বলুন! ইহাই আমার পথ। আমি এবং আমার অনুসারীগণ মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকে জাগ্রত জ্ঞান সহকারে এবং আমি অংশীবাদীদের অর্ন্তভূক্ত নই (আল-কুরআন)
(শেখ ইয়াহইয়া জোয়ান সুকুইল্ল্যো ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটো শহরে জন্ম গ্রহণ করেন৷ ইকুয়েডরে তিনিই সর্বপ্রথম ব্যক্তি যিনি জনসম্মুখে ইসলামগ্রহণ করেছেন৷ দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিমপ্রান্তে প্রশান্ত মহাসাগর ঘেঁষে ইকুয়েডরের অবস্থান৷ ১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলে লেবানন, ফিলিস্তীন, সিরিয়া ও মিসর থেকে অভিবাসী হয়ে হাতে গণা কিছু মুসলিম সর্বপ্রথম এ দেশে আগমণ করে৷ কিন্তু তারা খুব সচেতনভাবে ধর্মপালন করত না৷ তাই বিংশ শতাব্দীর আশির দশকের আগ পর্যন্ত স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে ইসলাম গ্রহণের ঘটনা ছিল খুবই বিরল৷ তবে আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে ভাগ্যের অন্বেষণে বিদেশে পাড়ি জমানো কিছু ন্যাটিভ ইকুয়েডরিয়ান ইসলাম গ্রহণ করেন৷ এঁরা দেশে ফিরে ইসলাম প্রচারে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে থাকেন৷ ফলে নব্বইয়ের দশক থেকে স্থানীয় অধিবাসীদের ইসলাম গ্রহণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ বর্তমানে ইকুয়েডরে মুসলিম জনসংখ্যা অভিবাসী-স্থানীয় মিলে পাঁচ-ছয় হাজারের মত৷ প্রতি শুক্রবারেই এখানে কমপক্ষে একজনের ইসলাম গ্রহণের দৃশ্য দেখা যায়৷ ১৯৮৮ সালে একটি মুসলিম সংগঠনের প্রচেষ্টায় কুইটো শহরে এ দেশের প্রথম মসজিদটি নির্মিত হয়৷ | THE CENTRO ISLAMICO DEL ECUADOR MASJID "ASSALAAM" এখানকার প্রথম মুসলিম সংগঠন, যেটি ইকুয়েডরিয়ান সরকারের স্বীকৃতি লাভ করেছে ১৯৯৪ সালে৷ সংস্থাটির যাবতীয় কার্যক্রম পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের ভিত্তিতে পরিচালিত হয় যা তার মূলনীতিতে শুরুতেই স্পষ্ট করে বলা আছে৷ এই সংস্থারই পরিচালক হিসাবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন শেখ ইয়াহইয়া জোয়ান সুকুইল্লো, যিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন করেছেন৷ ইকুয়েডরের গুয়াকুইল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক নবমুসলিম ছাত্রী আছিয়া ফাতিমা ২০০৮ সালের মে মাসে তাঁর একটি সাক্ষাত্কার গ্রহণ করেন, যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়)
প্রশ্ন : আপনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আমাদের কিছু বলবেন কি?
শেখ ইয়াহইয়া : আমি ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটোতে জন্মগ্রহণ করেছি এবং সেখানেই বড় হয়েছি৷ আমরা দুই ভাই এবং এক বোন৷ আমি সবার বড়৷ আমার বাবা-মা আমার তিনজনকেই সমান ভালোবাসা ও আদর-স্নেহ দিয়ে মানুষ করেছেন৷ আমি ভাগ্যবান যে এমন মনলোভা প্রীতিপূর্ণ ঘরোয়া পরিবেশে আমি মানুষ হয়েছি৷ শৈশবে ছোট ভাইয়ের সাথে খেলনা গাড়ি চালানো আর আমার বাবার সাথে শিকারে বের হওয়া আমি খুব উপভোগ করতাম৷ বন্ধু নির্বাচনে আমি শুরু থেকেই বেশ শুকচেরা টাইপের ছিলাম৷ খুব ভদ্র আচরণের বন্ধুই ছিল আমার পছন্দনীয়৷
প্রশ্ন : আপনার শিক্ষাজীবন সম্পর্কে কিছ বলুন৷
শেখ ইয়াহইয়া : আমি বারো বছর বয়সে একটি মিলিটারী একাডেমীতে শিক্ষা লাভ করি৷ যতদূর মনে পড়ে, আমি সেখানে কৃতি শিক্ষার্থী হিসাবে পুরষ্কার লাভ করেছিলাম৷ মিলিটারী সাইন্স ও ম্যানেজমেন্ট_ এই দুটি বিষয়ে আমি ব্যাচেলর ডিগ্রী লাভ করি এবং পরবতর্ীতে মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ে 'শরী'আ' অনুষদ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করি৷ বর্তমানে আমি ইকুয়েডরের এক ইসলামিক সেন্টারের ইমাম হিসাবে কর্মরত৷ আমি ইংরেজী, স্প্যানিশ ও আরবী ভাষায় কথা বলতে পারি৷
প্রশ্ন : সর্বপ্রথম কিভাবে আপনি ইসলামের সংস্পর্শে আসেন?
