আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছি!
ঊষর প্রান্তর
শব্দমালা এসে থেমে গেছে কলমের ডগায়,
চেটেপুটে খাচ্ছে নিয়ত।
রাতপোকাদের কোলাহল,
ভেকের উন্মাদনা, মেঘের গর্জন,
মিলেমিশে একাকার।
দূরতম কলোনীর ঘন্টাধ্বনিতে
নীরবতা ভেঙ্গে উঠে আসে
একটি অচল হাত,
ডায়েরীর ছেড়াপাতায়,
দাগটানার অপপ্রয়াসে
সৃষ্টি হয় কিছু দুর্বোধ্য ভাবাবেগ।
যাকে কবিতা বলে ঠাওড়ানো যায় না,
সে যে ব্যর্থ কবির বিরহ নদী,
উৎসে ভাটা পড়ায় যে নদীতে জল নেই,
আছে উলুখাগড়ার বিস্তীর্ণ প্রান্তর।
খোলা মহাকাব্য
আমি আর কবিতা পাঠ করি না,
নিত্য তোমাকেই পাঠ করি।
তোমার খোলা চুলের প্রশস্ত কপালই
আমার বিস্তৃত নীলাকাশ,
আমার ভাবনার একাংশ জমাট বাঁধে
তোমার খোলা আকাশে।
টানা দু’চোখের গভীরতা
যেন প্রশান্ত সাগর,
অকূল পাথারে
দিকভ্রান্ত সাঁতরাই উদয়াস্ত।
তোমার স্নিগ্ধ ভ্রু যুগল,
যেন বালুকাবেলায় নারিকেল গাছের সারি।
শীতল মলয় প্রবাহে, পাখির কলরবে
প্রকৃতিকে দিয়েছি আড়ি।
তোমার প্রসাধনবিহীন মুচকি হাসির ঠোট,
হার মানিয়েছে লিওনার্দো দা ভিঞ্চির কোড,
যেন মোনালিসা, মুচকি হাসির অন্তরালে
হিংসায় প্রজ্বলিত।
তোমার যে প্রতিমা গড়েছি,
তা লুভর মিউজিয়ামে নয়,
সস্তা কোন কাগুজে পটে নয়,
আমার বুকের বাম পাশটায় খোঁজো।
দেখবে তোমার নামে খোলা মহাকাব্য
সেখানে তোমাকেই পাঠ করি নিয়ত।
ছবি: নিজস্ব এ্যালবাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।