shamseerbd@yahoo.com
এমন অনেক দিনই আসে যখন আয়োজন করে রান্না করার একটুও ইচ্ছা হয়না। কিন্তু তাই বলেত খাওয়া বন্ধ করে দেয়া যায়না। কি আর করা খাবারেরতো ব্যবস্হা করতেই হবে। এমন দিনের জন্য খুবই সহজ একটা রেসিপি। তবে শর্ত হচ্ছে এটা শুধু মাত্র দুই জনের জন্য।
এর বেশী মানুষ হলে এটা করা ঝামেলা হয়ে যেতে পারে।
সো এই রান্নার প্রধান শর্তই হচ্ছে মানুষ হতে হবে দুই জন। যদি এই শর্ত পূরন হয় তবে চেস্টা করে দেখতে পারেন ।
ও আচ্ছা যেটা রান্না করবেন সেটা হল খিচুড়ী - একদম ঝামেলা মুক্ত রান্না যাকে বলে !!!!
তবে মানুষ যেহেতু দুইজন, সেহেতু এই খানে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
প্রয়োজনীয় উপকরন :
প্রথমে যেটা দরকার সেটা হল চাল।
মানুষ যেহেতু দুজন এইখানেও ইচ্ছা অনিচ্ছার ব্যাপার আছে। কোন চালে খিচুড়ী বানাবেন সেটা আগে ঠিক করুন। যে চালের ভাত খান সেটা দিয়েই বানাবেন নাকি পোলাও এর চাল দিয়ে বানাবেন এইটা আগে ঠিক করে নিন। দুইজনের পছন্দ দুইরকম হলে টস করে নিতে পারেন। চালের ব্যাপারটা ঠিক হলে পরবর্তী কাজের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিন।
ও আরেকটা বিষয় আগে ঠিক করে নিন, কি খিচুড়ী বানাবেন। ভূনা খিচুড়ি নাকি হালকা ঝোলঝোল খিচুড়ী। এই ক্ষেত্রেও মতের মিল না হলে টস করে নিতে পারেন।
এর পর প্রয়োজন মত ডাল নিন। যতটুকু চাল নিবেন তার অর্ধেক ডাল, আর চাল নিবেন আপনারা দুজন ঠিক কি পরিমান খেতে পারবেন তার উপর অথবা চাইলে আরেকদিনের জন্য ফ্রীজে রেখে দিবেন কিনা সেটাও চিন্তা করে দেখতে পারেন।
এরপর যা প্রয়োজন তা হল মসলাপাতি।
প্রথমেই লাগবে পেঁয়াজ। দুইটা বড় অথবা চারটা ছোট হলেও চলবে। কুচি কুচি করে কাটবেন নাকি বড় বড় করে কাটবেন সেটা আপনার ইচ্ছা। এইখানে বিবেচ্য বিষয় হল- খাওয়া গুরুত্বপূর্ন নাকি দেখা।
খাওয়া মুল বিষয় হলে যেভাবে ইচ্ছা ওভাবেই কাটলে হবে।
রসুন দিবেন কিনা আপনার ইচ্ছা, অনেক খায় অনেক খায়না, আদাও দিতে পারেন !!!
লবণের কথা ভুলে গেলে চলবেনা, দরকার হলে রান্না ঘরের চুলার উপর একটা স্টিকার লাগিয়ে রাখুন - "লবণ দিয়েছেন তো" এই টাইপের !!!!
দুটা তেজপাতা ধুয়ে নিন। ভাল কথা, চাল ডাল ও কিন্তু ধুয়ে নিতে হবে।
ইচ্ছা হলে দিতে পারেন উপকরন :
খিচুড়ীর মাঝে চাইলে আলু, পটল, ফুলকপি টাইপ জিনিস পাতি দিতে পারেন । অবশ্য আগে দেখুন এসব ঘরে আছে কিনা, আর থাকলেও আপনি কস্ট করতে রাজি কিনা ?? যদি রাজি থাকেন তবে একটা আলু, দুইটা পটল এক কাপ ফুলকপি কেটে নিতে পারেন।
প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় উপকরন যোগাড় হবার পড়ে আসে মূল কাজ । রান্নার জন্য চুলা জ্বালান, পাতিল নির্বাচন করুন, চাইলে কড়াইতেও করতে পারেন অবশ্য অনেকে এটাতে আপত্তি জানাতে পারেন। কিন্তু মূল কথা হল আপনি কি চান।
পাত্র চুলাতে বসিয়ে হালকা গরম করুন। এই চান্সে দেখে নিন ফ্রীজে কাঁচা মরিচ আছে কিনা ! একদম না থাকলে গুঁড়া মসলার উপর ভরসা রাখতে হবে।
তেল কিন্তু লাগবেই- এইটা ছাড়া দেশে যেখানে কোন কাজ হয়না সেখানে রান্না হবারতো প্রশ্নই আসেনা। পাত্র গরম হলে তাতে প্রয়োজন মত তেল দিন । তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজ কাঁচা মরিচ তেজপাতা দিয়ে দিন। হালকা হলুদ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ও লবণ কিন্তু মাস্ট।
ধোয়া চাল আর ডালের মিশ্রন এইবার পাত্রে ঢেলে দিন। হালকা আঁচে কিছুক্ষন রাখুন , মাঝে মাঝে নাড়ুন , । এইবার চাল ডালের ডাবল পরিমান পানি পাত্রে দিন। মাঝে মাঝে নাড়ুন আর অপেক্ষা করুন । একসময় হয়ে যাবে...................
ও আসল কথাটাই বলা হয়নি, যেদিন রান্নার মুড থাকেনা সেদিন হুদাই এত্ত ঝামেলা না করে দুজনে বেরিয়ে পড়ুন কাছের কোন হোটেলের উদ্দেশ্যে ।
আজাইরা ঝামেলা করার কোন মানে নাই........................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।