শেখ ইয়াহইয়া : আমি সর্বপ্রথম ইসলামের সংস্পর্শে আসি যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার এক প্রাক্তন আরব ক্লাসমেটের মাধ্যমে৷ ইসলামকে তখন আমার খুবই আকর্ষনীয় মনে হয় কেননা তা আমার কাছে ছিল প্রাকৃতিক, সহজ-সরল অনাড়ম্বর, আন্তরিক ও সম্মানপূর্ণ একটি জীবনব্যবস্থা৷ ইসলাম আমার উপকারে এসেছিল, কেননা এর মাধ্যমেই আমি একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পারলাম যে, কোনটি সত্য আর কোনটি মিথ্যা৷ ইসলাম প্রত্যেকের জন্যই এমন উপকার বয়ে আনতে পারে কেননা এটি মানুষের নৈতিক ও আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গিকে সুগঠিত, পরিমার্জিত ও কাঠামোবদ্ধ করে দেয়৷ আমার পিতা-মাতা তাদের আজন্ম লালিত ভালোবাসা দিয়ে আমার ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন৷ সম্ভবত: ইসলাম গ্রহণের পর আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল একজন উপযুক্ত স্ত্রী পাওয়া৷ আলহামদুলিল্লাহ আমি এখন সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করছি৷ আমার ছয় সন্তান, যাদের দুজন বিদেশে পড়াশোনা করছে৷ একজন মিশরের আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে, আরেকজন মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে৷
প্রশ্ন : ল্যাটিন ও মুসলিম সংস্কৃতির মাঝে আপনি কোন সাদৃশ্য খুঁজে পান?
শেখ ইয়াহইয়া : হ্যা! অনেক৷ কেননা ল্যাটিন আমেরিকা জাতিসমূহ আদিতে স্পেনের অধিবাসী ছিল৷ ইসলামী সভ্য-সংস্কৃতির অনেক কিছুর সাথেই তাদের মিল পাওয়া যায়৷ আমাদের উভয়েরই রয়েছে পরিবার প্রথা৷ উভয়েরই রয়েছে বড়দের প্রতি শ্রদ্ধার ঐতিহ্য৷ আমাদের ভাষার মূল উত্সও অভিন্ন৷ বহু স্প্যানিশ অক্ষর রয়েছে যা আরবী থেকে উদ্ভূত৷ যেমন_ কামিসা (জামা), গাতো (বিড়াল) ইত্যাদি শব্দসমূহ৷ ল্যাটিন ও মুসলিম সংস্কৃতির লোকদেরকে দেখতেও অনেকটা একরকম মনে হয়৷
প্রশ্ন : আপনার অভিজ্ঞতায় ল্যাটিন মুসলিম সমপ্রদায়কে কি কি সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে বলে মনে করেন?
শেখ ইয়াহইয়া : মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের সমস্যাগুলো সারাবিশ্বের মুসলমানদের বৈশ্বিক ইমেজে প্রভাব ফেলে৷ বহু অমুসলিম ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা এবং ইসলাম ও মুসলমানদের সম্পর্কে মিডিয়ার একদেশদশর্ী প্রচারণার ফলে ইসলাম সম্পর্কে জানার আগ্রহ দেখায় না৷ এ সকল ভ্রান্ত ধারণা আমাদের কাজকে অনেক কঠিন করে দিয়েছে৷
প্রশ্ন : আপনি সমালোচকদের এ কথাকে কিভাবে নেন যারা বলেন_ ল্যাটিন অঞ্চলে ইসলামী দা'ওয়াত মুলত: বিজাতীয় অনুপ্রবেশ?
