আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডলফিন...এক বুদ্ধমান জলজ প্রাণী...

ঃঃঃঃ চল বহুদূরে...নির্জনে আড়ালে লুকোই...ঃঃঃ ডলফিন তিমি এবং পরপয়েজের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত এক ধরনের সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রানী। পৃথিবীতে প্রায় ৪০টি প্রজাতির ডলফিন রয়েছে। ১.২ মিটার(৪ ফুট) দৈর্ঘ্য এবং ৪০ কেজি (৯০ পাউন্ড) ওজন (মাউয়ের ডলফিন) থেকে শুরু করে ৯.৫ মিটার (৩০ ফুট) দৈর্ঘ্য এবং ১০ টন (৯.৮ লিট; ১১ স্টোন) ওজন পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের ডলফিন দেখা যায়। পৃথিবী জুড়েই ডলফিন দেখা যায়, বিশেষ করে মহীসোপানের কাছের অগভীর সমুদ্রে। ডলফিন মাংসাশী প্রানী, মাছ এবং স্কুইড এদের প্রধান খাদ্য।

ধারণা করা হয় দশ মিলিয়ন বছর আগে মায়োসিন যুগে ডলফিনের উদ্ভব। ডলফিনকে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রানিদের কাতারে ধরা হয়। বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ এবং খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা মানবসমাজের কাছে ডলফিনকে খুবই জনপ্রয় করে তুলেছে। বেশিরভাগ ডলফিনের তীব্র দৃষ্টি আছে, জলে কিংবা স্থলে একই ভাবে কার্যকরী, এবং যদিও তাদের মাথার দুপাশে অবস্থিত দুটি কর্ণ খুদ্র কিন্তু তাদের শ্রবণ শক্তি দশ বা বার জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শ্রবণ শক্তির সমান বা তারও বেশী। ডলফিনকে পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী বলে বিবেচনা করা হয়, যদিও এটা ঠিক কিভাবে বুদ্ধিমান বলা কঠিন।

তাদের স্বভাব, চাল চলন, বুদ্ধিমত্তা বিচার বিশ্লেষণের জন্য বন্ধীদশায় এবং জলে উন্মুক্ত; উভয় প্রকারে গবেষণা করা হয়ে থাকে। ডলফিনের শিকার ধরার এক মজার পদ্ধতি রপ্ত করেছে, যা অন্য সামুদ্রিক প্রাণী থেকে দৃশ্যত সম্পূর্ণ আলাদা। সমুদ্রের উপকূলের যেখানে পানির স্বল্পতা আর মাছের খুব আনাগোনা, সেখানে ডলফিনের একটি ছোট দল মাছ শিকারে নেমে পড়ে। একটি ডলফিন বৃত্তাকারে ঘুরতে থাকে আর লেজের বাড়ি দিতে দিতে সাঁতরাতে থাকে, তাতে বৃত্তাকার জুড়ে পানি ঘোলা হতে থাকে, বৃত্তাকারের ভিতরে আঁটকে পরা মাছ শিকারির ঘের ভেবে লাফিয়ে লাফিয়ে বৃত্তাকার অতিক্রম করার চেষ্টা করতে থাকে, আর বৃত্তাকারের বাহিরে অপেক্ষমাণ ডলফিন স্থিরাবস্থায় মুখ হাঁ করে থাকে, দিক্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে মাছ গুলো বৃত্তাকার অতিক্রমে শূন্যে লাফ দিতেই ঢুকে পড়ে হাঁ করে থাকা ডলফিনের মুখে। বিনা দৌড়ঝাঁপেই বেশ আনন্দেই শিকার ধরে ডলফিনের সেই ছোট্ট দল।

............চলবে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।