাবে তার প্রতিজ্ঞা কতদূর এগোয়। কিন্তু গ্যারি ওয়েডল কারো মন্তব্যে কর্ণপাত করেননি। শুরু হলো তার প্রতিজ্ঞা পালন।
দিন যায় মাস যায় বছর যায়। লাদেন ধরা পড়ে না। ধরা পড়ার লক্ষণও দেখা যায় না। এক দিন দু'দিন করে হাজারো দিন পার হয়ে যায় কিন্তু লাদেন না ধরা পড়ে না নিহত হয়। ওয়েডল পড়েছেন আচ্ছা মুশকিলে।
তার দাড়ির বৃদ্ধি তো আর থেমে নেই। কাঁচা-পাকা দাড়িতে বয়স বেড়ে গেছে অনেকটাই। সে নিয়ে স্ত্রীর অভিযোগ তো রয়েছেই। লোকে নাকি তার স্বামীকে নিয়ে হাসাহাসি করে। কিন্তু তারপরও ওয়েডল তার প্রতিজ্ঞায় অটল।
এভাবে পার হলো ৩ হাজার ৪৫৪ দিন। অবশেষে তার সেই প্রতীক্ষিত দিনটিতে তাকে ধরা দিল।
ওইদিন বিকেলে তিনি তার বাগানের গাছে পানি দিচ্ছিলেন। এমন সময় তার এক শিক্ষক বন্ধু ফোন করে লাদেনের নিহত হওয়ার খবর দেয়। প্রথমে তিনি খবরটিকে নিছক কৌতুক ভেবে উড়িয়ে দেন।
কিন্তু পরে সংবাদ মাধ্যম তথা টেলিভিশনে এ নিউজ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। লাদেনের মৃত্যুতেই তার এ কান্না। কারণ, এ মৃত্যু যে তার দীর্ঘ প্রতিক্ষিত ছিল। এরপর আর ওয়েডল দেরি করেননি। কাঁচি দিয়ে প্রথমে দাড়ি ছোট করে পরে শেভ করে ফেলেন তার ১৫ ইঞ্চি লম্বা দাড়ি।
এখন তার স্ত্রী একজন অল্পবয়স্ক সুদর্শন স্বামী পেয়ে মহাখুশি।
গ্যারি ওয়েডল তার প্রতিজ্ঞা পূরণ করতে পারায় তাকে তার স্কুল থেকে সম্মাননা দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ওই স্কুলের অধ্যক্ষ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।