শেখ ইয়াহইয়া : আমাদেরকে আসলে ল্যাটিন অঞ্চলে ইসলামী দাওয়াতের তাত্পর্য বুঝতে হবে৷ জাতীয়তাবাদ ইসলামে একটি ঘৃণীত বিষয়৷ ইসলামে আমরা সকলেই ভাই-বোন৷ তাই ল্যাটিন জনগণকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দেয়ায় কোন জাতীয়বাদী ছাপ খোঁজার সুযোগ নেই৷ উদাহরণস্বরূপ স্প্যানিশ ভাষায় দাওয়াত প্রদান করা_এটা গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এর অর্থ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-পঞ্চমাংশের কাছে দাওয়াত পেঁৗছানো৷ আমাদেরকে বরং জোর আত্মজিজ্ঞাসায় বসতে হবে যে, কেন আরো বেশী সংখ্যক ল্যাটিন জনগণ ইসলাম গ্রহণে এগিয়ে আসছে না? যাতে আমরা তাদের প্রয়োজন, তাদের ভীতি-সংশয় এবং তাদের চিন্তা-ভাবনার আরো কাছাকাছি হতে পারি৷
প্রশ্ন : আপনার কি এমন কোন মজার অভিজ্ঞতা, গল্প বা ব্যক্তিগত অর্জন রয়েছে, যা আমাদের সাথে শেয়ার করতে চাইবেন?
শেখ ইয়াহইয়া : হ্যা! আমি প্রকাশ্যে ইসলামগ্রহণকারী সর্বপ্রথম ইকুয়েডরিয়ান৷ আমিই প্রথম ইকুয়েডরিয়ান যে কোন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন করেছে৷ ইকুয়েডরে প্রথম স্বীকৃত ইসলামী সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতেও রয়েছে আমার সহযোগিতা৷ আমাদের এই ইসলামী সেন্টারটি বহির্বিশ্ব থেকে কোন সাহায্য গ্রহণ করে না৷
১৯৯৯ সালে আমি স্বপরিবারে হজ্জে গমণ করি৷ জেদ্দা বিমানবন্দরের নামার পর কাস্টমস্ অফিসে আমার দেশের নাম 'ইকুয়েডর' বললে কাস্টম্স অফিসার তার কম্পিউটারে আমার দেশের নাম খুঁজে পেলেন না৷ তখন আমি আমার স্ত্রী এবং সন্তানদের দিকে তাকিয়ে আবেগে বলে ফেলেছিলাম_ 'নিশ্চয়ই! আমরাই ইকুয়েডরের ইতিহাসে হজ্জে আগমনকারী প্রথম পরিবার!!'
আমি চলি্লশেরও বেশী ইসলামী বই, পামফ্লেট এবং অডিও লেকচার ইংরেজী থেকে স্পানিশ ভাষায় অনুবাদে সহযোগিতা করেছি৷ আমার অনুবাদ করা কিছু বইয়ের নাম_"Understanding Islam and Muslims", "Muhammad in Bible", "Muslim Christian Dialogue", "The Miracles of Quan", "Human Rights in Islam"|
প্রশ্ন : বর্তমানে দক্ষিণ আমেরিকায় দাওয়াতী কার্যক্রম সম্পর্কে কিছু বলুন৷
শেখ ইয়াহইয়া : অধিকাংশ লোকই জানে না যে, দক্ষিণ আমেরিকার প্রতিটি দেশের রাজধানী শহরেই ইসলামী সেন্টার রয়েছে৷ এখানে রয়েছে ৩৫টির মত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও ইসলামী সংগঠন৷ ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের এ সকল সংগঠনসমূহের পরিচালকগণ ওঝঊঝঈঙ (ইসলামিক এডুকেশনাল সাইন্টিফিক এণ্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন)-এর তত্ত্বাবধানে প্রতিবছর বার্ষিক সমাবেশে একত্রিত হন৷ যেখানে তারা ল্যাটিন আমেরিকার জনগণ ও মিডিয়ায় ইসলাম ও মুসলমানদের ইমেজ বৃদ্ধির উপায়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন৷
প্রশ্ন : আপনার লক্ষ্যগুলো কি? কোন প্রত্যাশা বা সংশয়?
