আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অর্নব(পাগল ছেলে) ও অর্না(রহস্যময়ী নারী) -এর শেষ যোগাযোগ

মাঝে মাঝে মনে হয় ওই দূর আকাশে ভেসে যেতে পারতাম, তাহলে আর ফিরতাম না।

অনেক দিন ধরে ভাবছি অর্নব আর অর্নার লাস্ট আপডেট দিব। সময়ের অভাবে লেখা হচ্ছিল না। আগের পোষ্টে সবাই বলেছিল লেখা একটু বিস্তারিত দিতে। যাক আজকে একটু সময় পেলাম।

যদি কেউ আগের দুইটি লেখা না পড়ে থাকেন তবে ১ম পার্ট একটি অসমাপ্ত প্রেমের গল্প (অধিকাংশ সত্য বাকিটা কল্পনা) ও ২য় পার্ট অতপর অর্নবের সাথে অর্নার একদিন নিজ দায়িত্বে পড়ে নিবেন। তাহলে ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। এখন শুরুই করে দেই। অর্নার সাথে অর্নবের শেষ দেখা হয়েছে পহেলা বৈশাখের আগের দিন বিকাল ৪ টায়। এটাই মনে হয় তাদের সামনা-সামনি শেষ দেখা।

অর্না থাকে তার নিজের শহরে। অনেকেই তার পরিচিত। তাই সে প্রথমে অর্নবকে আসতে বলে একটা পাবলিক পাঠাগারে। অর্নব একটু দেরি করে এসেছিল। এসে দেখে ওখানে কথা বলার কোনো অবস্থা নাই।

যেহেতু পাঠাগার তাই কথা না বলার অবস্থা থাকাই স্বাভাবিক। একটা কথা তো বলাই হয়নি হঠাৎ কেন তাদের এই দেখা। দেখা করার আগের দিন রাতে তাদের মধ্যে একতরফা ঝগড়া হয়েছিল। একতরফা বলার কারণ হল অর্না শুধু শুধুই ঝগড়া করছে আর অর্নব তা শুনে গেছে। আচ্ছা তারপর, অর্নব পাঠাগার থেকে বেরিয়ে ওর জন্য অপেক্ষা করতে লাগল।

তারপর তারা গেল সেই চিরচেনা হসপিটালে। সেখানে দুঘন্টা তাদের মধ্যে কথা হল। বিভিন্ন পুরানো স্মৃতিচারণ হচ্ছিল তাদের মধ্যে। তবে শেষে অর্না যেটা বলেছিল তা হল সে আর তার সাথে যোগাযোগ করবে না। ওই দিন দেখা করে এসে অর্নব গিয়েছিল চৈত্রসংক্রান্তি অনুষ্ঠানে।

কিছু বাউল গান শুনছিল আর ভাবছিল এ অর্নার জন্য সে জীবনে কি পেয়েছে। মেন্টাল হাসপাতালে কয়েক মাসের অবস্থান, বন্ধুদের থেকে বন্ধ যোগাযোগ, ঘৃ্নার ঝুড়ি, না পাওয়ার কষ্ট। তবুও চেয়েছিল তাকে আগলে বেচে থাকতে। পরের দিন পহেলা বৈশাখ। সে তাকে অনুরোধ করেছিল ওই দিন একটি বার অন্তত তার সামনে আসতে, সে শুধু দেখতে চায় পহেলা বৈশাখে লাল শাড়িতে তাকে কেমন দেখায়।

কিন্তু অর্না তার অনুরোধ রাখে নি। যখন অর্নব সকালে ফোন করে জানতে চায় সে আসবে কিনা অর্না তাকে উল্টা বকা দেয়। অর্নব বুঝতে পারে তার জীবনের গন্তব্য। ওই দিন বিকেলে অর্নব অর্নাকে massage করে “bye forever.i ll not harm u.valo theko” অর্নব এখন চায় তার নিজের জীবন সাজাতে। অনেক ভুল করেছে সে অর্নাকে ভালবেসে।

তবুও তাতে তার কোনো আক্ষেপ নেই। একটা গান শুধু সারাদিন শুনে, অটোগ্রাফ সিনেমার গান “আমাকে আমার মত থাকতে দাও, আমি নিজেকে নিজের মত গুছিয়ে নিয়েছি”। তার পছন্দের লাইন “যেটা ছিল না ছিল না সেটা না পাওয়াই থাক, সব পেলে নষ্ট জীবন”। আসলেই অর্নাকে পেলে নষ্টই হতো তার জীবন। একটা ছোট-খাটো চাকরির জন্য অর্নব চেষ্টা করে যাচ্ছে।

শুধু খেয়ে পড়ে বাচতে পারলেই হবে। দেখা যাক সে কতটুকু সফল হলে পারে। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। আর অর্না, শুনেছি সে তার স্বামী, বাচ্চাকে নিয়ে বিদেশে চলে যাবে। তাদের জন্যও দোয়া করবেন।

অর্নব চায় অর্না যেন সুখি থাকে, ভাল থাকে। পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।