অভিলাষী মন চন্দ্রে না হোক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাঁই..
আমার খালাতো ভাই মাহিন। কালকে ওদের বাসায় গিয়ে দেখি খাটের উপর তার, মোটর, পেন্সিল ব্যাটারী, মোবাইলের ব্যাটারী, ফ্যান, ছোট ছোট লাইট, প্লাস, ব্লেড, স্কচটেপ আরো কি কি যেন ছড়ানো।
আমাদের দেখে তো খুব খুশি।
আমাকে ওর লাইট, ফ্যান দেখালো।
আমিও দেখে দেখে বললাম, "হুম...অনেক আলো তো।
অনেক ঠান্ডা বাতাস তো। "
একবার পেন্সিল ব্যাটারী দিয়ে দেখায়। একবার মোবাইল ব্যাটারী দিয়ে দেখায়।
আমার খালা তার ছেলের উপর অনেক বিরক্ত। ও নাকি কয়েকদিন ধরে সারাক্ষণই এই কাজ নিয়ে ব্যাস্ত থাকে।
সারাদিনই খাট এমন আগোছালো থাকে। কোনো কিছু ঠিক রাখার জো নাই।
ও এমনিতেও অনেক দুষ্টু। তবে কালকে ওকে অনেক বেশি ভালো লাগছিলো। কেমন যেন এখটু চিন্তা চিন্তা ভাব।
কিন্তু মনের ভেতর মনে হয় দুষ্টু দুষ্টু একটা ব্যাপার লুকানো।
বিকালে দেখি ও একটা ছেলের সাথে কথা বলছে আর হালকা মারামারি করছে। সাইজে ওর সমানই মনে হলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম এটা ওর বন্ধু হয় কিনা।
ও বলে, "আরে নাহ্...ও মাত্র ক্লাস টু-এ পড়ে।
"
" ও...তুমি কি ক্লাস থ্রী নাকি?"
"হুম...আর বইলো না। ও একটুও ভালো না। খালি তুই করে কথা বলে। বয়স ছয় না সাত। পরে ক্লাস টু-এ।
আমাদের বলে তুই!!"
শুনে খুবই মজা পেলাম।
"জানো…ঐদিন তো আমরা বন্ধুরা মিলে দিছি ধইরা মাইর!!”
"কেনো...কেনো?!!"
"ঐ যে বললাম না? খালি তুই বলে!"
ওর কথা বিরক্তি সব মিলিয়ে এতো মজা লাগছিলো শুনে অনেক্ষণ হাসলাম। ছোট হলে কি হবে। ছোটরা তুই বললে ওদের প্রেস্টিজে খুব লাগে। বুঝলাম ভদ্রতা শিখাতে মাইর দিতেও ওরা রেডী থাকে...।
।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।