তরুণ নামের জয়মুকুট শুধু তাহার, বিপুল যাহার আশা, অটল যাহার সাধনা
আজ শুক্রবার. ২২ এপ্রিল। জুমার নামাজ পড়ে খেলাম। সকালে জামীল জানাল, মুফতী আমিনী সাহেবের ছেলেকে পাওয়া গেছে বখশীবাজারে। ততক্ষণে অনলাইনে খবর এসে পড়েছে। মনটা আশ্বস্ত হল।
আজ সারাদিন সূক ওয়াকিফে থাকবো। রাতে মাহমুদ ভাইয়ের বাসায় দাওয়াত খেলাম। আরও কয়েকজন এসেছিলেন। একটি বিষয় আমাকে এখানে খুব ভাবায়। এখানে যেসব বাংলাদেশী ইমাম ও মুআজ্জিন চাকরী করছেন, তারা এই কাতারের বিলাসী জীবন পেয়ে নিজেদের সন্তানদের ভবিষ্যত ও শিক্ষা সংস্কৃতির গড়ে ওঠার প্রতি মোটেও যত্ননবান নন।
কারো কারো ক্ষেত্রে এই উদাসীনতা চরম পর্যায়ের। পড়ালেখার খবর তো দূরে থাক, গায়ের পোষাক, মুখের ভাষা- সব কিছুতেই তারা ভুলে আছে নিজেদের দায়িত্ব। আমি অবাক হই, কোনো কোনো অনুষ্ঠানে যখন কয়েকজন মিলিত হন, তাদের ছেলেরা তখন নিজেদের ভাব বিনিময় করছে ইংরেজীতে, আর হুজুরদের ছেলেরা আরবীতে। বাংলার কোনো অস্তিত্ব নেই তাদের কথায়। বাংলা বলার যখন এই দূরাবস্থা, পড়তে পারার যে কী করুণ দশা, তা আর বলার নয়।
আমি অনেক মাওলানাদের ছেলেদের গায়ে ডিসকো গেঞ্জি, হাতের মোবাইলে সারাক্ষণ ইউটিউব ভিডিও নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখেছি। মসজিদের ইমাম সাহেবদের সন্তানদের যখন এই অবস্থা, ইংরেজী শিক্ষিতদের অবস্থা আরও ভয়াবহ। ভাবখানা এমন যেন, বাংলাদেশে থাকার কোনো কল্পনাও তাদের সন্তানদের নেই। শুনেছি, অনেক ইমাম মুআজ্জিনের স্ত্রী দিনের অধিকাংশ সময় ইন্ডিয়ান চ্যানেল দেখে কাটিয়ে দেয়। অনিয়ন্ত্রিত খাবার দাবার আর ইন্টারনেট এবং নিজেদের সমাজ থেকে দূরাবস্থান তাদেরকে এবং তাদের প্রজন্মকে একটি সুন্দর ও দায়িত্বশীল সমাজে বসবাসের অনুপযোগী করে ফেলছে।
অনুভূতি শক্তি লোপ পাওয়ার যে দৃশ্য এখানে দেখছি তা যদি এভাবে চলতে থাকে তবে ভবিষ্যত ভয়াবহ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।