চারিদিকে দেখো চাহি হৃদয় প্রসারি
সংসদীয় নির্বাচন ও কমিউনিস্ট অবস্থান বিষয়ে লেনিন
সংসদীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা বয়কট নিয়ে কমিউনিষ্ট আন্দোলনে দীর্ঘ বিতর্ক আছে। আমাদের দেশেও এ নিয়ে বিতর্ক কম নেই। লেনিনের এগেইনস্ট বয়কট বইটি খুব স্পষ্টভবে এ বিতর্ককে ধারণ করেছে। রাশিয়ার সংসদ বা ডুমা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে করা মন্তব্যগুলিতে লেনিন সাধারণভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ/বয়কট এর বিশ্লেষণ প্রেক্ষিত নিয়ে কিছু কথা বলেছেন। সোসালিস্ট রেভেলিউশনারী (এস আর) ও মেনশেভিকদের সংগে তিনি এ নিয়ে বিতর্কে নেমেছেন।
রাশিয়ার ডুমার প্রথম দুটি নির্বাচনে বলশেভিকরা অংশ নেয় নি, মেনশেভিকরা দুটিতেই অংশ নিয়েছিল। তৃতীয় নির্বাচনের আগে বলশেভিকরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। দ্বিতীয় নির্বাচনে এস আর রা অংশগ্রহণ করলেও তৃতীয় নির্বাচন তারা বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়। এই প্রসংগেই লেনিন এগেইনসট বয়কট লেখেন। রাশিয়ান ডুমার প্রথম ও দ্বিতীয় নির্বাচনে লেনিন-ই প্লেখানভ প্রমুখ মেনশেভিক নেতৃত্বের নির্বাচনে অংশগ্রহণের তাত্ত্বিক ব্যাখ্যাকে নাকচ করে দিয়েছিলেন।
মেনশেভিক তাত্ত্বিকরা যুক্তি দিয়েছিলেন মার্কসবাদীদের প্রতিনিধিত্ত্বমূলক সংসদীয় কাঠামো ব্যবহার করা উচিৎ, লেনিন স্পষ্টতই বিষয়টির আলোচনায় জানিয়েছেন, বিষয়টা এত সরল নয়-
those who, like Plekhanov and many other Mensheviks, opposed the boycott on the general grounds that it was necessary for a Marxist to make use of representative institutions, thereby only revealed absurd doctrinairism. To argue like that meant evading the real issue by repeating self-evident truths. Unquestionably, a Marxist should make use of representative institutions. Does that imply that a Marxist cannot, under certain conditions, stand for a struggle not within the framework of a given institution but against that institution being brought into existence? No, it does not, because this general argument applies only to those cases where there is no room for a struggle to prevent such an institution from coming into being. The boycott is a controversial question precisely because it is a question of whether there is room for a struggle to prevent the emergence of such institutions. By their arguments against the boycott Plekhanov and Co. showed that they failed to understand what the question was about.
Further. If all boycott is a struggle not within the frame work of a given institution, but to prevent it from coming into existence, then the boycott of the Bulygin Duma, apart from everything else, was a struggle to prevent a whole system of institutions of a monarchist-constitutional type from coming into existence. The year 1905 clearly showed the possibility of direct mass struggle in the shape of general strikes (the strike wave after the Ninth of January[7]) and mutinies (Potemkin[8]). The direct revolutionary struggle of the masses was, therefore, a fact. No less a fact, on the other hand, was the law of August 6, which attempted to switch the movement from the revolutionary (in the most direct and narrow sense of the word) path to the path of a monarchist constitution. It was objectively inevitable that these paths should come into conflict with each other. There was to be, so to speak, a choice of paths for the immediate development of the revolution, a choice that was to be determined, of course, not by the will of one or another group, but by the relative strength of the revolutionary and counter-revolutionary classes. And this strength could only be gauged and tested in the struggle. The slogan of boycotting the Bulygin Duma was, there fore, a slogan of the struggle for the path of direct revolutionary struggle and against the constitutional-monarchist path. Even on the latter path, of course, a struggle was possible, and not only possible but inevitable. Even on the basis of a monarchist constitution it was possible to continue the revolution and prepare for its new upswing; even on the basis of a monarchist constitution it was possible and obligatory for the Social-Democrats to carry on the struggle.
