আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

⋆ ⋆ ⋆ বর্তমান পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ উনার পরিচয়--------(৭) ⋆ ⋆ ⋆

জালিমের ফাঁসি হোক, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হোক, রাজাকারদের ফাঁসি হোক আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত একটি হাদীছ শরীফে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেনঃ إِنَّ اللهَ يَبْعَثُ لِهذِهِ الْأُمَّةِ عَلَى رَأسِ كُلِّ مِأَةِ سَنَةٍ مَنْ يُجَدِّدُ لَهَا دِيْنَهَا - (অর্থ: নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি এই উম্মতের (পরিশুদ্ধের জন্য) প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে একজন ব্যক্তিকে (মুজাদ্দিদ) পাঠাবেন যিনি দ্বীনের তাজদীদ (সংষ্কার) করবেন) । সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,“যে ব্যক্তি তার যামানার ইমামকে চিনলো না সে জাহিলিয়াতের মৃত্যূর ন্যায় মৃত্যূবরণ করলো। ” (মুসলিম শরীফ) হাদীছ শরীফ অনুযায়ী এ শতকেও একজন মুজাদ্দিদ ও ইমাম থাকার কথা। সুমহান ব্যক্তিত্ব উনি কে? কি উনার পরিচয়? ********************************************************** ********************************************************** ৭ম পর্বঃ কতিপয় তাজদীদ নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন, বেপর্দা, ছবি, গণতন্ত্র, ভোট, নির্বাচন, পদপ্রার্থী, খেলাধুলা, নারী নেতৃত্ব, মুসলমানের মৌলবাদ দাবী, ব্লাসফেমী আইন সম্পর্কে, নবী-রসূল আলাইহিসসালাম, ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং আওলিয়ায়ে কিরামগণকে দোষারোপ করা, টিভি, ভিসিআর, ভিডিও, হরতাল, লংমার্চ, জন্ম নিয়ন্ত্রণ, সুদ-ঘুষ, রোযা রেখে ইনজেকশন- ইনহেলার- স্যালাইন ইত্যাদি নেয়া, মাযহাব মানা, বিজাতীয় ও বিধর্মী যাবতীয় আমল ইত্যাদি। মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতাঃ বলা হয়, “প্রত্যেক হযরত মূসা আলাইহিস্ সালাম, অর্থাৎ প্রকৃত হাদীর বিরোধিতার জন্য একজন ফিরাউন অর্থাৎ একজন বিরোধী রয়েছে।

তদ্রুপ প্রত্যেক ফিরাউন, অর্থাৎ গোমরাহকে হিদায়েতের জন্য একজন হযরত মূসা আলাইহিস্ সালাম অর্থাৎ প্রকৃত হাদী থাকেন। ” বাতিল পন্থীরা আল্লাহ পাক-এর মাহবুব ওলীগণের বিরোধিতায় লিপ্ত থাকে একথা নুতন নয়, বিস্মিত হওয়ার মতোও নয়। কারণ ইহুদী-নাছারাদের মনোনীত এজেন্ট দুনিয়াদার আলিমদের গোপন ও প্রকাশ্য কারসাজি মুজাদ্দিদে আ’যমের অপ্রতিরোধ্য হিদায়েতের কারণে নিষ্প্রভ হয়। কায়েমী স্বার্থ রক্ষায় বাতিলপন্থীরা অন্যায় ও দলীলবিহীন বিরোধিতায় হক্ব মিটিয়ে ফেলার অপপ্রয়াসে লিপ্ত থাকে। কিন্তু সবসময় হক্ব বিজয় হয় আর নাহক্ব নিশ্চিহ্ন হয়।

এ মর্মে আল্লাহ পাক বলেন, ׂতারা (বাতিলপন্থীরা) চায় মুখের ফুৎকারে আল্লাহ পাক মনোনীত হাদীকে মিটিয়ে দিতে। অথচ আল্লাহ পাক তাঁর হাদীকে অবশ্যই কামিয়াবী দান করবেন। যদিও কাফির বা বাতিলপন্থীরা তা পছন্দ করে না। ׃ (সূরা ছফ-৮) এখানে যা ফিকিরের তা হলো, সুন্নত আমলের অনেক বিষয় ওলীআল্লাহগণের হিম্মত ও অনুশীলনের পর্যায়ভুক্ত থাকে না। তবে মাহবুব ওলীগণের প্রত্যাশিত ও অপ্রত্যাশিত অনেক সুন্নতের আমল আল্লাহ পাক-এর অবারিত রহমত এবং রসুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সদয় ইহ্সানে পূর্ণতা পেয়ে যায়।

এ কারণে তাবলীগী, ওহাবী, খারিজী, দেওবন্দী, রেযাখানী, জামাতী, লা মাযহাবীসহ যাবতীয় বাতিল ফিরক্বাসমূহের নাহক্ব বিরোধিতা ওলীআল্লাহগণের কাম্য। এতে তাঁদের তাজদীদ পূর্ণতার পথে প্রবল গতিবেগ পায় এবং তাঁদের মান, শান, ইজ্জত, ঐতিহ্য ও মর্যাদা নিরন্তন বৃদ্ধি পায়। মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী’র ক্ষেত্রে হুবহু তাই ঘটেছে। প্রকাশ্য বাহাছ ও চ্যালেঞ্জঃ মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ইসলামের সকল বিষয়েই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত তথা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস সম্মত আক্বীদা পোষণ করেন এবং আমল করে থাকেন। কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের আলোকে পৃথিবীর কেউ বা কোন মহল যদি তাঁর কোন কথা, কাজ, লিখা, সীরত, ছূরত- ও আমলে কোন ত্রুটি উদ্ঘাটন করতে পারে, তবে তিনি তা বিনা দ্বিধায় মেনে নিতে সম্মত আছেন।

কিন্তু এসবক্ষেত্রে বিরোধী পক্ষের কোন ভুল-ত্রুটি উদ্ঘাটিত হলে দলীলের ভিত্তিতে তা তাদেরকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে। যারা মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে এবং তাঁর আক্বীদা ও আমল সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে তাদের প্রতি শর্ত সাপেক্ষে প্রকাশ্য বাহাছ ও চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘোষণা নিয়েমিতভাবে মাসিক “আল বাইয়্যিনাত” ও দৈনিক “আল ইহসান” পত্রিকায় দেয়া হচ্ছে। এ বাহাছ পৃথিবীর যে কোন জায়গায়, যে কোন সময় হতে পারে। কিন্তু বাহাছের আহ্বানে বাতিলপন্থীরা পূর্বেও সাড়া দেয়নি, এখনো দিচ্ছে না।

কখনো সাড়া দিবে বলেও মনে হয় না। কারণ, বাতিল ও নাহক্ব পন্থীদের দলীলবিহীন লম্ফঝম্ফ কেবল নির্ধারিত বৃত্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সামনে আসতে তাদের চিরকালের ভয়। প্রথম পর্ব। ২য় পর্ব।

৩য় পর্ব। ৪র্থ পর্ব। ৫ম পর্ব। ৬ষ্ঠ পর্ব। রাজারবাগ শরীফ সম্পর্কিত কোন আক্বীদা-আমল সম্পর্কে যারা ব্যতিক্রম ধারনা পোষন করেন তাদের জন্য প্রকাশ্যে বাহাছের চ্যালেঞ্জ।

 ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।