শনিবার সকালে কমলাপুর স্টেশনের কাউন্টারগুলোর সামনে লাইনে টিকিটপ্রত্যাশী মানুষের সংখ্যা শুক্রবারের চেয়ে বেশি চোখে পড়ে।
নির্ধারিত সময় সকাল ৯টা থেকে ৫ অগাস্টের বিভিন্ন রুটের ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়।
প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে ভোর বেলা থেকে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষমান লোকজনের মধ্যে অসন্তোষ দেখা যায়। অনেকেই টিকিট বিক্রিতে ধীরগতির অভিযোগ তুলে সময় এগিয়ে আনার দাবি জানান।
ভোর সাড়ে ৪টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সোহরাব হোসেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল ৯টা থেকে টিকিট দেয়া শুরুর পর এক ঘণ্টায় এই লাইনে মাত্র ২৫ জন পেয়েছেন। ”
টিকিট বিক্রির সময় এগিয়ে আনার পাশাপাশি বিতরণ আরো দ্রুত করার দাবি জানান তিনি।
ব্যাংক কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বললেন, “সকাল ৬টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এখন সাড়ে ১০টা বাজে কিন্তু কখন টিকেট পাব, তার কোনো নিশ্চয়তা দেখতে পাচ্ছি না। ”
কর্মজীবী মানুষের সুবিধার্থে টিকিট বিক্রি শুরুর সময় অন্তত এক ঘণ্টা এগিয়ে আনার দাবি জানান তিনি।
একই সুর ছিল চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেসের টিকিটপ্রত্যাশী জাহিদুল করিম ও আশিক সরোয়ারসহ আরো অনেকের কণ্ঠে।
আর সময় এগিয়ে আনার দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে কমলাপুর স্টেশনের ব্যবস্থাপক খায়রুল বশীর বলেন, “বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
এদিকে বিক্রি শুরুর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই প্রথম শ্রেণিসহ শীততাপনিয়ন্ত্রিত চেয়ারের সব টিকিট শেষ হয়েছে বলে কাউন্টার থেকে ঘোষণা করা হয়। তখন লাইনে দাঁড়ানো লোকদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হয়।
নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী সাকিব ভোরে কমলাপুর স্টেশনে এসে লাইনে দাঁড়ান চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেসের শীততাপনিয়ন্ত্রিত চেয়ারের দুটি টিকিটের জন্য।
কিন্তু ১০টায় কাউন্টার থেকে এসি চেয়ারের কোনো টিকিট নেই বলে জানানো হয়।
ক্ষোভের সঙ্গে সাকিব বললেন, “এত অল্প সময়ে কীভাবে টিকিট শেষ হয়ে গেল সেটা ভেবে পাচ্ছি না। এসএমএস ও ই-টিকেটের জন্য ২৫ শতাংশ, রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ এবং ভিআইপিদের জন্য পাঁচ শতাংশ সংরক্ষিত টিকিটের বিষয়টি বাদ দিলেও তো আমাদের জন্য কিছু থাকে। ”
এবিষয়ে জানতে চাইলে রেলের মহাপরিচালক আবু তাহের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, “প্রথম শ্রেণির টিকিটের সংখ্যা কম হওয়ায় অল্প সময়ে তা শেষ হয়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ”
শুক্রবার অগ্রিম বিক্রির প্রথম দিনে ৪ অগাস্টের টিকিট দেয়া হয়।
আর আগামী ২৮ জুলাই ৬ অগাস্ট, ২৯ জুলাই ৭ অগাস্ট ও ৩০ জুলাই ৮ অগাস্টের টিকিট দেয়া হবে। ”
আর ঈদের পরে ফিরতি টিকিটের আগাম বিক্রি চলবে ২ থেকে ৬ অগাস্ট পর্যন্ত।
ট্রেনের আগাম টিকিটের ৬৫ শতাংশ বিক্রি করা হচ্ছে সরাসরি কাউন্টার থেকে। মোবাইল ফোনের এসএমএস ও ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে ২৫ শতাংশ টিকেট বিক্রি হবে। এর বাইরে পাঁচ শতাংশ টিকেট রেলওয়ের কর্মচারীদের ও পাঁচ শতাংশ ভিআইপিদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
প্রতিবছরে মতো এবারো ঈদে বাড়তি যাত্রী পরিবহনের সুবিধার্থে প্রায় সবকটি ট্রেনের সঙ্গে অতিরিক্ত বগি জুড়ে দেয়া হবে। পাশাপাশি ঢাকা-পার্বতীপুর, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ ও ঢাকা-খুলনা রেলপথে বাড়তি তিনটি ট্রেন চলবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।