অর্থাৎ কোনো প্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানকে কমিউনিষ্টদের সাধারণভাবে ব্যবহার করা উচিৎ, একথা ঠিক হলেও নির্দিষ্ট কোন পরিস্থিতিতে মার্কসবাদীরা এ ধরণের প্রচলিত প্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই কাজের পক্ষে না দাঁড়িয়ে এরকম প্রতিষ্ঠানের আগমন সম্ভাবনার প্রতিরোধেও দাঁড়াতে পারে। কখন মার্কসবাদীরা এ ধরণের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থেকে লড়বে, আর কখন এর বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে? লেনিন নির্দিষ্টভাবে বলেছেন এই সিদ্ধান্ত এ ধরণের প্রতিষ্ঠানের কার্যকরী হয়ে ওঠার নিশ্চয়তা অনিশ্চয়তার সম্ভাবনা বিচারের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে, আর তাই বয়কটের প্রশ্নটি বারবার বিতর্ক তৈরি করে।
১৯০৫ এর বিপ্লবের পর রাশিয়ায় সাধারণ ধর্মঘট ও পোটেমকিন জাহাজের বিদ্রোহের মতো ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রত্যক্ষ বিপ্লবী সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো সম্ভাবনা ছিল। আর এই সংগ্রাম জয়যুক্ত হলে প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের নয়া প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে ঠেকানো সম্ভব ছিল। এজন্যই বলশেভিকরা ১৯০৫ এর বিপ্লব পরবর্তী আন্দোলনের জোয়ারের মুখে দাঁড়িয়ে নির্বাচন বয়কট করে প্রত্যক্ষ সংগ্রামের পথে এগিয়েছিল।
তৃতীয় ডুমার নির্বাচনের আগে রাশিয়ায় নাটকীয় কিছু পরিবর্তন হয়। ১৯০৫ এর বিপ্লবকে দমন করার সাফল্যর সূত্র ধরে পার্লামেন্ট ব্যবস্থা পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে বেশি প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে। এই প্রতিক্রিয়াশীল চরিত্রকেই সামনে রেখে এস আর রা নির্বাচন বয়কটের পক্ষে যুক্তি সাজিয়েছিলেন।
The case is presented in such a manner as if the ultra-reactionary nature of the Third Duma by itself makes such a method of struggle or such a slogan as the boycott necessary and legitimate. The impropriety of such an argument is absolutely clear to any Social-Democrat, since there is no attempt here whatever to examine the historical conditions of the boycott’s applicability. The Social-Democrat who takes a Marxist stand draws his conclusions about the boycott not from the degree of reactionariness of one or another institution, but from the existence of those special conditions of struggle that, as the experience of the Russian revolution has now shown, make it possible to apply the specific method known as boycott. If anyone were to start discussing the boycott without taking into consideration the two years’ experience of our revolution, without studying that experience, we would have to say of him that he had forgotten a lot and learned nothing. In dealing with the question of boycott we shall start with an attempt to analyse that experience.
লেনিনের সূত্রানুযায়ী স্পষ্টতই বয়কট ব্যাপারটা সংসদের প্রগতিশীল বা প্রতিক্রিয়াশীল চরিত্রের ওপর নির্ভর করছে না, আন্দোলনের বিশেষ অবস্থার ওপর নির্ভর করছে। কেন প্রথ্ম ও দ্বিতীয় ডুমার নির্বাচনকে বলশেভিকরা বয়কট করেছিল, সে প্রসঙ্গে লেনিন জানিয়েছেন
this boycott took place under conditions of a sweeping, universal, powerful, and rapid upswing of the revolution.
কিন্তু তৃতীয় নির্বাচনের আগে সেই উত্তুঙ্গ বিপ্লবী পরিস্থিতি ছিল না।
তাই তখন প্রত্যক্ষ বিপ্লবী সংগ্রামের পক্ষে না দাঁড়িয়ে লেনিন ডুমা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।
কমিউনিস্টরা নিজেদের আন্দোলন সংগ্রামের শক্তি দুর্বলতার প্রেক্ষিত থেকেই কোন প্রতিষ্ঠান বা লরাই আন্দোলনকে দেখবে, সেই প্রতিষ্ঠানের চরিত্র বিচার তার সিদ্ধান্ত গ্রহণে তুলনায় গৌণ – এগেইনসট বয়কট এরকম একটা নির্দেশিকাই তুলে ধরে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।