বাঙালির পকেটের পয়সা যে কাজে সব চেয়ে কম বের হয় তা হলো বই কেনা | মোবাইলে কথা বলতে , লাভার রে গিফট কিনা দিতে বা দামী জামা কিনতে তাদের পয়সার অভাব হয় না | কিন্তু দোকানে গিয়া বই কিনার সময় এদের বাজেট আর থাকে না | ১০১ টা উসিলা বাইর হয় তখন তাদের | যে কয়টা মানুষ বাঙালিরে বই কিনার অভ্যাস ধরাইছে এর মইধ্যে হুমায়ুন আহমেদ ( হুমায়ুন আজাদ না কিন্তু ) আর জাফর ইকবাল এই দুই ভাই অগ্রগণ্য |
বাঙালি সুশীল সমাজ এই হুমায়ুনের ( আহমেদ ) অস্তিত্ব বা তার জনপ্রিয়তা খুব একটা ভালো চোখে দেখে না | একই ভার্সিটিতে শিক্ষকতা করা বা একই পেশায় ( লেখালেখি ) করা সত্তেও এক হুমায়ুন ( আহমেদ ) আরেক হুমায়ুনের (আজাদ ) চেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা বা গ্রহণ যোগ্যতা পাইছে এইটা দেখে ওই সুশীল ( আমি কিন্তু নাস্তিক শব্দটা উচ্চারণ করিনাই ) গুলার শরীরে অর্শ গেজ বা ভগন্দরের ব্যথা দিবানিশি যন্ত্রণা দেয় |
বিশিষ্ট সুশীল ব্লগার আজকে হুমায়ুন আহমেদের যেই লেখার অংশটুকু নিয়া লম্ফ ঝম্ফ শুরু করছেন সেইটা একটু পড়ে দেখি | হুমায়ুন আহমেদ লিখছেন -
আমাদের ক্যানসার হাসপাতালে একই অবস্থা। তবে হিংসা না, সবাইকে প্রবেশ করতে হবে রাজনীতিমুক্ত অবস্থায়। ডাক্তাররা আওয়ামী লীগ, বিএনপি করবেন, ইলেকশন হবে, মারামারি হবে—তা কখনো না।
পৃথিবীর কোথাও আমি ছাত্রদের এবং শিক্ষকদের রাজনৈতিক দল করতে দেখিনি। এই অর্থহীন মূর্খামি বাংলাদেশের নিজস্ব ব্যাপার।
এই মূর্খদের মধ্যে আমিও ছিলাম। ড. আহমদ শরীফ এবং অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী অতি শ্রদ্ধেয় দুজন। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সাদা দলে ইলেকশন করেছি। এখন নিজেকে ক্ষুদ্র মনে হয়। মূর্খ মনে হয়।
আমাদের ক্যানসার ইনস্টিটিউটে মূর্খদের প্রবেশাধিকার নেই।
বাংলাদেশের বর্তমান ছাত্র এবং শিক্ষক রাজনীতি নিয়ে লেখক তার নিজের মতামত অনুযায়ী নিজেরে মুর্খ বলছেন | আর আমাদের এই বিশিষ্ট সুশীল টাইনা এই মুর্খ ট্যাগিং চাপানোর চেষ্টা করতেছেন ড. আহমদ শরীফ এবং অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর উপর |
আহারে , যদি এই হুমায়ুনরে ( আহমেদ ) পঁচাইয়া ওই হুমায়ুনরে ( আজাদ ) একটু উপরে উঠানো যায় |
হুমায়ুন আজাদরে যে কারণে মহিমান্বিত করার চেষ্টা করা হয় টা হইলো তার জামাত বিরোধিতা | এই কাজে হুমায়ুন আহমেদ বা তার ভাই জাফর ইকবালের অবদান পাঠকদের একটু মনে করাইয়া দেয়ার বেয়াদপিটা করি | যেই সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাজাকার শব্দটা কেউ উচ্চারণ করতনা সেই সময় হুমায়ুন আহমেদ তার বহুব্রীহি নাটকে 'তুই রাজাকার' ব্যবহার করেছেন | যারা এই নাটকটা দেখছেন তাদেরকে মনে করাইয়া দিতে হবেনা যে 'রাজাকার' শব্দটাকে গলিতে পরিনত করতে ওই ঘটনাটা কতটুকু সহায়তা করছিল |
