আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক গ্রীষ্মের দুপুরে (ছন্নছাড়ার ডায়েরি থেকে)



“সময়টা অনেক রোমান্টিক তাই না?” পাশেই মোবাইলে কথা বলছে আমার এক বন্ধু (ঘন্টাখানেক হয়ে যায়)। তার এই প্রশ্ন আমাকে নয়, তার প্রেমিকাকে। তবুও মন উত্তর খুজতে থাকে। মনের সমস্যাই এইটা, কখনই স্থির থাকতে চাই না, ব্যস্ত হয়ে যায় কোন না কোন ভাবনায়। “সময়টা কি আসলেই রোমান্টিক?” নিজেই যেন নিজেকে প্রশ্ন করি।

উত্তর পাই না। কারন, উত্তরটা আমার জানা নেই। যেমন জানা নেই তার সব প্রেমালাপকে আমার কাছে কেন নিছক প্রলাপ মনে হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা এই কথা বলাকে মনে হয় সময়ের অপব্যয়!! নিজের মনের মধ্যে এই সকল কেন'র প্রতিধ্বনীই বারবার। না, আমি এখনও এমন কোন ব্যস্ত মানুষ হয়ে পারি নি বা বয়সটাও পৌঢ়ত্ব পার হয়ে যায়নি যে প্রেম ভালোবাসা বিষয়টাকে মনে হবে নিছক ছেলেমানুষি।

বরংচ বাস্তবতা হতে পারতো ভিন্ন। হয়ত আজ আমিও এই বিরক্তিকর দুপুরের তপ্ত রোদে ঘেমে ওঠা সময়টাকেই বলতে পারতাম রোমান্টিক। কারন সময় আর স্থান কখনও রোমান্টিক হয় না বরংচ কোন ব্যক্তি ও তার পরিস্থিতি ঐ স্থান বা সময়টাকে রোমান্টিক করে তোলে। হয়তো কারো চোখে চোখ রেখে তার হৃদয়ের গভীরতা নির্নয়ের চেষ্টা আমাকেও দেখাতে পারত এক রঙ্গিন জীবনের স্বপ্ন। হয়তো চেয়েছিলামও তাই।

হয়তো এই লৌহ-কঠিন শহরের বাস্তবতাই আমি অতটা আবেগী নই। তারপরও বুক চিরে বেরিয়ে আসে একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস, হয়তো সাথে কিছু আকাংখ্যা আর নিজেকে শৃংখলিত রাখার কষ্ট। সঙ্গে সঙ্গে হাতটা চলে যায় জিন্সের পকেটে রাখা মোবাইল ফোনটার দিকে। উদ্দেশ্য হয়তো সময় দেখা ছিল না, তবুও সময়টা দেখেই রেখে দেই আবার পকেটে । উপরের দিকে তাকিয়ে সিলিং ফ্যানের ঘূর্ণনের সাথে যেন ঘুরিয়ে নিতে চাই নিজের সব ভাবনাকে।

“আচ্ছা সময় যেন কত দেখলাম?” যেন নিজের অজান্তেই নতুন করে সময় দেখার জন্য বের করে আনি মোবাইল্টা। নিজের অজান্তেই যেন কন্টাক্ট লিস্ট থেকে সামনে চলে আসে একটা নম্বর!! এরপরই শুরু হয় আসল খেলা , নিজের মধ্যে অনুভব করি দুইটা অস্তিত্বের। যার প্রথমটা ডান হাতের বৃদ্ধাংগুলিটাকে নিয়ে যেতে চাই ডায়াল বাটনের দিকে আর অন্যটা তাকে বাধা দেওয়ার জন্য হাজার একটা কারণ খোজাই ব্যস্ত!! জয় হয় দ্বিতীয় সত্ত্বার, মোবাইলটা আবার চলে যায় প্যন্টের পকেটে। প্রথম সত্ত্বাটা নাছোড়বান্দা। সে এবার যেদি হয়ে ওঠে; বের করে মোবাইলটাকে।

কন্টাক্ট লিস্টে আবার সেই একই নম্বর, সেই দুই সত্ত্বার একই কলহ। অবশেষে দুই সত্ত্বার যুদ্ধে বিদ্ধস্ত এই আমি ছুড়ে ফেলে দেই মোবাইলটাকে টেবিলের এক কোণে। বন্ধুটা একবার চোখ তুলে তাকায় , আবার মনোযোগ দেয় আপন প্রেমালাপে। এইবার আমি মনে মনে একটু হাসি, সেই হাসির অস্তিত্বও কিছুটা দেখা যায় হয়তো ঠোটের কোণে!! যত্ন করে কুড়িয়ে আনি মোবাইলটাকে তারপর সযতনে রেখে দেই আবার পকেটে। (অসম্পূর্ণ) দ্রষ্টব্য: এই গল্পের প্রায় সমস্ত ঘটনাই কাল্পনিক (বাস্তবিক)।

জীবিত বা মৃত কোন মানুষের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অভিজ্ঞতার সাথে কাহিনীর সামান্য মিল থাকতেই পারে, সেইটা নিয়ে চিল্লাপাল্লা করার কিছু নাই । (positive feedback পেলে এবং typing করার মতো enough ধৈর্য থাকলে চলবে........)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।