বাঙলা কবিতা
প্রতিদিন লিখছি গান, ক্ষরিত হৃদয়ের আক্রোশ-মাখা অজস্র এর সুর; রেখে যাচ্ছি তোমার জন্য, তোমাদের জন্য; ও আমার সুশান্ত উত্তরাধিকার!
এই গান মেয়েলি গীতের মতো সুরেলা নয়; আর ক্রন্দনের সাদুভঙ্গিমারোহিত; বেজে উঠছে হার্ড-মেটাল রকের মতোই তূর্য নিনাদী।
কেননা, এর সুরে মিশে আছে রুয়ান্ডার দশ লক্ষ মানুষের অন্তিম আর্তনাদ; প্রতিদিন তিলে তিলে নিঃশেষিত হতে থাকা, বাস্তুহারা ও ভূখণ্ডহীন ফিলিস্তিনে ছেচল্লিশ লক্ষ স্বপ্নের হুতাসন। এর মীড়ে মীড়ে বেজে ওঠে সারা দুনিয়ার ছয় কোটি বিশ লক্ষ উদ্বাস্তু নারী-শিশু-বৃদ্ধের অক্ষম রাগিনী; আর তারা নিপতিত শান্তি ও মানবতার নামেই! সেই বৈপরিত্যের আশ্চর্য এক ভঙ্গি এই সুর; এবং যারা নিহত হয়েছে, বিচারের নামে বরণ করেছে মৃত্যুদণ্ড, সেই সব শিল্পীর প্রণীত তীক্ষ্ণ অথচ মায়াবি শব্দমালাই এ গানের বাণী__ রেখে যাচ্ছি তোমাদের জন্য।
এইসব সুর রেওয়াজ করতে করতে, ক্রমাগত ক্রোধে ও ক্রন্দনে , স্নিগ্ধতম যন্ত্রণার দুর্নিবার আলোকসম্পাতের মধ্যে, কোনওদিন, তোমরা ঠিক ঠিক জেনে নিতে পারবে, মানবাধিকারের জারি গাইতে গাইতে কীভাবে ফণা তোলে ছদ্মবেশী লালসার সাপ; কীভাবে ফেঁপে-ওঠা-পুঁজি মুনাফার আসন্ন কামকাতরায় হয়ে ওঠে ন্যায্যতার একচ্ছত্র মালিক! যে মানুষের নামে শান্তির এতো অভিযান, শান্তি-মিশন, কীভাবে তাদেরই টাটকা রক্তের প্রপাত-শব্দের ভেতরে ঝনঝন করে ওঠে মেকী মন্ত্র : ওম শান্তি, ওম মান্তি, ওম শান্তি...
এই সাংকেতিক বাণী ও সুর, স্বপ্নের ডায়েরিতে রেখে যাচ্ছি তোমাদের জন্যে। ভবিষ্যতের বিপ্রতীপ যুদ্ধের অন্ধকারে, এর সরবতাই জ্বেলে দেবে
অবিনাশী আগুন আর নিখিলজোড়া আলোর দৃশ্যায়ন...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।