আর তার ভাই জাফর ইকবালের কথা আর না বলি | শুধু এইটুকু বলি , আপনেরা যদি চান আপনার সন্তানেরা স্বাধীনতা বিরোধীদের জন্য একবুক ঘৃনা নিয়া বড় হোক তাইলে শিশুটার হাতে পাঠ্যবইয়ের সাথে জাফর ইকবালের লেখা তুইলা দিয়েন | আজকের যে নতুন প্রজন্ম জামাত বিরোধিতা নিয়ে বড় হচ্ছে তাদের এই মানসিকতা গঠনের পিছনে এই জাফর ইকবালের অনেক বড় অবদান আছে |
হুমায়ুন আজাদের মৃত্যুকেও মহিমান্ন্বিত করার একধরনের চেষ্টা করা হয় তার গুণমুগ্ধদের দ্বারা | বোঝানো হয় , তিনি মৌলবাদীদের হাতে নিহত হইছেন | কিন্তু আসল ঘটনা হইলো -
তিনি মৌলবাদীদের আক্রমনে গুরুতর আহত হইছিলেন |
দেশে চিকিত্সার পর তিনি সুস্থ হইছিলেন |
জার্মানিতে স্কলারশিপে গবেষনার জন্য গেছিলেন |
সেইখানে ঘুমন্ত অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন |
শেষ প্রশ্ন - ইংরেজিতে একটা কথা আছে - charity begins at home |
নাস্তিকতার গুরু আজাদ সাহেবের স্ত্রী-পুত্র-কন্ন্যারা তার এই নাস্তিকতার ঝান্ডা কতটুকু বহন করতেছেন কেউ কি জানেন ? নিজের ঘরে আস্তিক রাখা মাইনষেরে নাস্তিক বানানোর জ্ঞান বিতরণকারিরে হিপোক্রেট বলতে চাইলে সেইটা কি খুব বড় ভুল হবে |
..................পোস্ট শেষ |
এই ব্লগার নিজেকে নাস্তিক দাবি করলেও ভারত বা হিন্দুদের নিয়ে কিছু বললেই উনার পুর্বপ্রেম জেগে উঠে | প্রভুভক্ত ঘেউ ঘেউ করা প্রাণীর মত লেজ নাড়তে নাড়তে উনি হাজির হন ওই পোস্টে তাদের ডিফেন্ড করতে | অথচ মুসলিমদের নিয়ে কোনো পোস্ট আসলে ঐখনে উনার উপস্থিতি থাকে তালি দেবার ভূমিকায় | নাস্তিক দাবি করলে সব ধর্মের বেলায় সমান মনোভাব থাকবে |
নাকি নাস্তিক ভাব নিয়ে মুসলিম ধর্মের কুত্সা রটানো সুবিধা |
বাধ্য হয়েই এক বিশেষ শ্রেনীর ব্লগারদের মত বলতে হয় দাদা বীরেনদ্র , ধুতি সামালকে , নেহিতো পোঙ্গা মারা খা যায়েগা |
পোস্টের লিঙ্ক-http://www.somewhereinblog.net/blog/WMorshed/29487328#c7246858
কমেন্ট নম্বর ১৮ দ্রষ্টব্য |
আগের পোস্টের টাইটেল - আপনেরা কি কেউ সেফ থেইকা জেনারেল হইছেন ? (০২/০৫/২০১১)
আমি ব্লগ ব্যবহার করি তিন মাস তিন সপ্তাহ | এই অল্প কয়দিনে আমি অলরেডি দুই বার সেফ থেইকা জেনারেল হইছি |
প্রথমবার এক পোস্টে মডুগো নির্বিচার গুলিবর্ষণে অনেক বড় পাপিগো লগে আমি ক্ষুদ্র পাপীও নিহত হইছিলাম | তয় ইমানে কইতাছি ঐটা বড়জোর আহত হবার মত পোস্ট ছিল | কোনো ভাবেই নিহত হবার মত নয় |
দ্বিতীয়বার কমুনিস্ট বিরোধী এক পোস্টে মন্তব্য কইরা ৫ মিনিটের মধ্যে জেনারেল | মন্তব্য কইরা নিজের ব্লগে যাইতে না যাইতেই দেখি আমি নিহত | তয় এই মন্তব্যটা অশ্লীল আছিল | গভীর রাত , মডুরা ঘুমে এই মনে কইরা দিছিলাম | কিন্তু কেউ একজন যে ঘুমায় নাই এবং বাম রাজনীতির প্রতি যে তার কিছুটা সফট কর্নার আছে তা জানুম ক্যামনে ?
তয় এখন আমি সেফ | আর একদম ভালা পোলার মত ব্লগিং করি | এই নিক থেইকা আমি আর কোনো দুষ্টামি করুমনা |
আপনাগো অভিজ্ঞতা শেয়ার করার আমন্ত্রণ রইলো |
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।