আমি ঘুরিয়া ঘুরিয়া সন্ধানো করিয়া স্বপ্নেরও পাখি ধরতে চাই আমি স্বপ্নেরও কথা বলতে চাই আমার অন্তরের কথা বলতে চাই... এমন হাজারটা রেশমা আমাদেরদরকার যারা ঘরে না বসে থেকে সংসারের প্রয়োজনে কাজে বেরুবে,
দেশের উন্নতির জন্য শ্রম দেবে। আবার চরম বিপদের দিনে ধৈর্য না হারিয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বেঁচে থাকবে ।
সাভারের ঐ মৃত্যুপুরির ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৭ দিন পরে জীবিত উদ্ধার হওয়া এমনই এক রেশমা আজ
দেশের লাখো কর্মজীবী নারীর বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা।
হাজার মৃত্যুর ভেতর থেকে যেন বের হয়ে এলো এক নবজন্ম!
মনে পড়ে যাচ্ছে শাহানার কথা অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি
সাম্প্রতিক কালে অনেক বেদনাদায়ক দুঃখজনক ও মর্মান্তিক, নৃশংস কিছু ঘটনার পর আজকের এ আনন্দ সংবাদ
যেন একরাশ কালো মেঘের পর বরষার ধারা,
রেশমাকে উদ্ধারের সময় সেখানে 'নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর' শ্লোগানে মুখরিত হয়,
জামাত-শিবির বা হেফাজতের নয়, শ্লোগানগুলো দিয়েছেন উপস্হিত সেনাবাহিনী,
ফায়ার ব্রিগেড ও উদ্ধার কর্মীরা।
আর তাই ঘটনার পরপরই মুন্নি সাহার মত কিছু শব্দ বেশ্যা শুরু করল নতুন নাটক,
নাটকের নমুনা একটু শোনাই আপনাদের
সেখানে উপস্থিত উদ্ধাকারি সেনা কর্মকর্তাদের সে প্রশ্ন করে,
১/ উনি এতোদিন পর কিভাবে বেচে আছেন?
২/ উনাকে এতো ফ্রেশ লাগছে কেন?
৩/ ১৭ দিন কোন খাবার ছাড়া কিভাবে বেঁচে থাকতে পারেন?
৪/ (যখন সেনাবাহিনীর একজন বলল তারকাছে কিছু শুকনো খাবার ছিল) উনার কাছে খাবার কোথা থেকে আসল?
৫/ উনার জামা কাপর গুলা এরকম নতুন মনে হচ্ছে কোন ময়লা নেই কেন?
শুধু তাই না "বাঁশের কেল্লা" সহ জামাত-শিবির সংগঠন গুলো শুরু করেছে নতুন ধোঁয়া
এক হেফাজত নেতার দুটো স্ট্যাটাস শেয়ার করছি,
আমার কাছে স্ক্রিন শট নেয়া আছে, কারো অবিশ্বাস হলে বলবেন ....
.........''চোখে মুখে নাই কোনো ক্লান্তির ছাপ
শরীরে নাই কোনো ধুলবালি
এমনকি এই ১৭ দিন একটা খোচাও তার শরীরে লাগে নাই!''.......
.......''১৭ দিন না খাইয়া অনর্গল মানুষের সাথে কথা বলতে পারে
তাও আবার প্রথম কোথাই শিক হাচিনার লগে গণ ভবনে দেখা করব!.......
......''এইটা আল্লাহর কুদরত না শিক হাচিনার কুদরত?
এত কিছুর পরও আপনি কইবেন এইটা আল্লাহর কুদরত?
দেশের মানুষ সবাইরে মখা পান নাই ভাই!''.........
.......''১৭ দিন পর এক মেয়ে উদ্ধার হয়েছে ধংশ স্তুপ থেকে।
অথচ তার জামা কাপর শারিরিক অবস্থা দেখলে স্পষ্ট বোঝা যাই এ একটা সুষ্থ মানুষ!
আমি আল্লাহর কুদরতে অবিশ্বাস করিনা। আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ চাইলে সব সম্ভব।
এ ঘটনাটাকে একটু অন্যভাবে দেখলে স্পষ্ট বুঝা যাই পুরাতন ইস্যু চাপা দিতে এটা বালের এক ভিন্নধর্মি চাল!