শেখ ইয়াহইয়া : বেশ, অবশ্যই৷ আমি আল্লাহর সাথে আমার সম্পর্ক দৃঢ় করতে চাই৷ আমি ভয় করি আল্লাহর শাস্তিকে৷ আর আমি এক পরিশীলিত জীবনযাত্রার মানে উন্নীত হতে চাই৷ চাই একটি প্রশান্তিময় ও ভালবাসাপূর্ণ পরিবেশ৷ আমার একান্ত কামনা_ একটি শান্তিময় পৃথিবীকে দেখা৷ বিশ্বব্যাপী শান্তি বজায় রাখতে আমাদের সকলেরই প্রয়োজন_ এক ও অভিন্ন একটি অবস্থান খোঁজা৷ পবিত্র কুরআন, সুন্নাহ এবং ছাহাবায়ে কেরামের দৃষ্টান্তপূর্ণ জীবনী থেকে ইসলামের যেসব মূলনীতি ফুটে উঠেছে তা একটি শান্তিময়, দয়া-সহানুভূতির পৃথিবী গড়ার জন্য খুবই প্রয়োজন৷
প্রশ্ন : ল্যাটিন মুসলমামদের উদ্দেশ্যে আপনার বিশেষ কোন বক্তব্য রয়েছে?
শেখ ইয়াহইয়া : হ্যা! আমাদের জন্য এক বিরাট ভবিষ্যত্ অপেক্ষা করছে যদি আমরা সেজন্য কঠোর পরিশ্রম করি৷ আমাদের জন্য প্রয়োজন নিজেদের এবং বিভিন্ন অঞ্চলের দাওয়াহ কমর্ীদের (দাঈ) প্রশিক্ষিত করে তোলা_ যেমন তুলনামুলক ধর্মতত্ত্ব এবং ইসলামিক লীডারশিপের মত বিষয়গুলোতে৷ আমাদের ভাই-বোনদেরকে বিদেশের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে জ্ঞানার্জনের জন্য পাঠানোর সুযোগ খুঁজতে হবে৷ আমাদের ভাই-বোনদের উত্সাহিত করতে হবে সম্ভব হলে যেন তারা নিজেদের দেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়৷ আর আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে এবং আমাদের মত অন্য যারা রয়েছে তাদের সাথে কিভাবে এ্যাপ্রোচ করতে হবে সে বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দেওয়া প্রয়োজন মুসলিম বিশ্বসংস্থাগুলোকে৷ পারস্পারিক যোগাযোগ এ ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ উদাহরণস্বরূপ_ ইসলামী সম্মেলন ও কর্মশালাগুলোকে সারা বিশ্ব থেকে এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী থেকে প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ করার জন্য আমরা উত্সাহিত করতে পারি৷
প্রশ্ন : সাধারণভাবে মুসলমানদের উদ্দেশ্যে আপনার বক্তব্য কি?
শেখ ইয়াহইয়া : আমাদের নবী মূসা (আঃ) তাঁর জীবনকালের ৪০ বছরেই ইহুদী সমপ্রদায়ের দাসত্বের মনোবৃত্তি উচ্ছেদ করেছিলেন৷ আমাদের শেষ নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) মাত্র ২৩ বছরের মধ্যেই কাবাগৃহকে মূর্তির হাত থেকে উদ্ধার করেন৷ উল্লেখিত এই স্বল্পমেয়াদী টাইমলাইনগুলো বর্তমান পৃথিবীতে নতুন ইসলামী রেনেসাঁর জাগরণ ঘটাতে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে৷ এ লক্ষ্যে সমসাময়িক ইসলামী চিন্তাধারা অবশ্যই হতে হবে রাসূল (ছাঃ)-এর সময়ের মত গতিশীল এবং পরিস্থিতির সাথে সঙ্গতিশীলভাবে নমনীয় অথচ দৃঢ় ও সুবিন্যাস্ত৷ আর তা হতে হবে অবশ্যই আইন প্রণয়নের মূল সূত্র তথা পবিত্র কুরআন এবং সুন্নাহের যথাযথ অনুসরণের মাধ্যমে৷ আল্লাহর আনুগত্যে যদি আমরা একতাবদ্ধ হই তবে আমরা দৃঢ়পদে দাঁড়াতে পারব৷ মানুষ হিসাবে আমরা সকলেই ভাই ভাই৷ আমাদের প্রয়োজন শান্তিপূর্ণ আলোচনার প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করা এবং একে অপরকে গ্রহণ করার মনোবৃত্তি জাগ্রত করা৷ আর প্রকৃত হেদায়াত কেবলমাত্র আল্লাহর কাছ থেকে আসতে পারে৷ তিনি যাকে ইচ্ছা হেদায়াত করে থাকেন৷ তাই বিশেষত: ল্যাটিন অঞ্চলে যারা দাওয়াতী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী তাদের প্রতি আমার উপদেশ_ ধৈর্য ধরুন! কেবল ধৈর্য এবং ধৈর্য!!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।