প্লিজ আমাকে ভুল বুঝবেন না। নিজের মেধা প্রজ্ঞা দিয়ে একটু যাচাই করুন তাহলেই সব আপনার কাছে ক্লিয়ার হয়ে যাবে। ''..........
এবার আমি আপনাদের শোনাতে চাই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ১৭ দিন পার করে বেঁচে এসেছেন রেশমা বেগম তার চেয়েও
বেশি সময় এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আসতে হয়েছে মাত্র দুজনের ঘটনা,
আর তাতেই প্রমাণ হবে ১৭ দিন পরেও বেঁচে থাকা সম্ভব
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৫ সালে পাকিস্তানে ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া ঘরের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকা পড়েন নাকাশা বিবি,
যিনি পঁচা খাবার আর পানি খেয়ে বেঁচে ছিলেন ৬৩ দিন।
এরপর ২০১০ সালে হাইতিতে ভূমিকম্পে ধসে পড়া একটি বিপণীবিতানের ধ্বংসস্তূপের নিচে
২৭ দিন পার করে জীবিত উদ্ধার হন ইভান্স মোনসিজনাক,
যিনি টিকে ছিলেন পয়ঃনিষ্কাশন পাইপের পানি খেয়ে।
১৯৯৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় স্যামপোং ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ধসের ১৭ দিন পর
পার্ক সেউং হায়ুন নামে ১৯ বছরের এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
বৃষ্টির পানি খেয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন তিনি।
তার আগে ১৯৯০ সালে ফিলিপাইনে ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া একটি হোটেলের ধ্বংসস্তূপের নিচে
আটকা পড়েন পেদরিতো দি। ১৪ দিন পর তাকে উদ্ধার করা হয়।
পানি ও প্রস্রাব খেয়ে প্রাণ বাঁচান তিনি।
রেশমার জীবিত উদ্ধার হওয়ায় আসলে কতোদিন ধ্বংসস্তূপের নিচে টিকে থাকা যায়
তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
কোনো দুর্ঘটনার এক থেকে দুই দিনের মধ্যে কাউকে জীবিত উদ্ধার করা না গেলে জাতিসংঘ সাধারণত
পাঁচ থেকে সাতদিনের মধ্যে উদ্ধার তৎপরতা বন্ধের সিদ্দান্ত নেয়।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তার চেয়ে অনেক বেশি দিন ধ্বংসস্তূপের নিচে বেঁচে থাকে মানুষ।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির (আইআরসি)
সমন্বয়ক জুলি রায়ান বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে অক্সিজেন ও পানির সরবরাহ থাকলে
এবং আটকা পড়া ব্যক্তি গুরুতর আহত না হলে অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারেন।
২০০৫ সালে পাকিস্তানে ভূমিকম্পে ধসে পড়া একটি স্কুলভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে
পাঁচ দিন পর তিন শিক্ষার্থীকে তাদের উদ্ধারকর্মীরা জীবিত বের করে আনেন বলে জানান তিনি।
এই লেখা পড়েই অনেকে সরকারের দালাল বলে গালি দেবে,
আমরা সরকারের খাস দালাল , সরকার তো আর শুধু আমার না, দেশের ও বটে।
তারপরও আমাদের দেশের দালাল না বলে সরকারের দালাল বললে মাইন্ড খাই না,
এইখানেই হোফাজতের সাথে আমাদের পার্থক্য, তাদের কে ইসলামের এর সাথে জামাতের হেফাজতকারী
বললে দেখি তেড়ে ফুঁড়ে আসে।
আর মিলটা কই জানেন?
সরকারের দালাল হয়েও সাভারের ঘটনা, মখা - আবালের কথা শুনলে আমরা চিল্লাই
সরকারের পুটু তে আগুন দেবার চেষ্টা করি,
আর ইসলামের হেফাজতকারী সারাদিন ইসলাম ইসলাম করে কোরানে আগুন দেয়।
জয় বাংলা, জয় জনতা ......... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।